ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জৈন্তাপুরে অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে

২৬

স্টাফ রিপোর্ট:

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেছেন, ‘আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে হলে বিএনপির ৩১ দফাই হলো মানুষের মুক্তির সনদ। আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো আগে নিজেরা এই ৩১ দফা ভালো করে অনুধাবন করা এবং তারপর তা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।’

সম্প্রতি সিলেটের জৈন্তাপুর বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রচারপত্র বিলি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

অ্যাডভোকেট জামান বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর এই দেশ নির্বাচনহীন ও গণতন্ত্রহীন স্বৈরাচারের যাঁতাকলে পিষ্ট ছিল। গুম, খুন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করে রাষ্ট্রকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছিল। ২০১০ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর কি বিচার, যারা তাকে ঘর ছাড়া করেছিল, আজ তারা দেশ ছাড়া। যারা তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল, তারা আজ পলাতক।’

বিএনপির এই নেতা নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘যারা ইলিয়াস আলীকে গুম করে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। আজ ঘরে ঘরে ইলিয়াস আলীর আদর্শ তৈরি হয়েছে। গুমের সাথে জড়িতরা এবং স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তারা টার্গেট কিলিং ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের মনোবল ভাঙতে চায়। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। প্রয়োজনে স্বৈরাচারের দোসরদের মাটির গর্ত থেকে খুঁজে বের করে বিতাড়িত করা হবে।’

সিলেট-৪ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের দলের অনেক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও সিলেট-৪ এখনো বাকি আছে। আমি একজন প্রার্থী, তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তার পক্ষেই কাজ করব। আমাদের প্রতীক ধানের শীষ এবং নেতা তারেক রহমান—এটাই আমাদের বড় পরিচয়। পদ-পদবীর চেয়ে দলের স্বার্থ ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

কর্মী ও সমর্থকদের দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বড় জনসভার চেয়ে এখন ছোট ছোট উঠান বৈঠক ও ১০-২০ জনের গ্রুপ করে মানুষের কাছে ৩১ দফার বার্তা পৌঁছে দেওয়া বেশি জরুরি। ২০১৪ সালে জৈন্তাপুরের মানুষ যেভাবে নির্বাচনের তামাশা রুখে দিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই সীমান্ত অঞ্চলের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন আসবে-যাবে, কিন্তু আদর্শিক কর্মীদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’

 

বক্তব্য শেষে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে স্থানীয় বাজারে সাধারণ মানুষের মাঝে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন এবং ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ চালান। এ সময় জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার তিনটি আসনে ‘বিশেষ বরাদ্দ: যা জানালেন উপদেষ্টা

Follow for More!

জৈন্তাপুরে অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে

প্রকাশিত: ১১:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
২৬

স্টাফ রিপোর্ট:

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেছেন, ‘আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে হলে বিএনপির ৩১ দফাই হলো মানুষের মুক্তির সনদ। আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো আগে নিজেরা এই ৩১ দফা ভালো করে অনুধাবন করা এবং তারপর তা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।’

সম্প্রতি সিলেটের জৈন্তাপুর বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রচারপত্র বিলি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

অ্যাডভোকেট জামান বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর এই দেশ নির্বাচনহীন ও গণতন্ত্রহীন স্বৈরাচারের যাঁতাকলে পিষ্ট ছিল। গুম, খুন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করে রাষ্ট্রকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছিল। ২০১০ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর কি বিচার, যারা তাকে ঘর ছাড়া করেছিল, আজ তারা দেশ ছাড়া। যারা তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল, তারা আজ পলাতক।’

বিএনপির এই নেতা নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘যারা ইলিয়াস আলীকে গুম করে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। আজ ঘরে ঘরে ইলিয়াস আলীর আদর্শ তৈরি হয়েছে। গুমের সাথে জড়িতরা এবং স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তারা টার্গেট কিলিং ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের মনোবল ভাঙতে চায়। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। প্রয়োজনে স্বৈরাচারের দোসরদের মাটির গর্ত থেকে খুঁজে বের করে বিতাড়িত করা হবে।’

সিলেট-৪ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের দলের অনেক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও সিলেট-৪ এখনো বাকি আছে। আমি একজন প্রার্থী, তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তার পক্ষেই কাজ করব। আমাদের প্রতীক ধানের শীষ এবং নেতা তারেক রহমান—এটাই আমাদের বড় পরিচয়। পদ-পদবীর চেয়ে দলের স্বার্থ ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

কর্মী ও সমর্থকদের দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বড় জনসভার চেয়ে এখন ছোট ছোট উঠান বৈঠক ও ১০-২০ জনের গ্রুপ করে মানুষের কাছে ৩১ দফার বার্তা পৌঁছে দেওয়া বেশি জরুরি। ২০১৪ সালে জৈন্তাপুরের মানুষ যেভাবে নির্বাচনের তামাশা রুখে দিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই সীমান্ত অঞ্চলের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন আসবে-যাবে, কিন্তু আদর্শিক কর্মীদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’

 

বক্তব্য শেষে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে স্থানীয় বাজারে সাধারণ মানুষের মাঝে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন এবং ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ চালান। এ সময় জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।