ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০ নভেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্র এবং প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১১:০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৩ পড়া হয়েছে
১৮

আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে এসব রিটেইল সেবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দপ্তর ও অন্য শাখায় বন্ধ হয়ে যাবে

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশ  ব্যাংক সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ডসহ সাধারণ মানুষের জন্য দেওয়া পাঁচটি সরকারি রিটেইল সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো, ভবন আধুনিকায়ন এবং উন্নত ভল্ট সুবিধা তৈরির লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে এসব রিটেইল সেবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দপ্তর ও অন্য শাখায় বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং শিগগিরই জনসাধারণকে অবহিত করতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

 

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮টি কাউন্টারের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ হয়ে ১০ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র আদান–প্রদান, প্রাইজবন্ড বিক্রি, ত্রুটিযুক্ত নোট বিনিময়, পিএডি আদান–প্রদান এবং চালানের ভাংতি—এই পাঁচটি সেবা বন্ধ হচ্ছে। এসব সেবা প্রদানে ব্যবহৃত ১২টি কাউন্টারও বন্ধ থাকবে। তবে দাপ্তরিক প্রয়োজন বিবেচনায় সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বা চালানসংক্রান্ত লেনদেনের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কাউন্টার চালু থাকবে।

 

গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক কয়েকটি সভায় বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়। ২২ জুন গভর্নর ব্যাংকের মূল ভবনের ক্যাশ বিভাগ পরিদর্শন করে কয়েকটি নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয় তুলে ধরেন। এরপর গঠিত কমিটি সেপ্টেম্বরের অগ্রগতি সভায় তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবন কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালার আওতাভুক্ত। একই ভবনে মুদ্রা ইস্যু–বিতরণ, ভল্ট কার্যক্রম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং তদারকির মতো স্পর্শকাতর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখানে সাধারণ মানুষের অতিরিক্ত জমায়েত নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অতীতে রিজার্ভ হ্যাকিং, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি, ভবনের ভেতর ছবি–ভিডিও ধারণ এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

 

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রির মতো সেবা সহজেই দেশের ৬০টির বেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব এবং বিশ্বের কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি জনগণকে এ ধরনের রিটেইল সেবা দেয় না। ফলে এসব সেবা বন্ধ হলেও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে না।

 

তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ হলেও আগে ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তির আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সব সেবা চালু থাকবে। মেয়াদপূর্তির পর এসব সঞ্চয়পত্র পুনঃবিনিয়োগ করা যাবে না। পুরোনো সঞ্চয়পত্র সম্পর্কিত ব্যাংক হিসাব পরিবর্তন, মোবাইল নম্বর হালনাগাদ, নমিনি সংযোজন বা পরিবর্তন, ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনির মাধ্যমে পরিচালনা, আগাম নগদায়ন এবং আইনগত কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিবারের সন্দেহ বন্ধুরাই হত্যা করেছে সৌরভকে

Follow for More!

৩০ নভেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্র এবং প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ১১:০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
১৮

আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে এসব রিটেইল সেবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দপ্তর ও অন্য শাখায় বন্ধ হয়ে যাবে

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশ  ব্যাংক সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ডসহ সাধারণ মানুষের জন্য দেওয়া পাঁচটি সরকারি রিটেইল সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো, ভবন আধুনিকায়ন এবং উন্নত ভল্ট সুবিধা তৈরির লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে এসব রিটেইল সেবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দপ্তর ও অন্য শাখায় বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং শিগগিরই জনসাধারণকে অবহিত করতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

 

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮টি কাউন্টারের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ হয়ে ১০ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র আদান–প্রদান, প্রাইজবন্ড বিক্রি, ত্রুটিযুক্ত নোট বিনিময়, পিএডি আদান–প্রদান এবং চালানের ভাংতি—এই পাঁচটি সেবা বন্ধ হচ্ছে। এসব সেবা প্রদানে ব্যবহৃত ১২টি কাউন্টারও বন্ধ থাকবে। তবে দাপ্তরিক প্রয়োজন বিবেচনায় সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বা চালানসংক্রান্ত লেনদেনের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কাউন্টার চালু থাকবে।

 

গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক কয়েকটি সভায় বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়। ২২ জুন গভর্নর ব্যাংকের মূল ভবনের ক্যাশ বিভাগ পরিদর্শন করে কয়েকটি নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয় তুলে ধরেন। এরপর গঠিত কমিটি সেপ্টেম্বরের অগ্রগতি সভায় তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবন কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালার আওতাভুক্ত। একই ভবনে মুদ্রা ইস্যু–বিতরণ, ভল্ট কার্যক্রম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং তদারকির মতো স্পর্শকাতর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখানে সাধারণ মানুষের অতিরিক্ত জমায়েত নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অতীতে রিজার্ভ হ্যাকিং, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি, ভবনের ভেতর ছবি–ভিডিও ধারণ এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

 

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রির মতো সেবা সহজেই দেশের ৬০টির বেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব এবং বিশ্বের কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি জনগণকে এ ধরনের রিটেইল সেবা দেয় না। ফলে এসব সেবা বন্ধ হলেও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে না।

 

তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ হলেও আগে ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তির আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সব সেবা চালু থাকবে। মেয়াদপূর্তির পর এসব সঞ্চয়পত্র পুনঃবিনিয়োগ করা যাবে না। পুরোনো সঞ্চয়পত্র সম্পর্কিত ব্যাংক হিসাব পরিবর্তন, মোবাইল নম্বর হালনাগাদ, নমিনি সংযোজন বা পরিবর্তন, ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনির মাধ্যমে পরিচালনা, আগাম নগদায়ন এবং আইনগত কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে।