ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জৈন্তাপুরে কৃষকবেশে দুই ধর্ষক’কে ধরল পুলিশ, একজন এখনও পলাতক

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০২:০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ১৪ পড়া হয়েছে
২৩

নিজস্ব  সংবাদদাতা :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় নারকীয় ধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা ধর্ষণের পর আত্মগোপনের চেষ্টা করলেও পুলিশের কৌশলী অভিযানে ধরা পড়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার, ২১ জুন, আর পরদিন রোববার ধর্ষণের শিকার নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়।

 

ভিকটিম নারী সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আলিরগাঁও ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের একজন, মুমিন (৩০), তাঁর সাবেক স্বামী; সে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ফান্দু গ্রামের মৃত আব্দুল কালাম মিয়ার পুত্র। অপরজন বদরুল ইসলাম (৩০), একই ইউনিয়নের করগ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও একজন পলাতক রয়েছে, যার সন্ধানে অভিযান চলছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ও তাঁর ১২ বছর বয়সী ছেলে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দরবস্ত বাজারে চিকিৎসা নিতে গেলে সাবেক স্বামী মুমিন ‘জরুরি কথা আছে’ বলে তাঁদের ছেলেকে একটি মিশুক গাড়িতে তুলে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ভিকটিমকে অন্য একটি অপরিচিত আরেওটি মিশুকে করে দরবস্ত ইউনিয়নের খড়িকাপুঞ্জি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়, যেখানে পূর্ব থেকেই অপর দুই অভিযুক্তরা অবস্থান করছিল।

 

সেখানে দুপুর দেড়টা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনজন অভিযুক্ত পালাক্রমে তাঁকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। গভীর রাতে ভিকটিম তামাবিল মহাসড়কে এসে একটি মিশুকযান নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং রবিবার জৈন্তাপুর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহায়তা নেন।

 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ অভিযানে নামে। কৃষকবেশ ধারণ করে দরবস্ত বাজারে অভিযান চালিয়ে মুমিন ও বদরুলকে আটক করা হয়। পরে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। আটক দুইজনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

এদিকে পলাতক অপর অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে আমন ধান-চাল সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা 

Follow for More!

জৈন্তাপুরে কৃষকবেশে দুই ধর্ষক’কে ধরল পুলিশ, একজন এখনও পলাতক

প্রকাশিত: ০২:০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
২৩

নিজস্ব  সংবাদদাতা :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় নারকীয় ধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা ধর্ষণের পর আত্মগোপনের চেষ্টা করলেও পুলিশের কৌশলী অভিযানে ধরা পড়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার, ২১ জুন, আর পরদিন রোববার ধর্ষণের শিকার নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়।

 

ভিকটিম নারী সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আলিরগাঁও ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের একজন, মুমিন (৩০), তাঁর সাবেক স্বামী; সে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ফান্দু গ্রামের মৃত আব্দুল কালাম মিয়ার পুত্র। অপরজন বদরুল ইসলাম (৩০), একই ইউনিয়নের করগ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও একজন পলাতক রয়েছে, যার সন্ধানে অভিযান চলছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ও তাঁর ১২ বছর বয়সী ছেলে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দরবস্ত বাজারে চিকিৎসা নিতে গেলে সাবেক স্বামী মুমিন ‘জরুরি কথা আছে’ বলে তাঁদের ছেলেকে একটি মিশুক গাড়িতে তুলে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ভিকটিমকে অন্য একটি অপরিচিত আরেওটি মিশুকে করে দরবস্ত ইউনিয়নের খড়িকাপুঞ্জি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়, যেখানে পূর্ব থেকেই অপর দুই অভিযুক্তরা অবস্থান করছিল।

 

সেখানে দুপুর দেড়টা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনজন অভিযুক্ত পালাক্রমে তাঁকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। গভীর রাতে ভিকটিম তামাবিল মহাসড়কে এসে একটি মিশুকযান নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং রবিবার জৈন্তাপুর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহায়তা নেন।

 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ অভিযানে নামে। কৃষকবেশ ধারণ করে দরবস্ত বাজারে অভিযান চালিয়ে মুমিন ও বদরুলকে আটক করা হয়। পরে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। আটক দুইজনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

এদিকে পলাতক অপর অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।