ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও বাসা বাড়িতে গ্যাস মিলবেনা

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৯:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ১৪ পড়া হয়েছে
২৩

সিলেট: জ্বালানী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’

 

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকুপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

 

গৃহস্থালিতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে অপচয় করা হচ্ছে উল্লেখ করে জ্বালানী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন,’সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’ গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জ্বালানী উপদেষ্টা।

 

বিজ্ঞাপন

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে কি?’ -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্প মূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।’

 

তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে যদি সম্ভব হতো তাহলে ঢাকার বাসাবাড়িতেও গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’

 

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতি বছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।’

 

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, শুক্রবার পরিদর্শিন করা কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কুপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

 

সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকাস্থ কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনক একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএল’র প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড’র ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্ট’র ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

Follow for More!

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও বাসা বাড়িতে গ্যাস মিলবেনা

প্রকাশিত: ০৯:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
২৩

সিলেট: জ্বালানী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’

 

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকুপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

 

গৃহস্থালিতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে অপচয় করা হচ্ছে উল্লেখ করে জ্বালানী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন,’সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’ গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জ্বালানী উপদেষ্টা।

 

বিজ্ঞাপন

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে কি?’ -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্প মূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।’

 

তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে যদি সম্ভব হতো তাহলে ঢাকার বাসাবাড়িতেও গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’

 

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতি বছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।’

 

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, শুক্রবার পরিদর্শিন করা কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কুপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

 

সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকাস্থ কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনক একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএল’র প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড’র ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্ট’র ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।