ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে চুরি: ৩জনকে মারধর নগদ টাকা সহ স্বালংকার লুটের: অভিযোগ

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৭:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৮ পড়া হয়েছে
২৭

নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- নবীগঞ্জ এক প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধষ চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ৫জন ডাকাত ঘরের দরজা ভঙ্গে বিধবা গৃহকর্মীকে মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। বিধবা মহিলার সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পরিবারের সু-চিকিৎসার ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদের তাদের একটি মোবাইল ফোন ও জোড়া জুতা ফেলে যায়। যা স্থানীয় গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়েরকালে ফেলে যাওয়া আলামতগুলো জমা দেয়া হয়। কিন্তু থানা পুলিশ মামলাটি আমলে না নেয়ায় হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে ৫ চুরকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের বৈঠাখাল গ্রামের উমান প্রবাসী রামিম হোসেনের বাড়িতে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৫ইংরেজী তারিখ রোজ শুক্রবার দিবাগত রাতে একই গ্রামের মাদক সেবী ও চুর ডাকাত প্রকৃতির আসামী খোকন মিয়া (৫), শিপন মিয়া (২৬), শাকিব আলী (৩৭), মুতাচ্ছির মিয়া (৩৫) ও লিটন দাশ (২৫) রাতের বেলা ঘরের দরজা ভেঙ্গে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাহেরা বেগম বলেন, আমার বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আমাদেরকে বেধরক মারপিট শুরু করে সুকেসের চাবি নেওয়ার জন্য। আমার ঘরে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় আমার বৃদ্ধ মা ও মেয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও জিম্মি করে গলা থেকে স্বর্ণের চেইন, কানের ধূল চিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও ঘরে থাকা নগদ ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা সুকেসের ডয়ার ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার মায়ে হাতে বাড়ি মেরে হাত ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় আমাদের আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতরা তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা তাদের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও এক জোড়া জুতা ফেলে যায়। পরদিন আমরা ঐ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে উপরোলেখিত আসামীগনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু আমার অভিযোগটির কোন সুস্থ কার্যক্রম সংঘটিত হয়নি। বরং মামলার খবরে আমার পাশবর্তি আসামীরা প্রতি রাতেই আমার বাড়িতে হানা দিয়ে টিনের চালে ডিল মারতে থাকে। এবং প্রচার করে বেড়ায় যে, কোন এক রাতে আমাদেরকে তারা জবাই করে ফেলবে। থানায় ঘুরতে ঘুরতে কোন নিরাপত্তা না পেয়ে আমাদের গ্রামের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম কালাম সহ গ্রামের গণ্যমান্য মুরুব্বিদের কাছে বিচার চেয়েও আমরা কোন নিরাপত্তার আশ্রয় না পেয়ে অবশেষে ৯ই নভেম্বর ২০২৫ইংরেজী তারিখে আমি সাহেরা বেগম বাদী হয়ে উপরোল্লিখিত আসামীগণদেী বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আসামীগণ দূর্দান্ত ধাঙ্গাবাজ, লাটিয়াল, চুর, ডাকাত ও উশৃংখল প্রকৃতির লোক বটে। প্রকান্তরে আমি নিরহ বিধবা, পরিবারে শুধু তিন মহিলা উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে প্রাণ নাশের হুমকিতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা প্রাণ ভয়ে গ্রামের এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে রাত্রি যাপন করছি। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

এ ব্যাপারে গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাজল দেব এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, মোবাইল এবং জুতা তাদের জামানতে আছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের তদন্তে পূর্ব বিরুদ্ধের জের ধরে হয় তো মারামারিকালে একটি মোবাইল ও জুতাটি বাদী পক্ষ আটকে রেখেছে। আমরা চুরি বা ডাকাতির কোন প্রমান পাইনি।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

জৈন্তাপুরের ৪০ জন হাজী মিলিত হলেন মক্কা মদিনায়: আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু সহ ঘুরে দেখালেন ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান

Follow for More!

নবীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে চুরি: ৩জনকে মারধর নগদ টাকা সহ স্বালংকার লুটের: অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
২৭

নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- নবীগঞ্জ এক প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধষ চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ৫জন ডাকাত ঘরের দরজা ভঙ্গে বিধবা গৃহকর্মীকে মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। বিধবা মহিলার সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পরিবারের সু-চিকিৎসার ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদের তাদের একটি মোবাইল ফোন ও জোড়া জুতা ফেলে যায়। যা স্থানীয় গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়েরকালে ফেলে যাওয়া আলামতগুলো জমা দেয়া হয়। কিন্তু থানা পুলিশ মামলাটি আমলে না নেয়ায় হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে ৫ চুরকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের বৈঠাখাল গ্রামের উমান প্রবাসী রামিম হোসেনের বাড়িতে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৫ইংরেজী তারিখ রোজ শুক্রবার দিবাগত রাতে একই গ্রামের মাদক সেবী ও চুর ডাকাত প্রকৃতির আসামী খোকন মিয়া (৫), শিপন মিয়া (২৬), শাকিব আলী (৩৭), মুতাচ্ছির মিয়া (৩৫) ও লিটন দাশ (২৫) রাতের বেলা ঘরের দরজা ভেঙ্গে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাহেরা বেগম বলেন, আমার বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আমাদেরকে বেধরক মারপিট শুরু করে সুকেসের চাবি নেওয়ার জন্য। আমার ঘরে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় আমার বৃদ্ধ মা ও মেয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও জিম্মি করে গলা থেকে স্বর্ণের চেইন, কানের ধূল চিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও ঘরে থাকা নগদ ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা সুকেসের ডয়ার ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার মায়ে হাতে বাড়ি মেরে হাত ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় আমাদের আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতরা তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা তাদের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও এক জোড়া জুতা ফেলে যায়। পরদিন আমরা ঐ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে উপরোলেখিত আসামীগনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু আমার অভিযোগটির কোন সুস্থ কার্যক্রম সংঘটিত হয়নি। বরং মামলার খবরে আমার পাশবর্তি আসামীরা প্রতি রাতেই আমার বাড়িতে হানা দিয়ে টিনের চালে ডিল মারতে থাকে। এবং প্রচার করে বেড়ায় যে, কোন এক রাতে আমাদেরকে তারা জবাই করে ফেলবে। থানায় ঘুরতে ঘুরতে কোন নিরাপত্তা না পেয়ে আমাদের গ্রামের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম কালাম সহ গ্রামের গণ্যমান্য মুরুব্বিদের কাছে বিচার চেয়েও আমরা কোন নিরাপত্তার আশ্রয় না পেয়ে অবশেষে ৯ই নভেম্বর ২০২৫ইংরেজী তারিখে আমি সাহেরা বেগম বাদী হয়ে উপরোল্লিখিত আসামীগণদেী বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আসামীগণ দূর্দান্ত ধাঙ্গাবাজ, লাটিয়াল, চুর, ডাকাত ও উশৃংখল প্রকৃতির লোক বটে। প্রকান্তরে আমি নিরহ বিধবা, পরিবারে শুধু তিন মহিলা উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে প্রাণ নাশের হুমকিতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা প্রাণ ভয়ে গ্রামের এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে রাত্রি যাপন করছি। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

এ ব্যাপারে গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাজল দেব এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, মোবাইল এবং জুতা তাদের জামানতে আছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের তদন্তে পূর্ব বিরুদ্ধের জের ধরে হয় তো মারামারিকালে একটি মোবাইল ও জুতাটি বাদী পক্ষ আটকে রেখেছে। আমরা চুরি বা ডাকাতির কোন প্রমান পাইনি।