ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বলাৎকারের শিকার হওয়ায়’ আইসক্রিম বিক্রেতাকে হত্যা

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৫:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৩ পড়া হয়েছে
২০

অনলাইন ডেস্ক:: সিলেটের কানাইঘাটে আইসক্রিম বিক্রেতা আব্দুর রহমান লাল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘাতক রুবেল আহমদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী হাদারকান্দি বেরিবিল এলাকার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে একদল পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রুবেল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল আহমদ কানাইঘাট পৌরসভার ধর্মপুর গ্রামের নজিমুল হকের পুত্র।

 

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, আইসক্রিম বিক্রেতা আব্দুর রহমানকে (লাল মিয়া) রুবেল আহমদ নিজে হত্যা করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

 

জবানবন্দীতে রুবেল আহমদ জানান, আইসক্রিম বিক্রেতা লাল মিয়ার সাথে ২০১৮ সাল থেকে তার বন্ধুত্ব রয়েছে। সেই সুবাদে রুবেল আহমদের নিকট থেকে লাল মিয়া বেশ কিছু টাকা ধার নেন। ধার নেয়া টাকা লাল মিয়ার কাছে রুবেল ফেরত চাইলে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে লাল মিয়া রুবেল আহমদকে তার ভাড়াটিয়া দোকানে ডেকে নেয়। তখন লাল মিয়া টাকা ফেরত দিবে বলে তাকে বলাৎকার করে। বলাৎকারের পর রুবেলকে পরদিন টাকা দিবে বলে জানান। লাল মিয়ার কথামত পরদিন বুধবার রাত দেড়টার দিকে ভাড়াটিয়া দোকানে আসলে লাল মিয়া সাটার খুলে ভিতরে ঢুকে সাটারে তালা লাগিয়ে দিয়ে আবারো জোরপূর্বকভাবে রুবেলকে বলাৎকার করে।

 

রুবেল আহমদ তার স্বীকারোক্তি জবানবন্দীতে আরো জানান, তাকে বলাৎকার করার পর লাল মিয়া ক্লান্ত হয়ে খাটের উপরে বিছানায় শুয়ে পড়লে তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের ভিতর থাকা লোহার পাইপ সদৃশ্য বস্তু দিয়ে মাথায় দু’টি ও অন্ডকোষে ১টি আঘাত করলে লাল মিয়া মারা যান। পরে রুবেল দোকানের সাটারে বাহির দিকে তালা দিয়ে চলে যান।

 

এদিকে, আইসক্রিম বিক্রেতা লাল মিয়ার লাশ গত শুক্রবার সকালে দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় লাল মিয়ার মামাতো ভাই উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের লখাইরগ্রাম (বাগবাড়ি) গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র আহসান উল্লাহ বতাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে শুক্রবার কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে থানা পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় লাল মিয়ার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আটক করতে অভিযানে নামে। কললিস্ট তুলে সন্দেহভাজন হিসেবে রুবেল আহমদের ছোট ভাইসহ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর লাল মিয়ার খুনি হিসেবে রুবেল আহমদকে চিহ্নিত করে পুলিশ। পরে পালিয়ে থাকা অবস্থায় গোয়াইঘাট উপজেলার হাদারকান্দি বেরিবিল গ্রাম থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

Follow for More!

বলাৎকারের শিকার হওয়ায়’ আইসক্রিম বিক্রেতাকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
২০

অনলাইন ডেস্ক:: সিলেটের কানাইঘাটে আইসক্রিম বিক্রেতা আব্দুর রহমান লাল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘাতক রুবেল আহমদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী হাদারকান্দি বেরিবিল এলাকার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে একদল পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রুবেল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল আহমদ কানাইঘাট পৌরসভার ধর্মপুর গ্রামের নজিমুল হকের পুত্র।

 

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, আইসক্রিম বিক্রেতা আব্দুর রহমানকে (লাল মিয়া) রুবেল আহমদ নিজে হত্যা করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

 

জবানবন্দীতে রুবেল আহমদ জানান, আইসক্রিম বিক্রেতা লাল মিয়ার সাথে ২০১৮ সাল থেকে তার বন্ধুত্ব রয়েছে। সেই সুবাদে রুবেল আহমদের নিকট থেকে লাল মিয়া বেশ কিছু টাকা ধার নেন। ধার নেয়া টাকা লাল মিয়ার কাছে রুবেল ফেরত চাইলে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে লাল মিয়া রুবেল আহমদকে তার ভাড়াটিয়া দোকানে ডেকে নেয়। তখন লাল মিয়া টাকা ফেরত দিবে বলে তাকে বলাৎকার করে। বলাৎকারের পর রুবেলকে পরদিন টাকা দিবে বলে জানান। লাল মিয়ার কথামত পরদিন বুধবার রাত দেড়টার দিকে ভাড়াটিয়া দোকানে আসলে লাল মিয়া সাটার খুলে ভিতরে ঢুকে সাটারে তালা লাগিয়ে দিয়ে আবারো জোরপূর্বকভাবে রুবেলকে বলাৎকার করে।

 

রুবেল আহমদ তার স্বীকারোক্তি জবানবন্দীতে আরো জানান, তাকে বলাৎকার করার পর লাল মিয়া ক্লান্ত হয়ে খাটের উপরে বিছানায় শুয়ে পড়লে তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের ভিতর থাকা লোহার পাইপ সদৃশ্য বস্তু দিয়ে মাথায় দু’টি ও অন্ডকোষে ১টি আঘাত করলে লাল মিয়া মারা যান। পরে রুবেল দোকানের সাটারে বাহির দিকে তালা দিয়ে চলে যান।

 

এদিকে, আইসক্রিম বিক্রেতা লাল মিয়ার লাশ গত শুক্রবার সকালে দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় লাল মিয়ার মামাতো ভাই উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের লখাইরগ্রাম (বাগবাড়ি) গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র আহসান উল্লাহ বতাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে শুক্রবার কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে থানা পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় লাল মিয়ার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আটক করতে অভিযানে নামে। কললিস্ট তুলে সন্দেহভাজন হিসেবে রুবেল আহমদের ছোট ভাইসহ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর লাল মিয়ার খুনি হিসেবে রুবেল আহমদকে চিহ্নিত করে পুলিশ। পরে পালিয়ে থাকা অবস্থায় গোয়াইঘাট উপজেলার হাদারকান্দি বেরিবিল গ্রাম থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।