ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জৈন্তাপুরের লাল শাপলার বিল কচুরিপানার দখলে, প্রশাসনের সুরক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৭:৫৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪৬ পড়া হয়েছে
৪৫

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অন্যতম লাল শাপলা বিল বর্তমানে প্রকৃতিগতভাবে কচুরিপানার বিস্তার নিয়ে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অচিরেই কচুরিপানা বিল বলে পরিচিতি লাভ করবে লাল শাপলা বিলটি।

প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিল রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের গঠিত লাল শাপলা সুরক্ষা কমিটি কি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে?

সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন পেশার স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওর (ইয়াম-হরফকাটা-ডিবি-কেন্দ্রী) এলাকায় ৯শত একর জায়গাজুড়ে চারটি প্রকৃতিগত লাল শাপলা বিল অবস্থিত। ২০১৬ সালে এই বিলগুলো সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সারাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে পরিচিতি পায়। দেশি-বিদেশী পর্যটকরা বিলের সৌন্দর্য্য দেখে প্রশংসা করেছেন।

তবে চলতি বছরে একটি বিলের (ইয়ামবিল) অর্ধেকের বেশি এলাকা কচুরিপানার দখলে চলে গেছে। দ্রুত বিস্তারমান কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা বিলের ধ্বংস হচ্ছে। পর্যটকরা শীঘ্রই লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার বিল দেখতে আসতে পারে, যা জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ বিনষ্ট করবে।

স্থানীয়রা জানান, লাল শাপলা সুরক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন একটি সুরক্ষা কমিটি গঠন করেছে। কমিটির মূল কাজ হলো বিলের শাপলা রক্ষা, ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদ চিহ্নিত করা এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা। পর্যটকদের নৌকা থেকে ১০০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করে বিলের বাঁধ ও পরিচর্যা কাজে ব্যয় করা হয়।

তবে ইয়ামবিলের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় অর্ধেক এলাকা কচুরিপানার দখলে চলে গেছে। লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার ফুল ফোটার কারণে বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলা রক্ষার দাবি তুলেছেন।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জমিত্র চাকমা বলেন, লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার কারণে শাপলা ধ্বংস হচ্ছে; বিষয়টি ইতোপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। তিনি আশ্বাস দেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় কচুরিপানা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন দিবস উদযাপিত: সমন্বিত পুনর্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা

Follow for More!

জৈন্তাপুরের লাল শাপলার বিল কচুরিপানার দখলে, প্রশাসনের সুরক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশিত: ০৭:৫৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
৪৫

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অন্যতম লাল শাপলা বিল বর্তমানে প্রকৃতিগতভাবে কচুরিপানার বিস্তার নিয়ে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অচিরেই কচুরিপানা বিল বলে পরিচিতি লাভ করবে লাল শাপলা বিলটি।

প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিল রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের গঠিত লাল শাপলা সুরক্ষা কমিটি কি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে?

সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন পেশার স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওর (ইয়াম-হরফকাটা-ডিবি-কেন্দ্রী) এলাকায় ৯শত একর জায়গাজুড়ে চারটি প্রকৃতিগত লাল শাপলা বিল অবস্থিত। ২০১৬ সালে এই বিলগুলো সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সারাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে পরিচিতি পায়। দেশি-বিদেশী পর্যটকরা বিলের সৌন্দর্য্য দেখে প্রশংসা করেছেন।

তবে চলতি বছরে একটি বিলের (ইয়ামবিল) অর্ধেকের বেশি এলাকা কচুরিপানার দখলে চলে গেছে। দ্রুত বিস্তারমান কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা বিলের ধ্বংস হচ্ছে। পর্যটকরা শীঘ্রই লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার বিল দেখতে আসতে পারে, যা জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ বিনষ্ট করবে।

স্থানীয়রা জানান, লাল শাপলা সুরক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন একটি সুরক্ষা কমিটি গঠন করেছে। কমিটির মূল কাজ হলো বিলের শাপলা রক্ষা, ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদ চিহ্নিত করা এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা। পর্যটকদের নৌকা থেকে ১০০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করে বিলের বাঁধ ও পরিচর্যা কাজে ব্যয় করা হয়।

তবে ইয়ামবিলের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় অর্ধেক এলাকা কচুরিপানার দখলে চলে গেছে। লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার ফুল ফোটার কারণে বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলা রক্ষার দাবি তুলেছেন।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জমিত্র চাকমা বলেন, লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার কারণে শাপলা ধ্বংস হচ্ছে; বিষয়টি ইতোপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। তিনি আশ্বাস দেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় কচুরিপানা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।