ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটের আলী আমজদের ঘড়ির সামনে অবাঞ্ছিত ট্রান্সফরমার ও তারের জটলা

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০১:৪৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৬ পড়া হয়েছে
৪১

সিলেটের দেড়শো বছরের পুরনো আলী আমজদের ঘড়ি সিলেটের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য বাহী ঘড়িটি দেখতে আসেন দেশ বিদেশ থেকে অনেক পর্যটকরা এবং ঘড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য তোলেন ছবিও, কিন্তু ছবির ফ্রেইমে চলে আসে ঘড়ির সামনে একটি বড় ট্রান্সফরমার ও তারের ছড়াছড়ি জটলা যার ফলে ঘড়ির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। ঘড়িটির দিকে তাকালেউ সৌন্দর্যের আকর্ষণ নষ্ট করে ফেলছে এসব বিদুৎতের তার এবং ট্রান্সফরমার। এমনকি গেলো দুদিন আগেও বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের ট্রফি উম্মোচন করতে গিয়েও ঘড়িটি ভিডিও ফুটেজ নিতে গিয়ে দেখা যায় এই ট্রান্সফরমার যা পর্যটকদের কাছে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু বর্তমানে।

 

 

কয়েকজন পর্যটকের সাথে বিকেল বেলায় কথা বললে জানান, জেলা প্রশাসন বা যারা এটির রক্ষণাবেক্ষণ করছেন তাদের উঁচিত ঘড়ির সামনে থেকে এসব কারেন্টের তার সরিয়ে দেয়া এবং ট্রান্সফরমারটি এখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় স্থাপন করা। এটি সিলেটের একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা এর চারপাশ থাকবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কারণ যারাই ঘুরতে আসে তারাই চায় সুন্দর ভাবে ছবি তোলতে ঘড়ির সামনে দাঁড়িয়ে।

 

স্থানীয় দুইজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের সিলেট বাসীর ঐতিহ্য বাহী একটি স্থাপনা আলী আমজদের ঘড়ি এটি আসলে বিশ্রি দেখায় আমরা চাই ঘড়ির সামনের জায়গাটি সুন্দর থাকুক কারেন্টের তার ও ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে নিলে ঘড়িটির চারপাশ দেখতে আরও সুন্দর লাগবে। আমরা প্রশাসন ও সিলেট সির্টি কর্পোরেশন ও বিদ্যুৎ অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এখান থেকে সরিয়ে এটা অন্য জায়গায় স্থাপন করা হউক।

 

উল্লেখ্য, সুরমা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত এই ঘড়ির ডায়ামিটার আড়াই ফুট এবং ঘড়ির কাঁটা দুই ফুট লম্বা। যখন ঘড়ির অবাধ প্রচলন ছিল না, সেসময় অর্থাৎ ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে সিলেট মহানগরীর প্রবেশদ্বার (উত্তর সুরমা) কীন ব্রিজের ডানপার্শ্বে সুরমা নদীর তীরে এই ঐতিহাসিক ঘড়িঘরটি নির্মাণ করেন সিলেটের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার আলী আহমদ খান, তার ছেলে আলী আমজদের নামকরণে। লোহার খুঁটির উপর ঢেউটিন দিয়ে সুউচ্চ গম্বুজ আকৃতির স্থাপত্যশৈলীর ঘড়িঘরটি তখন থেকেই আলী আমজদের ঘড়িঘর নামে পরিচিতি লাভ করে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Follow for More!

সিলেটের আলী আমজদের ঘড়ির সামনে অবাঞ্ছিত ট্রান্সফরমার ও তারের জটলা

প্রকাশিত: ০১:৪৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
৪১

সিলেটের দেড়শো বছরের পুরনো আলী আমজদের ঘড়ি সিলেটের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য বাহী ঘড়িটি দেখতে আসেন দেশ বিদেশ থেকে অনেক পর্যটকরা এবং ঘড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য তোলেন ছবিও, কিন্তু ছবির ফ্রেইমে চলে আসে ঘড়ির সামনে একটি বড় ট্রান্সফরমার ও তারের ছড়াছড়ি জটলা যার ফলে ঘড়ির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। ঘড়িটির দিকে তাকালেউ সৌন্দর্যের আকর্ষণ নষ্ট করে ফেলছে এসব বিদুৎতের তার এবং ট্রান্সফরমার। এমনকি গেলো দুদিন আগেও বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের ট্রফি উম্মোচন করতে গিয়েও ঘড়িটি ভিডিও ফুটেজ নিতে গিয়ে দেখা যায় এই ট্রান্সফরমার যা পর্যটকদের কাছে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু বর্তমানে।

 

 

কয়েকজন পর্যটকের সাথে বিকেল বেলায় কথা বললে জানান, জেলা প্রশাসন বা যারা এটির রক্ষণাবেক্ষণ করছেন তাদের উঁচিত ঘড়ির সামনে থেকে এসব কারেন্টের তার সরিয়ে দেয়া এবং ট্রান্সফরমারটি এখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় স্থাপন করা। এটি সিলেটের একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা এর চারপাশ থাকবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কারণ যারাই ঘুরতে আসে তারাই চায় সুন্দর ভাবে ছবি তোলতে ঘড়ির সামনে দাঁড়িয়ে।

 

স্থানীয় দুইজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের সিলেট বাসীর ঐতিহ্য বাহী একটি স্থাপনা আলী আমজদের ঘড়ি এটি আসলে বিশ্রি দেখায় আমরা চাই ঘড়ির সামনের জায়গাটি সুন্দর থাকুক কারেন্টের তার ও ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে নিলে ঘড়িটির চারপাশ দেখতে আরও সুন্দর লাগবে। আমরা প্রশাসন ও সিলেট সির্টি কর্পোরেশন ও বিদ্যুৎ অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এখান থেকে সরিয়ে এটা অন্য জায়গায় স্থাপন করা হউক।

 

উল্লেখ্য, সুরমা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত এই ঘড়ির ডায়ামিটার আড়াই ফুট এবং ঘড়ির কাঁটা দুই ফুট লম্বা। যখন ঘড়ির অবাধ প্রচলন ছিল না, সেসময় অর্থাৎ ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে সিলেট মহানগরীর প্রবেশদ্বার (উত্তর সুরমা) কীন ব্রিজের ডানপার্শ্বে সুরমা নদীর তীরে এই ঐতিহাসিক ঘড়িঘরটি নির্মাণ করেন সিলেটের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার আলী আহমদ খান, তার ছেলে আলী আমজদের নামকরণে। লোহার খুঁটির উপর ঢেউটিন দিয়ে সুউচ্চ গম্বুজ আকৃতির স্থাপত্যশৈলীর ঘড়িঘরটি তখন থেকেই আলী আমজদের ঘড়িঘর নামে পরিচিতি লাভ করে।