ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বাংলাদেশ: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৯:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ১৩ পড়া হয়েছে
২৩

একসময় যা ছিল কল্পবিজ্ঞান, আজ তা বাস্তব।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence – AI) এখন শুধু প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কৃষি, ব্যবসা, এমনকি সংবাদ মাধ্যম সবখানে AI ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুতগতিতে।

 

বিশ্বজুড়ে AI গবেষণা ও উদ্ভাবনে চলছে বিপ্লব। উন্নত দেশগুলো আগেই এর সুফল নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। দেশীয় উদ্যোক্তা, তরুণ প্রোগ্রামার এবং স্টার্টআপরা এখন AI-ভিত্তিক অ্যাপস, অটোমেশন সিস্টেম ও ডেটা বিশ্লেষণমূলক সফটওয়্যার তৈরি করছে। শিক্ষা ও ফ্রিল্যান্সিং খাতে AI বিশেষ করে ChatGPT, Midjourney, এবং Google Gemini-এর মতো টুলগুলো আমাদের কাজের ধরন পাল্টে দিচ্ছে।

 

তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই প্রযুক্তির ব্যবহার আমরা কতটা সচেতনভাবে করছি?

একদিকে যেমন AI আমাদের কাজকে সহজ করে তুলছে, তেমনি এর অপব্যবহার সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। Deepfake, ভুল তথ্য তৈরি, বেকারত্ব ইত্যাদি ঝুঁকিগুলোকে এখনই বিবেচনায় আনতে হবে।

 

বাংলাদেশের করণীয় কী?

১) AI নিয়ে সুনির্দিষ্ট জাতীয় নীতিমালা তৈরি

২) স্কুল-কলেজ পর্যায়ে AI শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা

৩) তরুণদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া

৪) উদ্যোক্তা ও রিসার্চারদের জন্য সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি

 

একটা সুপরিকল্পিত উদ্যোগই পারে বাংলাদেশকে AI যুগে নেতৃত্বদানে সক্ষম করে তুলতে। সঠিক পথে এগোলে, আমরা শুধু ভোক্তা নয়, প্রযুক্তির নির্মাতা হিসেবেও বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিতে পারব।

 

AI এখন আর ভবিষ্যৎ নয়—এটা বর্তমান। সময় এসেছে এই প্রযুক্তিকে বুঝে, শিখে এবং দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করার।

 

 

মো. আব্দুল্লাহ আল যোবায়ের

লেখক ও সমাজকর্মী

শিক্ষার্থী: শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’র আদি নববর্ষ উদযাপন

Follow for More!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বাংলাদেশ: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়

প্রকাশিত: ০৯:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
২৩

একসময় যা ছিল কল্পবিজ্ঞান, আজ তা বাস্তব।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence – AI) এখন শুধু প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কৃষি, ব্যবসা, এমনকি সংবাদ মাধ্যম সবখানে AI ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুতগতিতে।

 

বিশ্বজুড়ে AI গবেষণা ও উদ্ভাবনে চলছে বিপ্লব। উন্নত দেশগুলো আগেই এর সুফল নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। দেশীয় উদ্যোক্তা, তরুণ প্রোগ্রামার এবং স্টার্টআপরা এখন AI-ভিত্তিক অ্যাপস, অটোমেশন সিস্টেম ও ডেটা বিশ্লেষণমূলক সফটওয়্যার তৈরি করছে। শিক্ষা ও ফ্রিল্যান্সিং খাতে AI বিশেষ করে ChatGPT, Midjourney, এবং Google Gemini-এর মতো টুলগুলো আমাদের কাজের ধরন পাল্টে দিচ্ছে।

 

তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই প্রযুক্তির ব্যবহার আমরা কতটা সচেতনভাবে করছি?

একদিকে যেমন AI আমাদের কাজকে সহজ করে তুলছে, তেমনি এর অপব্যবহার সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। Deepfake, ভুল তথ্য তৈরি, বেকারত্ব ইত্যাদি ঝুঁকিগুলোকে এখনই বিবেচনায় আনতে হবে।

 

বাংলাদেশের করণীয় কী?

১) AI নিয়ে সুনির্দিষ্ট জাতীয় নীতিমালা তৈরি

২) স্কুল-কলেজ পর্যায়ে AI শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা

৩) তরুণদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া

৪) উদ্যোক্তা ও রিসার্চারদের জন্য সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি

 

একটা সুপরিকল্পিত উদ্যোগই পারে বাংলাদেশকে AI যুগে নেতৃত্বদানে সক্ষম করে তুলতে। সঠিক পথে এগোলে, আমরা শুধু ভোক্তা নয়, প্রযুক্তির নির্মাতা হিসেবেও বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিতে পারব।

 

AI এখন আর ভবিষ্যৎ নয়—এটা বর্তমান। সময় এসেছে এই প্রযুক্তিকে বুঝে, শিখে এবং দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করার।

 

 

মো. আব্দুল্লাহ আল যোবায়ের

লেখক ও সমাজকর্মী

শিক্ষার্থী: শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ।