ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জকিগঞ্জে নির্যাতন ধামা-চাপা দিতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০২:২২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৩ পড়া হয়েছে
১৯

আব্দুল মুক্তদির ::স্বামীর নির্যাতনকে ধামা-চাপা দিতে স্ত্রীর উপর মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার ষাইটশোলা গ্রামে। ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম এর অভিযোগে জানা গেছে, স্বামী ইসলাম উদ্দীনের সাথে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। আম্বিয়া বেগমের কোন সন্তানাদি না থাকায় প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হত। এবং স্বামীর সংসার করার স্বার্থে স্বামীর ক্ষেত-গৃহস্থী আম্বিয়া বেগম নিজ হাতে করতেন, নিজেই ধান কাটতেন, ধান মাড়াই দিতেন, সবজি চাষ করতেন।

এমতাবস্থার প্রেক্ষিতে স্বামী ইসলাম উদ্দীন তাহার স্ত্রী আম্বিয়া বেগমের পিতার বাড়ী থেকে মোটর সাইকেল কেনার জন্য ২ লক্ষ টাকা দাবি করে বসেন। কিন্তু আম্বিয়া বেগমের পিতা না থাকায় তিনি তার চাচার কাছ থেকে কান্না-কাটি করে পঞ্চাশ হাজার টাকা গত ২২/০২/২০২১ইং তারিখে নিয়ে দেন। কিন্তু তারপরও স্বামী ইসলাম উদ্দীন শান্ত থাকেননি। প্রতি রাতে স্ত্রীর উপর নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়িত করতেন। অমানবিকভাবে মারধর, সিগারেট এর শেক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করতেন। মোটর সাইকেল কেনার জন্য উল্লেখিত টাকা নেওয়ার পরও স্বামী ইসলাম উদ্দীন আরো টাকা দাবী করেন এবং স্ত্রী আম্বিয়া বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।

স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ২০২২ সালে আম্বিয়া বেগম তাহার নিজ পিতার বাড়ীতে চলে যান। তারপর প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর স্বামী ইসলাম উদ্দীন খলাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির ও বিরশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে পুনরায় তার নিজ বাড়ীতে স্ত্রী আম্বিয়া বেগমকে নিয়ে আসেন। আসার পর পুনরায় শুরু হয় নির্যাতনের কাহিনী। বার বার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০২৩ সালে জুন মাসের দিকে আম্বিয়া বেগম আবার নিজ পিত্রালয়ে চলে যান। আম্বিয়া বেগম নিজ পিত্রালয়ে চলে যাওয়ার ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর স্বামী ইসলাম উদ্দীন স্ত্রীর সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এমতাবস্থার প্রেক্ষিতে গত ০৩/০২/২০২৫ ইং তারিখে স্বামী ইসলাম উদ্দীন তাহার নির্যাতনের ধামা-চাপা ও স্ত্রীকে বিতাড়িত করার স্বার্থে জকিগঞ্জ উপজেলার হাকীম আদালতে একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেন। স্ত্রী আম্বিয়া বেগম ও তার দুই ভাই ও এক বোনসহ মোট চারজনের উপর উক্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। এব্যাপারে অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন নির্যাতিত আম্বিয়া বেগম।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃ ত্যু দ ণ্ড

Follow for More!

জকিগঞ্জে নির্যাতন ধামা-চাপা দিতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০২:২২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
১৯

আব্দুল মুক্তদির ::স্বামীর নির্যাতনকে ধামা-চাপা দিতে স্ত্রীর উপর মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার ষাইটশোলা গ্রামে। ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম এর অভিযোগে জানা গেছে, স্বামী ইসলাম উদ্দীনের সাথে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। আম্বিয়া বেগমের কোন সন্তানাদি না থাকায় প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হত। এবং স্বামীর সংসার করার স্বার্থে স্বামীর ক্ষেত-গৃহস্থী আম্বিয়া বেগম নিজ হাতে করতেন, নিজেই ধান কাটতেন, ধান মাড়াই দিতেন, সবজি চাষ করতেন।

এমতাবস্থার প্রেক্ষিতে স্বামী ইসলাম উদ্দীন তাহার স্ত্রী আম্বিয়া বেগমের পিতার বাড়ী থেকে মোটর সাইকেল কেনার জন্য ২ লক্ষ টাকা দাবি করে বসেন। কিন্তু আম্বিয়া বেগমের পিতা না থাকায় তিনি তার চাচার কাছ থেকে কান্না-কাটি করে পঞ্চাশ হাজার টাকা গত ২২/০২/২০২১ইং তারিখে নিয়ে দেন। কিন্তু তারপরও স্বামী ইসলাম উদ্দীন শান্ত থাকেননি। প্রতি রাতে স্ত্রীর উপর নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়িত করতেন। অমানবিকভাবে মারধর, সিগারেট এর শেক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করতেন। মোটর সাইকেল কেনার জন্য উল্লেখিত টাকা নেওয়ার পরও স্বামী ইসলাম উদ্দীন আরো টাকা দাবী করেন এবং স্ত্রী আম্বিয়া বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।

স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ২০২২ সালে আম্বিয়া বেগম তাহার নিজ পিতার বাড়ীতে চলে যান। তারপর প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর স্বামী ইসলাম উদ্দীন খলাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির ও বিরশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে পুনরায় তার নিজ বাড়ীতে স্ত্রী আম্বিয়া বেগমকে নিয়ে আসেন। আসার পর পুনরায় শুরু হয় নির্যাতনের কাহিনী। বার বার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০২৩ সালে জুন মাসের দিকে আম্বিয়া বেগম আবার নিজ পিত্রালয়ে চলে যান। আম্বিয়া বেগম নিজ পিত্রালয়ে চলে যাওয়ার ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর স্বামী ইসলাম উদ্দীন স্ত্রীর সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এমতাবস্থার প্রেক্ষিতে গত ০৩/০২/২০২৫ ইং তারিখে স্বামী ইসলাম উদ্দীন তাহার নির্যাতনের ধামা-চাপা ও স্ত্রীকে বিতাড়িত করার স্বার্থে জকিগঞ্জ উপজেলার হাকীম আদালতে একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেন। স্ত্রী আম্বিয়া বেগম ও তার দুই ভাই ও এক বোনসহ মোট চারজনের উপর উক্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। এব্যাপারে অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন নির্যাতিত আম্বিয়া বেগম।