মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের বরইউরি গ্রামের ইব্রাহিমের স্ত্রী প্রিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ইব্রাহিম মিয়া ও শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ১ নভেম্বর শনিবার রাতে হৃদয়বিদারক ও রহস্যঘেরা মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। নিহত প্রিয়া’র মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেখে স্বামী ইব্রাহিম মিয়া, তার মা ও অন্যান্য স্বজনরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্বামী ইব্রাহিম ও নিহত প্রিয়ার শাশুড়ী পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের বরইউরি গ্রামের ইব্রাহিমের স্ত্রী প্রিয়া বেগম যিনি সম্প্রতি বর্ষিজুড়া এলাকার শাহিন মিয়ার কন্যা হিসেবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহে জর্জরিত ছিলেন।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রিয়া নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন এক মর্মস্পর্শী পোস্ট দিয়েছিলেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো: ‘দুনিয়ার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হলো বিয়ে, ভাগ্য করে সঠিক জীবনসঙ্গী পেলে সব ঠিক, আর না হলে কবর পর্যন্ত সবকিছু মানিয়ে নিতে হয়।’
এই স্ট্যাটাসের কিছু সময় পরই ঘটে তার মৃত্যু। নিহতের পরিবারের অভিযোগ প্রিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই মামুন আহমদ অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। ওদের পরিবার আগে থেকেই আমার বোনকে নির্যাতন করতো। তারা আমার বোন প্রিয়াকে হত্যা করে এখন লাশ রেখে পালিয়ে গিয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।