
স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের বাউসী গ্রামে প্রান্ত দাস (২০) হত্যার ঘটনায় আসামি শাকিল আহমদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শাকিল বাউসী নোয়াগাও গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ঘটনার পরপরই ৪ ঘণ্টার অভিযানে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
রোববার দুপুরে তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যার দিকে সুলফির আঘাতে প্রান্ত দাস খুন হয়। তিনি উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের মৃত সেবক দাসের ছেলে। বাড়ির পাশে ধান শুকানোর খলায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, খলায় ধান শুকানো নিয়ে প্রান্ত দাশের বড়ভাই পলাশ দাশের সাথে চান মিয়ার ছেলে শাকিল আহমদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাকিল আহমদ পার্শ্ববর্তী নিজ বাড়িতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর শাকিল ও তার স্বজনসহ দলবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে এসে পলাশকে না পেয়ে ধান শুকানোর কাজে থাকা ছোট ভাই প্রান্ত দাশকে বুকের বাম পাশে সুলফি দিয়ে আঘাত করে। সুলফি বুকের বাম পাশে গভীরে বিঁধে গেলে প্রান্ত দাশ ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক সুলফি বিদ্ধ অবস্থায় প্রান্ত দাশকে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠায়। এরপর তাদের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
রোববার বিকেল ৩টায় প্রান্ত দাসের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রান্ত দাস হত্যার মূল হোতা শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার ৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রান্ত দাস খুনের ঘটনায় নিহতের ভাই শিমুল দাস বাদী হয়ে শাকিল ও তার পিতা চান মিয়াসহ ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১০, তারিখ ২৭/০৪/২০২৫।