
অনলাইন ডেস্ক : খুলনা নগরীর পৃথক দুটি স্থানে শিশুসহ চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় আলাউদ্দিন মৃধা (৩৫) নামের এক যুবককে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।
একই সময় নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তা কমিশনারের কালভার্টের পাশে বৃদ্ধা ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন—মহিদুন্নেছা (৫৫) এবং তার দুই নাতি ফাতিহা (৬) ও মুস্তাকিম (৮)। তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশু দুটি শেফার আহমেদ ও রুবি আক্তার দম্পতির সন্তান।
লবনচরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, রাতে লবণচরা এলাকা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশু ও তাদের নানি রয়েছেন। শিশু দুটির বাবা-মা চাকরি করেন। সকালে তারা শিশু দুটিকে নানির কাছে রেখে কাজের উদ্দেশে বের হয়ে যান। সন্ধ্যায় তারা দুজন বাড়িতে ফিরে এসে দরজায় নক করলে তাদের সাড়াশব্দ পান না। এরপর প্রতিবেশীদের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে নানির মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। একইসঙ্গে তারা ঘরের পাশে মুরগির ঘর থেকে শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহগুলো খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, তাদের তিনজনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই সুমন হাওলাদার জানান, আলাউদ্দিন করিমনগর এলাকার ইলোরা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রীসহ ঘরের বারান্দার সিঁড়িতে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ৬–৭ জন দুর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে আলাউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। হঠাৎ তারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। দুটি গুলি তার বুকে ও পেটে লাগে। পরে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তার গলায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিআইডিকে জানায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
এসআই বলেন, নিহত আলাউদ্দিন মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মাত্র ১০ দিন আগে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তির পর তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। তবে কোন কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
Channel Jainta News 24 
























