ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিকৃবির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১১:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৭ পড়া হয়েছে
৩৪

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

 

গতকাল রোববার এই উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও সাদা পায়রা উড্ডয়ন, কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

 

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে, সিকৃবির কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

 

জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি’র সভাপতি ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. নিজাম উদ্দিন, সিকৃবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম মাহবুব-ই-ইলাহী।

 

বক্তব্যে প্রফেসর ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পথচলা। কৃষিকে টেকসই ও লাভজনক করতে হলে আমাদের অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

 

প্রযুক্তিনির্ভর কৃষির মাধ্যমেই দারিদ্র বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।

 

সিকৃবির ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, জ্ঞান, মেধা ও মননের বিকাশে অনন্য এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের দূরদর্শী পদক্ষেপে সিলেট অঞ্চলের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

তিনি বলেন, তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানের একক প্রচেষ্টায় এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিকে প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি উপহার দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমেই এই দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত হতে পারে। আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণার কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কাজ করে যাচ্ছে।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ প্রমুখ।

 

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেজিস্ট্রার ও আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. এম. রাশেদ হাসনাত এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্যচাষ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’র আদি নববর্ষ উদযাপন

Follow for More!

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিকৃবির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত: ১১:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
৩৪

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

 

গতকাল রোববার এই উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও সাদা পায়রা উড্ডয়ন, কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

 

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে, সিকৃবির কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

 

জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি’র সভাপতি ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. নিজাম উদ্দিন, সিকৃবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম মাহবুব-ই-ইলাহী।

 

বক্তব্যে প্রফেসর ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পথচলা। কৃষিকে টেকসই ও লাভজনক করতে হলে আমাদের অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

 

প্রযুক্তিনির্ভর কৃষির মাধ্যমেই দারিদ্র বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।

 

সিকৃবির ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, জ্ঞান, মেধা ও মননের বিকাশে অনন্য এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের দূরদর্শী পদক্ষেপে সিলেট অঞ্চলের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

তিনি বলেন, তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানের একক প্রচেষ্টায় এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিকে প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি উপহার দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমেই এই দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত হতে পারে। আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণার কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কাজ করে যাচ্ছে।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ প্রমুখ।

 

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেজিস্ট্রার ও আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. এম. রাশেদ হাসনাত এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্যচাষ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন।