
আব্দুল হাদী , ওসমানীনগর::
সিলেট শহরের ভেতরে নাম্বার বিহীন অবৈধ সিএনজি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ,শহরের সাথে সংম্পৃক্ত উপজেলাগুলোতে তেমনটা নেই। এ কারনে সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকে আনা অবৈধ গাড়ি , নাম্বার বিহীন সিএনজির কোন সংখ্যার হিসেব নেই। আর এসব বেহিসেবি গাড়িগুলো দিয়ে সিলেট জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই গড়ে উটেছে অসংখ্যা সিএনজি স্ট্যান্ড।
রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ মোড়ে, হোটেল রেস্তোরার সামনে, ব্রীজের উপরে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফুটপাত সহ যত্রতত্র গড়ে উটেছে সিএনজি স্ট্যান্ড। যে কারনে পথচারি থেকে শুরু করে যানবাহন চলাচলেও পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলাতে যে সব সিএনজি চলাচল করে সেগুলো নাম্বার বিহীন না হয় মৌলভীবাজার , কুমিল্লা , হবিগঞ্জ থেকে আনা।
সড়কে গাড়ি চলাচল করতে হলে দিতে হয় টেক্স ,মানতে হয় বিআরটির দেয়া আইন । কিন্তু অবৈধ সিএনজি গুলো কাগজের তোয়াক্কা না করে চলে টোকেনের মাধ্যেমে। এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশ যখন রাস্তার অবৈধ গাড়ি ধড়পাকড় করেন তখন যে উপজেলায় অবস্থান করেন সেই উপজেলার সিএনজি ধরেন না । স্ট্যান্ডের রিসিট দেখে ছেড়ে দেন।
নতুন পারমিট না দেওয়ায় যত সময় গড়াচ্ছে অন্যান্য জেলা থেকে প্রতিনিয়ত আসছে সিএনজি। এভাবে সিএনজির সংখ্যা বাড়তে থাকলে স্ট্যান্ডের সংখ্যা আরো বাড়বে। এদিকে প্রশাসনের কোন নজরধারি না থাকায় এরকম হচ্ছে বলে মনে করছেন সর্বমহলে। এভাবে চলতে থাকলে কেউ সাময়িক লাভবান হলেও ক্ষতির দিক রয়েছে অনেক।
সড়কের নিরাপত্তায় যারা কাজ করেন বিষয়টি নিশ্চয় তাদের উপর বর্তায়। কেননা কিছু গাড়ি চলবে সরকারকে টেক্স দিয়ে আবার কিছু গাড়ি চলবে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্টানকে টেক্স নামক চাদা দিয়ে , এটা নিশ্চয় নিয়ম বহির্ভূত কাজ। তাই তারা যদি এদিকে দৃষ্টি দেন তাহলে বিষয়টির সমাধান হওয়া সম্ভব। নচেৎ সময় যত গড়াবে সমস্যা বাড়তে থাকবে।
Channel Jainta News 24 




















