ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তামাবিল স্থল বন্দরে গাড়ী প্রতি ৪৫০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন- বন্দরে সাংবাদিক প্রবেশ করতে লাগবে রাসেলের অনুমতি

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৫:০৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৯ পড়া হয়েছে
২৬

চাঁদার ভাগ যায় কাষ্টম, স্থল বন্দর ও সমিতির কিছু নেতার পকেটে

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি ::

সিলেটের সর্ব বৃহত আমদানী রপ্তানী একমাত্র স্থল বন্দর হচ্ছে তামাবিল স্থল বন্দর। এই বন্দর দিয়ে ব্যবসায়িরা পাথর কয়লা আমদানি করছেন দীর্ঘ দিন হতে। সম্প্রতি তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে আগত প্রতিটি ট্রাক হতে সিএনএফ এজেন্টের সহায়তায় গাড়ী প্রতি ৪৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেছে একটি চক্র। তামাবিল আমদানী কারক গ্রুপের এই চক্রের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন ওমর ফারুক। তিনি আব্দুল করিম রাশেল এর মাধ্যমে সিএনএফ এজেন্টেদের ৪জন সহকারির সহায়তায় ব্যবসায়ীদের আমদানীকৃত ট্রাক হতে ৪৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করছেন।

অনুসন্ধানে আরও জানাযায়, বন্দরের ভিতরে দীর্ঘ ১মাস পূর্ব হতে তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত হতে আমদানী করছেন ব্যবসায়ীরা পাথর। কাষ্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পরিমাপের ভিত্তিত্বে পাথর খালাস পদক্ষেপ গ্রহন করে। যার কারনে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নানা অযুহাত সৃষ্টি করে বন্দরে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হয়রানী করে আসছে। পরবর্তীতে তারা বন্দর ও কাষ্টম কর্তৃপক্ষ হয়রানি বন্দের জন্য ৪৫০ টাকা হারে সিএনফএফ প্রতিনিধির মাধ্যমে গাড়ী প্রতি চাঁদা উত্তোলন করছে।

গতকাল ৩০ এপ্রিল বুধবার দুপর ২টায় তমাবিল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাষ্টম কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিষয়ে জানেতে ঘটনাস্থলে যান দৈনিক আজকের পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, ভোরের কাগজ পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বাবু এবং ইত্তেফাক পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম। কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ শেষে ফেরার পথে আব্দুল করিম রাশেল নেতৃত্বে ও শ্রমিক নেতা দাবী কারী প্রকাশ পাকিস্থানী সাংবাদিকদের গালী গালাজ শুরু করেন। এসময় আব্দুল করিম রাশেল বলেন কাষ্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষের এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে হলে তার (আব্দুল করিম রাশেল) অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় এই কোন কাজেও সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবেন না বলে অশ্বালীন কথা বলে এবং সাইফুল ইসলঅম বাবুর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এবিষয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মহরম আলী যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সমিতির অফিস খরচ বাবত প্রতি গাড়ী হতে ৪৫০ টাকা করে সংগ্রহ করা হয়। টাকা কি করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সাক্ষাতে বিষয়টি বলছি।

এবিষয়ে জানতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ব্যবসায়ী স্বার্থের কথা বলে সবাই কিন্তু ব্যবসায়ীদের চুষে ফেলছেন তারা। ৪৫০ টাকা দিয়েও হয়রোনী হতে হচ্ছি।

এদিকে কাষ্টাম কর্মকর্তা ইয়াকুব জাহিদ দপ্তরে গেলে থাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ছুটিতে রয়েছেন মর্মে সংশ্লিষ্টরা জানান। পরে ইয়াকুব জাহিদের সাথে মোবাইল ফোন কথা বললে তিনি জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিমাপের ভিত্তিত্বে আমাদের কাছে কারপাস আসার পর আমরা ক্লিলিয়ারেন্স দিয়ে দেই। এর বাহিরে আমাদের কিছু করার নেই।

এদিকে তামাবিল স্থল বন্দর এর সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাণ্যবাহি সকল গাড়ী গুলো সটিক ভাবে পরিমাপের ভিত্তিত্বে বন্দরে প্রবেশ করে। পণ্য আনলোডের পর পুনরায় গাড়ী পরিমাপ করা হয়। একটি গাড়ীও পরিমাপ ছাড়াও প্রবেশ কিংবা বাহির হয় না। গাড়ী প্রতি টাকা আদায়ের বিষয় আমার জানা নেই। আমাদের কোন কর্মকর্তা এখানে জড়িত নহে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার তিনটি আসনে ‘বিশেষ বরাদ্দ: যা জানালেন উপদেষ্টা

Follow for More!

