ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহান রুশ বিপ্লবের চেতনায় শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে হবে: কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৪:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩০ পড়া হয়েছে

Oplus_131072

১৭

মহান রুশ বিপ্লবের ১০৮ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার উদ্যোগে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার পূর্বে লাল পতাকা মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভা স্থলে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সমন্বয়ক এডভোকেট মহিতোষ দেব মলয় এর সভাপতিত্বে ও এডভোকেট রনেন সরকার রনি এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জননেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর রাশিয়ার বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেণী ততকালীন বুর্জোয়া সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল এবং পৃথিবীর বুকে প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র তথা শ্রমিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু মহামতি লেনিন ও স্ট্যালিনের মৃত্যুর পরে রাশিয়ার শোধনবাদী নেতৃত্বের কারণে পরবর্তীতে একটি পুজিবাদী রাষ্ট্রে পরিনত হয়। আজকে সোভিয়েত ইউনিয়ন না থাকলেও মহান রুশ বিপ্লবের শিক্ষা আজও বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের পথ দেখায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশর জনগণ বুর্জোয়া ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন সময় গণ অভ্যুত্থান করেছে। কিন্তু অভ্যুত্থানে শ্রমিক শ্রেণির যথার্থ প্রতিনিধির সংগঠিত শক্তি না থাকায় প্রতিবারই তা গণ-আকাংকা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানেও ব্যতিক্রম হয় নি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সিলেটের প্রশাসন শ্রমজীবী গরীব খেটে খাওয়া মানুষের সাথে চরম নিপীড়ন মূলক আচরন করছে। কথনো ব্যটারি রিক্সা উচ্ছেদ, আবার কখনো হকার উচ্ছেদ করে শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নিচ্ছে। অথচ তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা করছে না। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা সেটা ছিল না। ফলে রুশ বিপ্লবের শিক্ষার আলোকে শ্রমজীবী মানুষকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রুশ বিপ্লবের চেতনায় শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে হবে। আলোচনা সভা শেষে সমবেত কন্ঠে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড সুশান্ত সিনহা সুমন, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমরেড হৃদেশ মুদি, বাসদ সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড আবু জাফর, বাসদ সিলেট জেলার প্রাক্তন আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সিলেট জেলার সভাপতি কমরেড সিরাজ আহমদ, বাসদ মার্ক্সবাদী সিলেট জেলার সমন্বয়ক কমরেড সঞ্জয় কান্ত দাস, বাংলাদেশ নারী মুক্তি আন্দোলন সিলেট জেলার সংগঠক লক্ষী পাল, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক বিশ্বজিৎ শীল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা: হরিধন দাস, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেট জেলার আহবায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলার সভাপতি সফররাজ সানোয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট জেলার সভাপতি সুমিত কান্তি দাস পিনাক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি মাশরুক জলিল প্রমুখ।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রযুক্তির বাইরে নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে- ডা. শামীমুর রহমান

Follow for More!

মহান রুশ বিপ্লবের চেতনায় শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে হবে: কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ০৪:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
১৭

মহান রুশ বিপ্লবের ১০৮ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার উদ্যোগে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার পূর্বে লাল পতাকা মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভা স্থলে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সমন্বয়ক এডভোকেট মহিতোষ দেব মলয় এর সভাপতিত্বে ও এডভোকেট রনেন সরকার রনি এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জননেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর রাশিয়ার বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেণী ততকালীন বুর্জোয়া সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল এবং পৃথিবীর বুকে প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র তথা শ্রমিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু মহামতি লেনিন ও স্ট্যালিনের মৃত্যুর পরে রাশিয়ার শোধনবাদী নেতৃত্বের কারণে পরবর্তীতে একটি পুজিবাদী রাষ্ট্রে পরিনত হয়। আজকে সোভিয়েত ইউনিয়ন না থাকলেও মহান রুশ বিপ্লবের শিক্ষা আজও বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের পথ দেখায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশর জনগণ বুর্জোয়া ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন সময় গণ অভ্যুত্থান করেছে। কিন্তু অভ্যুত্থানে শ্রমিক শ্রেণির যথার্থ প্রতিনিধির সংগঠিত শক্তি না থাকায় প্রতিবারই তা গণ-আকাংকা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানেও ব্যতিক্রম হয় নি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সিলেটের প্রশাসন শ্রমজীবী গরীব খেটে খাওয়া মানুষের সাথে চরম নিপীড়ন মূলক আচরন করছে। কথনো ব্যটারি রিক্সা উচ্ছেদ, আবার কখনো হকার উচ্ছেদ করে শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নিচ্ছে। অথচ তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা করছে না। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা সেটা ছিল না। ফলে রুশ বিপ্লবের শিক্ষার আলোকে শ্রমজীবী মানুষকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রুশ বিপ্লবের চেতনায় শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে হবে। আলোচনা সভা শেষে সমবেত কন্ঠে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড সুশান্ত সিনহা সুমন, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমরেড হৃদেশ মুদি, বাসদ সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড আবু জাফর, বাসদ সিলেট জেলার প্রাক্তন আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সিলেট জেলার সভাপতি কমরেড সিরাজ আহমদ, বাসদ মার্ক্সবাদী সিলেট জেলার সমন্বয়ক কমরেড সঞ্জয় কান্ত দাস, বাংলাদেশ নারী মুক্তি আন্দোলন সিলেট জেলার সংগঠক লক্ষী পাল, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক বিশ্বজিৎ শীল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা: হরিধন দাস, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেট জেলার আহবায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলার সভাপতি সফররাজ সানোয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট জেলার সভাপতি সুমিত কান্তি দাস পিনাক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি মাশরুক জলিল প্রমুখ।