ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থে মৎস্য ও পোল্ট্রিতে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি প্রয়োজন— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১১:১৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৯ পড়া হয়েছে
২০

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “কৃষিখাতে ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হলেও মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতে এখনো ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেটে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এই খাতে বিদ্যুৎ বিল কমাতে বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। কিন্তু দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যনিরাপত্তার বৃহত্তর স্বার্থে মৎস্য ও পোল্ট্রিতে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি প্রয়োজন।”

 

আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর চৌধুরী অডিটোরিয়ামে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “ক্যাব যুব সংসদ-২০২৫” -এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে টাকার অঙ্ক দেখে পিছিয়ে থাকা যাবে না। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) অনুমোদন দিলে পুরো প্রক্রিয়া সহজ হবে।

 

বিদ্যুৎ খাতে বৈষম্যের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, রাঙ্গামাটিতে ২২০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও স্থানীয় মানুষ সেই সুবিধা পায় না; অথচ সেই এলাকায় এখনো দিনে ৫-৬ বার লোডশেডিং হয়। রাজধানীতেও নিম্নবিত্ত এলাকায় লোডশেডিং থাকলেও উচ্চবিত্ত এলাকায় তা নেই—এ ধরণের বৈষম্য দূর করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

উপদেষ্টা বলেন কপ সম্মেলনে “নেট জিরো কার্বন এমিশন” প্রতিশ্রুতিকে ধনী দেশগুলোর প্রতারণামূলক প্রস্তাব। ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমাবেনা অথচ কার্বন নিঃসরণে প্রযুক্তি দিতে চায়। তিনি বলেন, “বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের হিস্যা নগণ্য কিন্তু আমরা ভুক্তভোগী। ধনী দেশগুলো আসলে কার্বন নির্গমন কমাতে নয়, বরং ‘নেট জিরো’ ধারণার আড়ালে নতুন প্রযুক্তি ব্যবসা ও কর্পোরেট মুনাফা বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে।”

 

ক্যাব-এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) -এর সভাপতি সাবেক শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ক্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রযুক্তির বাইরে নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে- ডা. শামীমুর রহমান

Follow for More!

খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থে মৎস্য ও পোল্ট্রিতে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি প্রয়োজন— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ১১:১৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
২০

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “কৃষিখাতে ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হলেও মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতে এখনো ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেটে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এই খাতে বিদ্যুৎ বিল কমাতে বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। কিন্তু দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যনিরাপত্তার বৃহত্তর স্বার্থে মৎস্য ও পোল্ট্রিতে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি প্রয়োজন।”

 

আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর চৌধুরী অডিটোরিয়ামে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “ক্যাব যুব সংসদ-২০২৫” -এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে টাকার অঙ্ক দেখে পিছিয়ে থাকা যাবে না। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) অনুমোদন দিলে পুরো প্রক্রিয়া সহজ হবে।

 

বিদ্যুৎ খাতে বৈষম্যের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, রাঙ্গামাটিতে ২২০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও স্থানীয় মানুষ সেই সুবিধা পায় না; অথচ সেই এলাকায় এখনো দিনে ৫-৬ বার লোডশেডিং হয়। রাজধানীতেও নিম্নবিত্ত এলাকায় লোডশেডিং থাকলেও উচ্চবিত্ত এলাকায় তা নেই—এ ধরণের বৈষম্য দূর করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

উপদেষ্টা বলেন কপ সম্মেলনে “নেট জিরো কার্বন এমিশন” প্রতিশ্রুতিকে ধনী দেশগুলোর প্রতারণামূলক প্রস্তাব। ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমাবেনা অথচ কার্বন নিঃসরণে প্রযুক্তি দিতে চায়। তিনি বলেন, “বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের হিস্যা নগণ্য কিন্তু আমরা ভুক্তভোগী। ধনী দেশগুলো আসলে কার্বন নির্গমন কমাতে নয়, বরং ‘নেট জিরো’ ধারণার আড়ালে নতুন প্রযুক্তি ব্যবসা ও কর্পোরেট মুনাফা বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে।”

 

ক্যাব-এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) -এর সভাপতি সাবেক শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ক্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান।