ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ পবিত্র শবে বরাত

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৫:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭ পড়া হয়েছে
২১

অনলাইন ডেস্ক:: পবিত্র শবে বরাত আজ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বড় অংশ এ রাতকে মহিমান্বিত রজনী হিসেবে পালন করেন।

 

এই রাতে বিশেষ বরকত হাসিলের মানসে মুসলিম সম্প্রদায় নফল নামাজ আদায় ও কুরআন তেলাওয়াত, ইস্তেগফার, ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়ায় মশগুল থাকেন। শবেবরাতকে ‘লাইলাতুল বারাআত’ নামে অভিহিত করেছেন অনেকে। ‘শব’ শব্দটি ফারসি, অর্থ রাত। আর ‘বারায়াত’ শব্দের অর্থ হলো—নাজাত, নিষ্কৃতি বা মুক্তি। শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়।

 

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনেকের বিশ্বাস, শবে বরাতের রাতে রয়েছে পাপ মোচনের সুযোগ। নির্ধারিত হয় পরবর্তী বছরের হায়াত, রিজিক ও আমল। তাই ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, মিলাদ মাহফিল, নফল নামাজ আদায় ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন শবে বরাতে। মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করেন।

 

পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুটি থাকবে।

 

পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।

 

পবিত্র এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত। পবিত্র শবে বরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।

 

এ শবে বরাতের রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

 

পবিত্র শবে-বরাত, ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রযুক্তির বাইরে নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে- ডা. শামীমুর রহমান

Follow for More!

আজ পবিত্র শবে বরাত

প্রকাশিত: ০৫:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২১

অনলাইন ডেস্ক:: পবিত্র শবে বরাত আজ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বড় অংশ এ রাতকে মহিমান্বিত রজনী হিসেবে পালন করেন।

 

এই রাতে বিশেষ বরকত হাসিলের মানসে মুসলিম সম্প্রদায় নফল নামাজ আদায় ও কুরআন তেলাওয়াত, ইস্তেগফার, ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়ায় মশগুল থাকেন। শবেবরাতকে ‘লাইলাতুল বারাআত’ নামে অভিহিত করেছেন অনেকে। ‘শব’ শব্দটি ফারসি, অর্থ রাত। আর ‘বারায়াত’ শব্দের অর্থ হলো—নাজাত, নিষ্কৃতি বা মুক্তি। শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়।

 

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনেকের বিশ্বাস, শবে বরাতের রাতে রয়েছে পাপ মোচনের সুযোগ। নির্ধারিত হয় পরবর্তী বছরের হায়াত, রিজিক ও আমল। তাই ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, মিলাদ মাহফিল, নফল নামাজ আদায় ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন শবে বরাতে। মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করেন।

 

পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুটি থাকবে।

 

পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।

 

পবিত্র এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত। পবিত্র শবে বরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।

 

এ শবে বরাতের রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

 

পবিত্র শবে-বরাত, ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।