ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জৈন্তাপুরে কৃষকদের পারিবারিক পুষ্টি বাগান শীর্ষক উঠান বৈঠক

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৭:৩৯:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ২১ পড়া হয়েছে
৩৩

 

জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ-

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) ৬নং চিকনাগুল ইউ‌নিয়‌নের পানিছড়া গ্রামের কৃষক অরুন দ‌া‌স এর বাড়ি সকাল ১০ টা ও ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের শিকার খাঁ গ্রামের কৃষক সাদিক আহমদের বাড়িতে বেলা ১২ টায় কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে পতিত জমি অনাবাদি ও বসতবাড়ির আঙিনার আশেপাশে মাচায় লাউ ও মিষ্টি কুমড়া আবাদের পাশাপাশি শীতকালীন সবজি চাষে উদ্বুদ্ধকরণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ পেয়ে পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজির চাষ করার প্রশিক্ষণ মূলক কর্মশালা পরিচালনা করছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

 

 

উপজেলার ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের শীকার খাঁ  গ্রামের কৃষানী নিয়তি বিশ্বাস,পিয়ারা বেগম বলেন, এ বছর  মাচায় লাউ, সীম,মাটির লাউ, বরবটি, রসুন, বাতাবে লেবু, ডেড়েস ও লালশাক চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। আগামীতে আরো ভালোভাবে পুষ্টি বাগান করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 

 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাবেদ খলিল চৌধুরী জানান, পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য কৃষক-কৃষানীদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা ও পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা বাড়ানোসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও পরিবারের নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে গড়ে তোলা হয়েছে এ বাগান। কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় দুটি ধাপে তৈরি করা হয়েছে মোট ৩০০ এর অধিক বাগান।

 

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার জানান, জৈন্তাপুর উপজেলায় ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। যে কোন স্থানে ভালো ফসল উৎপাদন হয়। এই উপজেলায় কৃষকদের সহযোগিতায় ইতিপূর্বে উপজেলার সর্বত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের সব ধরণের সহায়তা প্রদান করে আসছে। বিভিন্ন এলাকায় আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষি প্রদর্শনী, শীতকালীন সবজির চাহিদার কথা চিন্তা করে কৃষকরা মাচা পদ্ধতিতে লাউ আবাদ করে সফলতা অর্জন করেছে। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দভ্রমণ অনুষ্ঠিত

Follow for More!

জৈন্তাপুরে কৃষকদের পারিবারিক পুষ্টি বাগান শীর্ষক উঠান বৈঠক

প্রকাশিত: ০৭:৩৯:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
৩৩

 

জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ-

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) ৬নং চিকনাগুল ইউ‌নিয়‌নের পানিছড়া গ্রামের কৃষক অরুন দ‌া‌স এর বাড়ি সকাল ১০ টা ও ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের শিকার খাঁ গ্রামের কৃষক সাদিক আহমদের বাড়িতে বেলা ১২ টায় কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে পতিত জমি অনাবাদি ও বসতবাড়ির আঙিনার আশেপাশে মাচায় লাউ ও মিষ্টি কুমড়া আবাদের পাশাপাশি শীতকালীন সবজি চাষে উদ্বুদ্ধকরণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ পেয়ে পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজির চাষ করার প্রশিক্ষণ মূলক কর্মশালা পরিচালনা করছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

 

 

উপজেলার ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের শীকার খাঁ  গ্রামের কৃষানী নিয়তি বিশ্বাস,পিয়ারা বেগম বলেন, এ বছর  মাচায় লাউ, সীম,মাটির লাউ, বরবটি, রসুন, বাতাবে লেবু, ডেড়েস ও লালশাক চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। আগামীতে আরো ভালোভাবে পুষ্টি বাগান করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 

 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাবেদ খলিল চৌধুরী জানান, পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য কৃষক-কৃষানীদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা ও পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা বাড়ানোসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও পরিবারের নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে গড়ে তোলা হয়েছে এ বাগান। কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় দুটি ধাপে তৈরি করা হয়েছে মোট ৩০০ এর অধিক বাগান।

 

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার জানান, জৈন্তাপুর উপজেলায় ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। যে কোন স্থানে ভালো ফসল উৎপাদন হয়। এই উপজেলায় কৃষকদের সহযোগিতায় ইতিপূর্বে উপজেলার সর্বত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের সব ধরণের সহায়তা প্রদান করে আসছে। বিভিন্ন এলাকায় আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষি প্রদর্শনী, শীতকালীন সবজির চাহিদার কথা চিন্তা করে কৃষকরা মাচা পদ্ধতিতে লাউ আবাদ করে সফলতা অর্জন করেছে। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।