সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা

admin
প্রকাশিত জুন ৬, ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ণ
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক :: ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 

শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। ভাষণের শুরুতেই তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান।

 

ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, “ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসংক্রান্ত চলমান কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ ঘোষণা করছি, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

 

তিনি জানান, এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।

 

ড. ইউনূস বলেন, “সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন, এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আশা করছি, আগামী রোজার ঈদের মধ্যে আমরা বিচার ও সংস্কারের ক্ষেত্রে একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারব। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, যা শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়—সেখানে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন নির্বাচন চাই, যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। যেখানে সর্বোচ্চ ভোটার, সর্বোচ্চ প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। এই নির্বাচন হোক অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ—এটাই জাতির প্রত্যাশা।”

 

ড. ইউনূস বলেন, “১৬ বছরের লাগামহীন লুটপাট দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আমরা সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন স্থিতিশীল। ইতিহাসে প্রথমবার বাজেট আগের বছরের তুলনায় ছোট হলেও এটি মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।”

 

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কাতার চ্যারেটির সঙ্গে প্রযুক্তি ও ভাষাশিক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে জাপানে ১ লাখ শ্রমিক পাঠানোর চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।”

 

চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে তিনি বলেন, “অনেকে বলছেন, আমরা এই বন্দর বিদেশিদের দিয়ে দিচ্ছি। অথচ এ বন্দর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক হৃৎপিণ্ড। এটিকে বড় করতে হবে। এটিই হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাবিকাঠি।”

সংবাদটি শেয়ার করুন