জৈন্তাপুরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রবি মৌসুমে সরিষাসহ বিভিন্ন রবি ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কৃষকদের মধ্যে ছিল উৎসাহ ও স্বস্তির হাসি।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জর্জ মিত্র চাকমা। তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। সরকারের এই সহায়তা যাতে যথাযথভাবে কাজে লাগে, সে জন্য কৃষকদের আন্তরিকভাবে মাঠে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি।
জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, এ কর্মসূচি কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমাতে বড় ভূমিকা রাখবে এবং তাদের আধুনিক কৃষি ভাবনায় উৎসাহিত করবে। তিনি জানান, রবি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আবাদ ও ফলন বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার নুরুল ইসলাম খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলার সকল উপসহকারী কৃষি অফিসার, যারা কৃষকদের নানামুখী দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের হাতে ১ কেজি করে সরিষার বীজ, পাশাপাশি ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
এতে কৃষকদের রবি মৌসুমের প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী হবে বলে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৌসুম শুরুর আগে বাজারে সার ও বীজের দাম বৃদ্ধির কারণে তারা চিন্তিত ছিলেন। তবে বিনামূল্যে সরিষার বীজ এবং প্রয়োজনীয় সার পেয়ে তাদের প্রাথমিক ব্যয়ের চাপ অনেকটাই কমে গেছে।
নতুন মৌসুমের শুরুতে এ সরকারি সহায়তা কৃষকদের কাছে শুধু প্রণোদনা নয়-বরং তাদের প্রচেষ্টা ও আত্মবিশ্বাসকে আরও শক্ত ভিত্তি দেবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। যথাযথ তদারকি ও কৃষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা মিললে জৈন্তাপুরে সরিষা আবাদে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।