ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১০:২৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪৩ পড়া হয়েছে
১৬

মোঃ আব্দাল মিয়া:  হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের নির্বাচন উপকমিটির নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অসংখ্য নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। হবিগঞ্জ-২ আসনে ডা. জীবনের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের ঢেউ বয়ে যায়।

ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন শুধু একজন রাজনীতিক নন—তিনি একজন সমাজসেবক, চিকিৎসক ও জনতার আপনজন। দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা হয়, যার মধ্যে ১৩টি মামলাতেই তিনি আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হন। একাধিকবার কারাবরণ করেও দমে যাননি, বরং আরও দৃঢ় মনোবল নিয়ে দলের পাশে থেকেছেন। ঢাকার দুটি কারাগারে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করলেও তাঁর রাজনৈতিক আদর্শে কোনো ভাঁটা পড়েনি।

চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি মানুষের সেবায়ও তিনি নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। তিনি নিজ উদ্যোগে শতাধিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন, অসুস্থ ও দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন নিয়মিত। তাঁর এই মানবিক কর্মকাণ্ড তাঁকে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের সাধারণ মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে প্রয়াত জনাব আলী বিএনপি থেকে হবিগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর থেকে দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই আসনে বিএনপির আর কোনো প্রতিনিধি নির্বাচিত হননি। কিন্তু সেই হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ডা. জীবন। গত ১৬ বছরে তিনি দুই উপজেলার ৪৮৬টি গ্রাম ঘুরে সংগঠনকে ওয়ার্ড পর্যায়ে শক্তিশালী করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে একটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা সব পদেই বিজয়ী হয়—যা স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে তোলে।

দলের ভেতরে এবং বাইরে, ডা. জীবন এখন তৃণমূল কর্মীদের আশা ও প্রেরণার নাম। তাঁর প্রার্থিতা ঘোষণার পর বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের গ্রামেগঞ্জে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন—“ডা. জীবন শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের পরিবারের একজন সদস্য; তিনি পাশে থাকলে বিএনপি আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”

জনপ্রিয় এই চিকিৎসক-রাজনীতিকের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতি আবারও নতুন উদ্যমে জেগে উঠছে হবিগঞ্জ-২ আসনে। জনগণের ভালোবাসা ও তৃণমূলের ঐক্য—এই দুই শক্তিকে পুঁজি করেই তিনি এগিয়ে যেতে চান আগামীর পথচলায়।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Follow for More!

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন

প্রকাশিত: ১০:২৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
১৬

মোঃ আব্দাল মিয়া:  হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের নির্বাচন উপকমিটির নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অসংখ্য নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। হবিগঞ্জ-২ আসনে ডা. জীবনের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের ঢেউ বয়ে যায়।

ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন শুধু একজন রাজনীতিক নন—তিনি একজন সমাজসেবক, চিকিৎসক ও জনতার আপনজন। দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা হয়, যার মধ্যে ১৩টি মামলাতেই তিনি আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হন। একাধিকবার কারাবরণ করেও দমে যাননি, বরং আরও দৃঢ় মনোবল নিয়ে দলের পাশে থেকেছেন। ঢাকার দুটি কারাগারে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করলেও তাঁর রাজনৈতিক আদর্শে কোনো ভাঁটা পড়েনি।

চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি মানুষের সেবায়ও তিনি নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। তিনি নিজ উদ্যোগে শতাধিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন, অসুস্থ ও দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন নিয়মিত। তাঁর এই মানবিক কর্মকাণ্ড তাঁকে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের সাধারণ মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে প্রয়াত জনাব আলী বিএনপি থেকে হবিগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর থেকে দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই আসনে বিএনপির আর কোনো প্রতিনিধি নির্বাচিত হননি। কিন্তু সেই হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ডা. জীবন। গত ১৬ বছরে তিনি দুই উপজেলার ৪৮৬টি গ্রাম ঘুরে সংগঠনকে ওয়ার্ড পর্যায়ে শক্তিশালী করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে একটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা সব পদেই বিজয়ী হয়—যা স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে তোলে।

দলের ভেতরে এবং বাইরে, ডা. জীবন এখন তৃণমূল কর্মীদের আশা ও প্রেরণার নাম। তাঁর প্রার্থিতা ঘোষণার পর বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের গ্রামেগঞ্জে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন—“ডা. জীবন শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের পরিবারের একজন সদস্য; তিনি পাশে থাকলে বিএনপি আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”

জনপ্রিয় এই চিকিৎসক-রাজনীতিকের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতি আবারও নতুন উদ্যমে জেগে উঠছে হবিগঞ্জ-২ আসনে। জনগণের ভালোবাসা ও তৃণমূলের ঐক্য—এই দুই শক্তিকে পুঁজি করেই তিনি এগিয়ে যেতে চান আগামীর পথচলায়।