ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলোচিত সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তা মাইনুল হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামীর জামিন নামঞ্জুর

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৬:১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৩ পড়া হয়েছে
১৯

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:: জৈন্তাপুরে আলোচিত

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কর্মকর্তা ময়নুল হোসেন আয়ানীকে (৫৫) সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

আজ বৃহস্পতিবার(২৩ অক্টোবর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মামলার প্রধান আসামি উমর আলী (২২)। বিচারক তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আহমদ।

 

নিহত ময়নুল হোসেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন। জানা যায় ২০২৪ সালের ১৩ জুন রাত ১২ টায় মইনুল হোসেন আয়ানি মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক সিলেট গ্যাস ৮ নং কুপ সম্মুখে একটি ডিআই পিক-আপ মোটরসাইকলকে চাপা দেয়। এর পর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলেই বিষয়টি প্রচার পায় । ( পোস্টমর্টেম) ময়নাতদন্ত ছাড়াই আয়ানির লাশ পরিবারের সদস্যরা দাফন করে। এ ঘটনায় তামাবিল হাইওয়ে থানার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়েছিল।

 

ময়নুল হোসেনের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর স্থানীয় মসজিদে এক বৈঠকে একই গ্রামের ইউসুফ আলী (২২) নামের এক তরুণ ময়নুল হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামও তিনি বলেন। উমনপুর গ্রামের হাইওয়ে ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন আজাদ খানের বাড়িতে লেচু চুরির ঘটনার সালিসের জেরে ময়নুল হোসেন আয়ানীকে হত্যা করা হয়।

 

ইউসুফ আলীর স্বীকারোক্তির পর নিহত ময়নুলের ভাই নাজমুল হোসাইন ওই বছরের ৭ জুলাই আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন। আদালত ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা রেকর্ড করার আদেশ দেন। ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর জৈন্তাপুর থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এতে উমনপুর গ্রামের উমর আলী (২২), সোহেল আহমদ বারেক (২২), ইউসুফ আলী (২২), সুবেদ আলী (২১), হরমুজ আলী (৪২), মোহাম্মদ আলী (৪২), মরম আলী (৬০), তাহের আলী (৪৫) ও সমসুর ইসলামকে (৫৪) আসামি করা হয়। মামলা করার পর আসামিরা পালিয়ে যান।

এই মামলার ৫নং আসামি হরমুজ আলী গত ২৬ মার্চ সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন। আরও জানা যায় হরিপুর বাজারে সেনাবাহিনীর উপর হামলা মামলায় উমর আলী ও হরমুজ আলীর নামে মামলা রয়েছে।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আহমদ বলেন, এর আগে উমর আলীর চাচা হরমুজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আজ উমর আলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। পরে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

 

এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তদের প্রতি ঘৃণা ও নিন্দা জানিয়ে এলাকাবাসী, বলেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনির বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

দলের জন্য হিফজুরের অবদান চিরস্বরনীয় হয়ে থাকবে : মিফতাহ সিদ্দিকী

Follow for More!

আলোচিত সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তা মাইনুল হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামীর জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত: ০৬:১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
১৯

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:: জৈন্তাপুরে আলোচিত

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কর্মকর্তা ময়নুল হোসেন আয়ানীকে (৫৫) সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

আজ বৃহস্পতিবার(২৩ অক্টোবর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মামলার প্রধান আসামি উমর আলী (২২)। বিচারক তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আহমদ।

 

নিহত ময়নুল হোসেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন। জানা যায় ২০২৪ সালের ১৩ জুন রাত ১২ টায় মইনুল হোসেন আয়ানি মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক সিলেট গ্যাস ৮ নং কুপ সম্মুখে একটি ডিআই পিক-আপ মোটরসাইকলকে চাপা দেয়। এর পর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলেই বিষয়টি প্রচার পায় । ( পোস্টমর্টেম) ময়নাতদন্ত ছাড়াই আয়ানির লাশ পরিবারের সদস্যরা দাফন করে। এ ঘটনায় তামাবিল হাইওয়ে থানার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়েছিল।

 

ময়নুল হোসেনের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর স্থানীয় মসজিদে এক বৈঠকে একই গ্রামের ইউসুফ আলী (২২) নামের এক তরুণ ময়নুল হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামও তিনি বলেন। উমনপুর গ্রামের হাইওয়ে ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন আজাদ খানের বাড়িতে লেচু চুরির ঘটনার সালিসের জেরে ময়নুল হোসেন আয়ানীকে হত্যা করা হয়।

 

ইউসুফ আলীর স্বীকারোক্তির পর নিহত ময়নুলের ভাই নাজমুল হোসাইন ওই বছরের ৭ জুলাই আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন। আদালত ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা রেকর্ড করার আদেশ দেন। ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর জৈন্তাপুর থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এতে উমনপুর গ্রামের উমর আলী (২২), সোহেল আহমদ বারেক (২২), ইউসুফ আলী (২২), সুবেদ আলী (২১), হরমুজ আলী (৪২), মোহাম্মদ আলী (৪২), মরম আলী (৬০), তাহের আলী (৪৫) ও সমসুর ইসলামকে (৫৪) আসামি করা হয়। মামলা করার পর আসামিরা পালিয়ে যান।

এই মামলার ৫নং আসামি হরমুজ আলী গত ২৬ মার্চ সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন। আরও জানা যায় হরিপুর বাজারে সেনাবাহিনীর উপর হামলা মামলায় উমর আলী ও হরমুজ আলীর নামে মামলা রয়েছে।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আহমদ বলেন, এর আগে উমর আলীর চাচা হরমুজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আজ উমর আলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। পরে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

 

এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তদের প্রতি ঘৃণা ও নিন্দা জানিয়ে এলাকাবাসী, বলেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনির বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।