
বিশেষ প্রতিনিধি:গোয়াইনঘাট-সীমান্তবর্তী জাফলং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাফলং (নলজুরি) ফাঁড়ির ইনচার্জ বিট অফিসার এসআই মারুফ আহমদ, যিনি গোয়াইনঘাট থানার আওতাধীন এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। নতুন যোগ হওয়া গোয়াইনঘাট থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তাঁর সাহসী নির্দেশনার মাধ্যমে অভিযানগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করছেন। মানবপাচার, চোরাচালান, অবৈধ বালু উত্তোলন এবং মাদকবিরোধী অভিযানে তাদের সমন্বিত নেতৃত্বে প্রতিদিন চলমান অভিযান ও নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারি এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে এনেছে।
সীমান্ত এলাকা জুড়ে বার্কি শ্রমিকদের কাছ থেকে নৌকা ও পাথর সংগ্রহে শাসনব্যবস্থার কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসআই মারুফ কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নদী ও চা বাগানের আশপাশে পরিচালিত অবৈধ বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি এবং চোরাচালান প্রতিরোধে তার নেতৃত্বে ফাঁড়ির পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এসব কার্যক্রমের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ কর্মকাণ্ডের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা জনগণ ও প্রশাসনের জন্য স্বস্তির বিষয়।
নলজুরি সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকার গরিব ও অসহায় লোকজনকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করত একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র। আগে প্রায় সময় এদের পাচারের সময় ভারতের বিএসএফ তাদের আটক করে বিজিবির হাতে দিত, পরে বিজিবি গোয়াইনঘাট থানায় সোপর্দ করত। বিজিবি বাদী হয়ে অবৈধভাবে বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দিলেও কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছিল না এই পাচার চক্রের কার্যক্রম।
অবশেষে এসআই মারুফ আহমদ এই বিটের দায়িত্ব পাওয়ার পর, ওসি তরিকুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে এক মাসের মধ্যে ৬/৭ জন মানবপাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হন। বর্তমানে চক্রটির অন্য সদস্যরা পুলিশের ভয়ে পলাতক রয়েছে এবং এলাকায় এখন আর একজন মানবপাচারকারীও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সীমান্ত এলাকায় স্বস্তি ও নিরাপত্তা ফিরে এসেছে।
মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এলাকার অপরাধের মাত্রা পুরোপুরি জিরো টলারেন্স এ না আসলেও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জিত হয়েছে। প্রতিদিন নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা। মাদকের বিরুদ্ধে এই ধারাবাহিক অভিযান এখন জাফলং এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এসআই মারুফের নির্দেশনায় ফাঁড়ির পুলিশ সীমান্তের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে। নতুন ওসি তরিকুল ইসলামের সাহসী ও স্পষ্ট নির্দেশনার কারণে প্রতিটি অভিযান হচ্ছে সুষ্ঠু, সংগঠিত ও কার্যকর। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই যৌথ নেতৃত্বের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষ এখন নিরাপদ বোধ করছেন এবং তাদের জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। প্রশাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এসআই মারুফ ও ওসি তরিকুল ইসলামের কার্যক্রমকে উদাহরণযোগ্য ও প্রশংসনীয় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এসআই মারুফ শুধু পুলিশি নির্দেশনা পালন করছেন না, বরং অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ এবং অভিযান পরিকল্পনায় নতুন কৌশল প্রয়োগ করছেন। ওসি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্ব ও তদারকিতে এই কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাদের পেশাদারিত্ব, সততা এবং দৃঢ় মনোবল স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের মধ্যে বিশেষ আস্থা ও সম্মান তৈরি করেছে।
জাফলং সীমান্ত এলাকায় তাদের যৌথ কার্যক্রম এখন দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এক মডেল উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এলাকাবাসী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একমত- এসআই মারুফ আহমদ ও ওসি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বেই জাফলং সীমান্তে শান্তি, নিরাপত্তা ও সামাজিক আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি অনন্য উদাহরণ।
Channel Jainta News 24 





















