ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে ভুয়া ব্যবসায়ী সেজে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৬ জন গ্রেপ্তার

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০২:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৫ পড়া হয়েছে
৪২

সুনামগঞ্জে ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে পেয়াজ-রসুনের পাইকারি ব্যবসার আড়ালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জের একটি বিশেষ দল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন শ্রীবর্দীপুর ঘোষপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। অভিযানে র‌্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধার সদস্যরাও সহযোগিতা করেন

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রফিকুল ইসলাম সোহেল (৩৯), তার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৩৪), মোছা. শাহানা পারভীন (৪৩), মো. মশিউর রহমান ওরফে মাসুক (৩০), মো. শফিউর রহমান (২৬) এবং তার স্ত্রী রিনা আক্তার (২০)। এরা সবাই কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

র‌্যাব জানায়, প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রতারণার উদ্দেশ্যে স্বপরিবারে সুনামগঞ্জে এসে ভাড়া বাসা নেয় এবং ‘মেসার্স আব্দুল্লাহ বানিজ্যালয়’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করে। শুরুতে বাজারদরের চেয়ে কম দামে পেয়াজ, রসুন ও আলু বিক্রি করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করে তারা।পরে বড় চালানের অর্ডার দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি। টাকা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা দোকান বন্ধ করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

পরে র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জের একটি দল গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে এবং অভিযানের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে।

র্যাব জানায়, এই চক্রটি পূর্বেও দেশের বিভিন্ন জেলায় একই কায়দায় ব্যবসায়ীদের প্রতারণা করেছে এবং বর্তমানে গাইবান্ধা জেলাকে টার্গেট করে নতুন ফাঁদ তৈরি করেছিল।

র‌্যাব-৯ এর সিপিসি-৩ এর ‎সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কপিল দেব গাইন জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাবর গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ

Follow for More!

সুনামগঞ্জে ভুয়া ব্যবসায়ী সেজে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৬ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ০২:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
৪২

সুনামগঞ্জে ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে পেয়াজ-রসুনের পাইকারি ব্যবসার আড়ালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জের একটি বিশেষ দল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন শ্রীবর্দীপুর ঘোষপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। অভিযানে র‌্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধার সদস্যরাও সহযোগিতা করেন

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রফিকুল ইসলাম সোহেল (৩৯), তার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৩৪), মোছা. শাহানা পারভীন (৪৩), মো. মশিউর রহমান ওরফে মাসুক (৩০), মো. শফিউর রহমান (২৬) এবং তার স্ত্রী রিনা আক্তার (২০)। এরা সবাই কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

র‌্যাব জানায়, প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রতারণার উদ্দেশ্যে স্বপরিবারে সুনামগঞ্জে এসে ভাড়া বাসা নেয় এবং ‘মেসার্স আব্দুল্লাহ বানিজ্যালয়’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করে। শুরুতে বাজারদরের চেয়ে কম দামে পেয়াজ, রসুন ও আলু বিক্রি করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করে তারা।পরে বড় চালানের অর্ডার দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি। টাকা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা দোকান বন্ধ করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

পরে র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জের একটি দল গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে এবং অভিযানের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে।

র্যাব জানায়, এই চক্রটি পূর্বেও দেশের বিভিন্ন জেলায় একই কায়দায় ব্যবসায়ীদের প্রতারণা করেছে এবং বর্তমানে গাইবান্ধা জেলাকে টার্গেট করে নতুন ফাঁদ তৈরি করেছিল।

র‌্যাব-৯ এর সিপিসি-৩ এর ‎সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কপিল দেব গাইন জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাবর গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।