ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী’র ব্যক্তিগত সহকারি জুয়েল গ্রেপ্তার

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১০:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ১১ পড়া হয়েছে
২০

শান্তিগঞ্জ পুলিশের অভিযানে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী’র ব্যক্তিগত সহকারি জুয়েল গ্রেপ্তার,হাবিল কাবিল এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে

 

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুনামগঞ্জ -৩(শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি’র ব্যক্তিগত সহকারি জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রামের বাসিন্দা (এপিএস) জুয়েল আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

 

রবিবার ভোর রাতে শান্তিগঞ্জ থানা এলাকার ডুংরিয়া গ্রামে তার নিজ বসতবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করলে ও সাবেক মন্ত্রীর দুই ঘনিষ্ট হাবিল কাবিল বলে সুপরিচিত ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক সচিব ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাসনাত হোসাইন ও তার আপন সহোদর সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুর হোসেন এখনো পুলিশের ধরাছোয়ার বাহিরে রয়ে গেল।

 

হাসনাত হোসাইন কিভাবে বিগত একযুগে কোটি কোটি টাকা অবৈধ পন্থা কামিয়ে টাকার পাহাড়া বানিয়েছে এ যেন আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরেই আসেনা। নুর হোসেন শান্তিগঞ্জ কলেজের প্রভাষক থাকার পর দীর্ঘদিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন হিসেবে তার এতই দাপট ছিল যে সে কলেজে হাজিরা না দিয়েও মাসে মাসে বেতন ঠিকই তার পকেটে যেত। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত জুয়েল আহমদ ডুংরিয়া গ্রামের আব্দুল শহিদ মিয়ার পুত্র এবং সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানে ব্যক্তিগত সহকারি পদে দীর্ঘদিন চাকুরীতে ছিলেন।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আকরাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ডুংরিয়া গ্রামে জুয়েল আহমদের বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয় এবং অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সাথে থাকার অভিযোগে জুয়েল আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হইতে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলাদায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় জুয়েল আহমদকে গ্রেফতার দেখিতে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জুয়েল আহমদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

 

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আকরাম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সুনির্দিষ্ট অভিযাগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ সংগঠনে সাথে জড়িত থাকা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

Follow for More!

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী’র ব্যক্তিগত সহকারি জুয়েল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১০:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০

শান্তিগঞ্জ পুলিশের অভিযানে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী’র ব্যক্তিগত সহকারি জুয়েল গ্রেপ্তার,হাবিল কাবিল এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে

 

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুনামগঞ্জ -৩(শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি’র ব্যক্তিগত সহকারি জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রামের বাসিন্দা (এপিএস) জুয়েল আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

 

রবিবার ভোর রাতে শান্তিগঞ্জ থানা এলাকার ডুংরিয়া গ্রামে তার নিজ বসতবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করলে ও সাবেক মন্ত্রীর দুই ঘনিষ্ট হাবিল কাবিল বলে সুপরিচিত ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক সচিব ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাসনাত হোসাইন ও তার আপন সহোদর সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুর হোসেন এখনো পুলিশের ধরাছোয়ার বাহিরে রয়ে গেল।

 

হাসনাত হোসাইন কিভাবে বিগত একযুগে কোটি কোটি টাকা অবৈধ পন্থা কামিয়ে টাকার পাহাড়া বানিয়েছে এ যেন আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরেই আসেনা। নুর হোসেন শান্তিগঞ্জ কলেজের প্রভাষক থাকার পর দীর্ঘদিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন হিসেবে তার এতই দাপট ছিল যে সে কলেজে হাজিরা না দিয়েও মাসে মাসে বেতন ঠিকই তার পকেটে যেত। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত জুয়েল আহমদ ডুংরিয়া গ্রামের আব্দুল শহিদ মিয়ার পুত্র এবং সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানে ব্যক্তিগত সহকারি পদে দীর্ঘদিন চাকুরীতে ছিলেন।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আকরাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ডুংরিয়া গ্রামে জুয়েল আহমদের বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয় এবং অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সাথে থাকার অভিযোগে জুয়েল আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হইতে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলাদায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় জুয়েল আহমদকে গ্রেফতার দেখিতে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জুয়েল আহমদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

 

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আকরাম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সুনির্দিষ্ট অভিযাগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ সংগঠনে সাথে জড়িত থাকা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।