ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড়লেখায় শরিফুল হক সাজুর নেতৃত্বে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক জনসভায় পরিণত

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৯:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১০ পড়া হয়েছে
১৬

বড়লেখা প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী প্রাণবন্ত গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক পরিচালনা করেন।

 

১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে বড়লেখা উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ও ১৮০ দিনের কর্মপরিকল্পনা জনগণের মাঝে প্রচার করেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন।

 

গণসংযোগকালে তিনি হাজীগঞ্জ বাজারসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

 

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাজু বলেন, বাংলাদেশ এখন গভীর সংকটে। তারেক রহমানের ৩১ দফা ও ১৮০ দিনের কর্মপরিকল্পনাই এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”

 

গণসংযোগ শেষে বাদ এশা জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের বড়ধামাই স্কুল মাঠে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শরিফুল হক সাজুর উপস্থিতিতে সেই উঠান বৈঠক মুহূর্তেই পরিণত হয় বিশাল জনসভায়।

 

উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরিফুল হক সাজু বলেন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার আন্দোলনে নেমেছি, তা কোনো দলের জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির আন্দোলন। এই ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে আইনের শাসন ফিরবে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ হবে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।

 

তিনি আরও বলেন

আমি এই আসনের সন্তান। আমার রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়। আমি বড়লেখা ও জুড়ীর মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমরা একসাথে হলে গণতন্ত্র ফিরবে, মানুষের অধিকার ফিরবে।”

 

সভায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে শরিফুল হক সাজুর বক্তব্য শুনেন এবং বক্তারা বলেন, শরিফুল হক সাজু শুধু প্রবাসে নয়, দেশের রাজনীতিতেও নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষ। তিনি দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন।”

 

শেষে শরিফুল হক সাজু উপস্থিত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপির পতাকা তলে আন্দোলন-সংগ্রামে শামিল হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Follow for More!

বড়লেখায় শরিফুল হক সাজুর নেতৃত্বে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক জনসভায় পরিণত

প্রকাশিত: ০৯:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
১৬

বড়লেখা প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী প্রাণবন্ত গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক পরিচালনা করেন।

 

১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে বড়লেখা উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ও ১৮০ দিনের কর্মপরিকল্পনা জনগণের মাঝে প্রচার করেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন।

 

গণসংযোগকালে তিনি হাজীগঞ্জ বাজারসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

 

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাজু বলেন, বাংলাদেশ এখন গভীর সংকটে। তারেক রহমানের ৩১ দফা ও ১৮০ দিনের কর্মপরিকল্পনাই এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”

 

গণসংযোগ শেষে বাদ এশা জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের বড়ধামাই স্কুল মাঠে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শরিফুল হক সাজুর উপস্থিতিতে সেই উঠান বৈঠক মুহূর্তেই পরিণত হয় বিশাল জনসভায়।

 

উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরিফুল হক সাজু বলেন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার আন্দোলনে নেমেছি, তা কোনো দলের জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির আন্দোলন। এই ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে আইনের শাসন ফিরবে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ হবে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।

 

তিনি আরও বলেন

আমি এই আসনের সন্তান। আমার রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়। আমি বড়লেখা ও জুড়ীর মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমরা একসাথে হলে গণতন্ত্র ফিরবে, মানুষের অধিকার ফিরবে।”

 

সভায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে শরিফুল হক সাজুর বক্তব্য শুনেন এবং বক্তারা বলেন, শরিফুল হক সাজু শুধু প্রবাসে নয়, দেশের রাজনীতিতেও নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষ। তিনি দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন।”

 

শেষে শরিফুল হক সাজু উপস্থিত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপির পতাকা তলে আন্দোলন-সংগ্রামে শামিল হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।