ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাইঘাটের জামায়াত নেতা হা: শিহাব হত্যায় ৪ আসামির ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর 

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০২:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • ১২ পড়া হয়েছে

Oplus_131072

২২

মুফিজুর রহমান নাহিদ স্টাফ রিপোর্টার:-সিলেট কানাইঘাটের আলোচিত জামায়াত নেতা হাফিজ শিহাব উদ্দিন হত্যা মামলায় ৪ আসামির ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকালে জেল হাজত থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়।

রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুক আহমদ চৌধুরী ও সোলেমান আলী। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল মুকিত জাহাঙ্গীর।

 

রিমান্ডের আসামিরা হচ্ছেন কামাল আহমদ, সেলিম আহমদ,নাহিদ আহমদ ও আতাউল ইসলাম। এর মধ্যে কামাল আহমদ এজহারভুক্ত আসামি। অন্য আসামীদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারের পর মামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেয়ে আসামি করা হয়। গ্রেফতারকৃত এ মামলার প্রধান আসামী শিব্বির আহমদ ইতিমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজীব রহমান আসামীদের ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৫ নং আমলী আদালত,কানাইঘাটের মাননীয় বিচারক ১ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

 

উল্লেখ্য, কানাইঘাটে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাফিজ শিহাব উদ্দিনকে (৪২)কে গত ২৭ মে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৮মে কানাইঘাট থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী হেপী বেগম।

 

মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আর ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ মামলার আসামী করা হয় খালপার গ্রামের ইসলাম উদ্দিন (বগলাই) এর চার ছেলে শিব্বির আহমদ (২৭), মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৬), জামাল আহমদ (৪৩) ও কামাল আহমদ (৩৯), খালপার গ্রামের মৃত আনফর আলীর ছেলে লুৎফুর রহমান (৪৮) এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন হইতে আসামিগণ এলাকায় চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। স্থানীয় লোকজন তাহাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। শিহাব উদ্দিন প্রায়ই বিবাদীগনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। আর এ প্রতিবাদই কাল হয়ে দাঁড়ায় শিহাব উদ্দিনের। আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময়ে খুন করার হুমকি প্রদান করে।

 

এছাড়া শিহাব উদ্দিন বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার সহিত জড়িত। গত ২৭ মে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলাধীন আশুগঞ্জ থানা এলাকা হইতে রাত অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় ব্যবসার জন্য ট্রান্সপোর্ট যোগে (এগারো হাজার) ইট স্থানীয় খালপার সমিল সংলগ্ন স্থানে নিয়া আসেন শিহাব উদ্দিন। ঘটনাস্থলে বোঝাই ভর্তি ট্রাক হইতে ইট খালাস করার জন্য শিহাব শ্রমিক খোঁজাখুঁজি করিয়া রাত অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময় ৩/৪জন শ্রমিক নিয়া আসেন। রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জন নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে ছুরা, রাম দা, লোহার পাইপ, ইত্যাদি সহকারে শিহাব উদ্দিন কে পূর্ব আক্রোশে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত ভাবে আক্রমন করে।

আসামিদের উপর্যুপুরি ছুরার আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন শিহাব।

 

এ সময় শিহাব উদ্দিন আত্মরক্ষার জন্য শোর চিৎকার করিলে তাহার শোর চিৎকার শুনিয়া আশপাশ হইতে লোকজন এগিয়ে আসিলে আসামিগণ পালিয়ে যায়।

 

পরে আত্মীয় স্বজনও স্থানীয় জনগণ শিহাব উদ্দিন কে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পন্য আটক

Follow for More!

কানাইঘাটের জামায়াত নেতা হা: শিহাব হত্যায় ৪ আসামির ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর 

প্রকাশিত: ০২:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
২২

মুফিজুর রহমান নাহিদ স্টাফ রিপোর্টার:-সিলেট কানাইঘাটের আলোচিত জামায়াত নেতা হাফিজ শিহাব উদ্দিন হত্যা মামলায় ৪ আসামির ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকালে জেল হাজত থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়।

রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুক আহমদ চৌধুরী ও সোলেমান আলী। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল মুকিত জাহাঙ্গীর।

 

রিমান্ডের আসামিরা হচ্ছেন কামাল আহমদ, সেলিম আহমদ,নাহিদ আহমদ ও আতাউল ইসলাম। এর মধ্যে কামাল আহমদ এজহারভুক্ত আসামি। অন্য আসামীদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারের পর মামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেয়ে আসামি করা হয়। গ্রেফতারকৃত এ মামলার প্রধান আসামী শিব্বির আহমদ ইতিমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজীব রহমান আসামীদের ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৫ নং আমলী আদালত,কানাইঘাটের মাননীয় বিচারক ১ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

 

উল্লেখ্য, কানাইঘাটে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাফিজ শিহাব উদ্দিনকে (৪২)কে গত ২৭ মে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৮মে কানাইঘাট থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী হেপী বেগম।

 

মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আর ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ মামলার আসামী করা হয় খালপার গ্রামের ইসলাম উদ্দিন (বগলাই) এর চার ছেলে শিব্বির আহমদ (২৭), মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৬), জামাল আহমদ (৪৩) ও কামাল আহমদ (৩৯), খালপার গ্রামের মৃত আনফর আলীর ছেলে লুৎফুর রহমান (৪৮) এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন হইতে আসামিগণ এলাকায় চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। স্থানীয় লোকজন তাহাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। শিহাব উদ্দিন প্রায়ই বিবাদীগনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। আর এ প্রতিবাদই কাল হয়ে দাঁড়ায় শিহাব উদ্দিনের। আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময়ে খুন করার হুমকি প্রদান করে।

 

এছাড়া শিহাব উদ্দিন বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার সহিত জড়িত। গত ২৭ মে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলাধীন আশুগঞ্জ থানা এলাকা হইতে রাত অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় ব্যবসার জন্য ট্রান্সপোর্ট যোগে (এগারো হাজার) ইট স্থানীয় খালপার সমিল সংলগ্ন স্থানে নিয়া আসেন শিহাব উদ্দিন। ঘটনাস্থলে বোঝাই ভর্তি ট্রাক হইতে ইট খালাস করার জন্য শিহাব শ্রমিক খোঁজাখুঁজি করিয়া রাত অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময় ৩/৪জন শ্রমিক নিয়া আসেন। রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জন নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে ছুরা, রাম দা, লোহার পাইপ, ইত্যাদি সহকারে শিহাব উদ্দিন কে পূর্ব আক্রোশে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত ভাবে আক্রমন করে।

আসামিদের উপর্যুপুরি ছুরার আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন শিহাব।

 

এ সময় শিহাব উদ্দিন আত্মরক্ষার জন্য শোর চিৎকার করিলে তাহার শোর চিৎকার শুনিয়া আশপাশ হইতে লোকজন এগিয়ে আসিলে আসামিগণ পালিয়ে যায়।

 

পরে আত্মীয় স্বজনও স্থানীয় জনগণ শিহাব উদ্দিন কে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।