ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান: জরিমানা আদায় ও হর্ন জব্দ

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১০:০১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৮ পড়া হয়েছে
৪৭

 

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অদ্য ১৩ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে লালমনিরহাট, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় পৃথক মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

 

শব্দদূষণ বিরোধী অভিযানে তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মোট ০৯টি মামলা দায়ের করে ১১ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয় এবং ১৪টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে কয়েকজন যানবাহন চালককে সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।

 

অপরদিকে, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে লালমনিরহাট জেলায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণ করার দায়ে পরিচালিত অভিযানে ৩টি মামলা দায়ের করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। এছাড়া, পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্মাণ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

 

পরিবেশ অধিদপ্তরের সারাদেশব্যাপী চলমান দূষণবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ০২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত যানবাহন কর্তৃক মানমাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নিঃসরণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে মোট ১৮৩৮টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে ৪৬৪৭টি মামলার মাধ্যমে ২৭ কোটি ২১ লক্ষ ১৫ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।

 

একই সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ৪৯৬টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ২২২টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ১৩৮টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ২৮টি অবৈধ পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয় এবং ১৭০টি প্রতিষ্ঠানের সেবা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান হতে ১১ ট্রাক সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো বন্ধ করা হয়।

 

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায় যে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ

Follow for More!

শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান: জরিমানা আদায় ও হর্ন জব্দ

প্রকাশিত: ১০:০১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
৪৭

 

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অদ্য ১৩ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে লালমনিরহাট, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় পৃথক মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

 

শব্দদূষণ বিরোধী অভিযানে তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মোট ০৯টি মামলা দায়ের করে ১১ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয় এবং ১৪টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে কয়েকজন যানবাহন চালককে সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।

 

অপরদিকে, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে লালমনিরহাট জেলায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণ করার দায়ে পরিচালিত অভিযানে ৩টি মামলা দায়ের করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। এছাড়া, পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্মাণ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

 

পরিবেশ অধিদপ্তরের সারাদেশব্যাপী চলমান দূষণবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ০২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত যানবাহন কর্তৃক মানমাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নিঃসরণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে মোট ১৮৩৮টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে ৪৬৪৭টি মামলার মাধ্যমে ২৭ কোটি ২১ লক্ষ ১৫ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।

 

একই সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ৪৯৬টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ২২২টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ১৩৮টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ২৮টি অবৈধ পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয় এবং ১৭০টি প্রতিষ্ঠানের সেবা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান হতে ১১ ট্রাক সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো বন্ধ করা হয়।

 

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায় যে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।