তামাবিল স্থল বন্দরে গাড়ী প্রতি ৪৫০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন- বন্দরে সাংবাদিক প্রবেশ করতে লাগবে রাসেলের অনুমতি

প্রকাশিত: ০৫:০৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
২৬

চাঁদার ভাগ যায় কাষ্টম, স্থল বন্দর ও সমিতির কিছু নেতার পকেটে

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি ::

সিলেটের সর্ব বৃহত আমদানী রপ্তানী একমাত্র স্থল বন্দর হচ্ছে তামাবিল স্থল বন্দর। এই বন্দর দিয়ে ব্যবসায়িরা পাথর কয়লা আমদানি করছেন দীর্ঘ দিন হতে। সম্প্রতি তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে আগত প্রতিটি ট্রাক হতে সিএনএফ এজেন্টের সহায়তায় গাড়ী প্রতি ৪৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেছে একটি চক্র। তামাবিল আমদানী কারক গ্রুপের এই চক্রের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন ওমর ফারুক। তিনি আব্দুল করিম রাশেল এর মাধ্যমে সিএনএফ এজেন্টেদের ৪জন সহকারির সহায়তায় ব্যবসায়ীদের আমদানীকৃত ট্রাক হতে ৪৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করছেন।

অনুসন্ধানে আরও জানাযায়, বন্দরের ভিতরে দীর্ঘ ১মাস পূর্ব হতে তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত হতে আমদানী করছেন ব্যবসায়ীরা পাথর। কাষ্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পরিমাপের ভিত্তিত্বে পাথর খালাস পদক্ষেপ গ্রহন করে। যার কারনে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নানা অযুহাত সৃষ্টি করে বন্দরে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হয়রানী করে আসছে। পরবর্তীতে তারা বন্দর ও কাষ্টম কর্তৃপক্ষ হয়রানি বন্দের জন্য ৪৫০ টাকা হারে সিএনফএফ প্রতিনিধির মাধ্যমে গাড়ী প্রতি চাঁদা উত্তোলন করছে।

গতকাল ৩০ এপ্রিল বুধবার দুপর ২টায় তমাবিল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাষ্টম কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিষয়ে জানেতে ঘটনাস্থলে যান দৈনিক আজকের পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, ভোরের কাগজ পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বাবু এবং ইত্তেফাক পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম। কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ শেষে ফেরার পথে আব্দুল করিম রাশেল নেতৃত্বে ও শ্রমিক নেতা দাবী কারী প্রকাশ পাকিস্থানী সাংবাদিকদের গালী গালাজ শুরু করেন। এসময় আব্দুল করিম রাশেল বলেন কাষ্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষের এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে হলে তার (আব্দুল করিম রাশেল) অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় এই কোন কাজেও সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবেন না বলে অশ্বালীন কথা বলে এবং সাইফুল ইসলঅম বাবুর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এবিষয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মহরম আলী যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সমিতির অফিস খরচ বাবত প্রতি গাড়ী হতে ৪৫০ টাকা করে সংগ্রহ করা হয়। টাকা কি করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সাক্ষাতে বিষয়টি বলছি।

এবিষয়ে জানতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ব্যবসায়ী স্বার্থের কথা বলে সবাই কিন্তু ব্যবসায়ীদের চুষে ফেলছেন তারা। ৪৫০ টাকা দিয়েও হয়রোনী হতে হচ্ছি।

এদিকে কাষ্টাম কর্মকর্তা ইয়াকুব জাহিদ দপ্তরে গেলে থাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ছুটিতে রয়েছেন মর্মে সংশ্লিষ্টরা জানান। পরে ইয়াকুব জাহিদের সাথে মোবাইল ফোন কথা বললে তিনি জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিমাপের ভিত্তিত্বে আমাদের কাছে কারপাস আসার পর আমরা ক্লিলিয়ারেন্স দিয়ে দেই। এর বাহিরে আমাদের কিছু করার নেই।

এদিকে তামাবিল স্থল বন্দর এর সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাণ্যবাহি সকল গাড়ী গুলো সটিক ভাবে পরিমাপের ভিত্তিত্বে বন্দরে প্রবেশ করে। পণ্য আনলোডের পর পুনরায় গাড়ী পরিমাপ করা হয়। একটি গাড়ীও পরিমাপ ছাড়াও প্রবেশ কিংবা বাহির হয় না। গাড়ী প্রতি টাকা আদায়ের বিষয় আমার জানা নেই। আমাদের কোন কর্মকর্তা এখানে জড়িত নহে।