
আব্দুল হাদী , ওসমানীনগর সিলেট:
দেশে নানান কর্মের নানান আইন থাকলেও সব আইনের প্রয়োগ নেই। আইনের শাসক যারা তারাও নিজ ইচ্ছাতে আইনের হয়ে কাজ করেন না। তারা আয়েশী ঘরে বসে অপেক্ষা করেন তাদের কাছে অভিযোগ যাবে ,অভিযোগকারী তাদের বহন করে এনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াবে।দেশে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে রয়েছে আইন। কিন্তু দেশের শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ের বাজারে থাকা হোটেল রেস্তোরা থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় চলছে শিশু শ্রম। এদিকে নেই কারো নজরধারি। এছাড়াও আইন বহির্ভুত কর্মকান্ড অহরহ সংগঠিত হলেও শাসকদের তেমন ভ্রুক্ষেপ থাকেনা।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ ও সংশোধনী অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে শ্রমে নিয়োগ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন হালকা কাজ করানো যেতে পারে, তবে এর জন্য নির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রযোজ্য। কোনো নিয়োগকর্তা শিশু শ্রমিক নিয়োগ করলে তাকে ৫,০০০ টাকা অর্থদন্ড করা হতে পারে। এই আইনের লক্ষ্য হলো শিশুদের কাজের সময় ও কাজের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা এবং কিছু নির্দিষ্ট বিপজ্জনক শিল্পে শিশুদের নিয়োগ নিষিদ্ধ করা।
আইন থাকলেও সিলেট শহর এবং এর প্রতিটি উপজেলার নামি দামি হোটেল রেস্ট্রুরেন্টে দেখা যায় ১৩-১৪ বছরের ছেলেরা বাহিরে ভেতরে কাজ করছে। কাজের সময় হলো, ভোর থেকে শুরু করে মধ্যে রাত পর্যন্ত। কেবল হোটেল রেস্ট্রুরেন্ট নয় , মেইল ফেক্টরিতেও চলছে শিশু শ্রম। বিশেষ করে দরিদ্র সীমার নিচে যে সমস্ত পরিবার বসবাস করে তাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া বাদ দিয়ে বিভিন্ন কাজে পাটিয়ে দেয়। পরিবার যেমন তোয়াক্কা করেনা আইনের তেমনি যারা কাজ করায় তারাও নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিশুদের দিয়ে পরিশ্রম করায়।
১৪ থেকে ১৮ বছরের কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দেখা যায় , গাড়ির গ্যারেজ , বাসের হেলফারসহ বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে তারা সংম্পৃক্ত থাকে।স্বাধীনতা পরবর্তি সময় থেকে যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছেন, সকলেই শিক্ষাখাতে উন্নয়ন করেছেন বলে গলা ফাটিয়ে বক্তব্য দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেশির ভাগ কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগের মূল কারন হলো, পরিবার থেকে লেখাপড়ার খর্চ যোগান দেওয়া সম্ভব হয়না । শিশু এবং কিশোরদের শ্রমের কারনে তারা হচ্ছে শিক্ষা বঞ্চিত। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে শিশু কিশোরদের লেখা পড়ার ব্যাবস্থা করলে উপকৃত হতো সমাজ এবং জাতি।
Channel Jainta News 24 





















