ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাইঘাটে ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১ লাখা টাকা ছিনতাইর অভিযোগ

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০১:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ১০৪ পড়া হয়েছে
৩৬

মফিজুর রহমান নাহিদ :- সিলেটের কানাইঘাটে ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১লক্ষ দশ হাজার টাকা ছিনতাইর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ ব্যবসায়ীর নাম আব্দুল হামিদ। তিনি ছোটফৌদের বশির উদ্দিনের ছেলে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন হামলা ও ছিনতাইর শিকার হামিদের বড় ভাই আহমেদ আলী।

 

গত ৩০ অক্টোবর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে তিনি অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

 

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে ভিকটিম আব্দুল হামিদ স্থানীয় সড়কের বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন (সাক্ষী) এর নিকট হইতে নগদ এক লক্ষ পনেরো হাজার টাকা গ্রহণ করে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে স্থানীয় মমতাজ বাজারে এসে বাজার সদাই করেন।

রাত অনুমান ৯ঘটিকার সময় আব্দুল হামিদ নিজ মোটর সাইকেল যোগে সাক্ষী মিজানুর রহমানকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়া মমতাজগঞ্জ নক্তিপাড়া পাকা রাস্তার বাকা মোড়ে বাজার হইতে পশ্চিমমুখী রাস্তায় পৌছামাত্রই পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা ছোটফৌদের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে আবুল হারিছ (৪৫), আফতাব উদ্দিনের ছেলে ইয়াহিয়া (৩৫), জালাল উদ্দিনের ছেলে জিবান আহমদ (২৫), মৃত লোকমান উদ্দিনের দুই ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৩) ও আব্দুল কাদির (২২), দর্পনগর পূর্বের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২৩) এবং ছোটফৌদের আফতাব উদ্দিনের ছেলে জাকারিয়া (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে টাকা জোরপূর্বক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রাস্তার মধ্যে একটি বাঁশ ফেলিয়া মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে আব্দুল হামিদের উপর হামলা করেন। আসামীগণের হাতে থাকা লোহার রড ও কাঠের রোল দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট শুরু করেন।

 

 

ঐ সময় আব্দুল হামিদ প্রাণ বাঁচার জন্য দক্ষিণ দিকে ধান ক্ষেতের দিকে দৌড় দিলে হামলাকারীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হামিদ মাটিতে লুটিয়া পড়ে। মাঠিতে লুটিয়ে পড়ার পর হামলাকারীরা লোহার রড দিয়ে হামিদের মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে আঘাত করেন ও এলোপাতাড়ী মারপিট শুরু করেন।

 

তখন হামিদ মাটিতে লুটে পড়েন। এমতাবস্থায় হামলাকারীরা তার প্যান্টের দুই পকেট হইতে এক লাখ দশ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনতাই করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে চলে যান।

 

তখন আব্দুল হামিদের এর সাথে থাকা সাক্ষী মিজানুর রহমান সুর চিৎকারে অন্য সাক্ষীগণ এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্তস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

অভিযোগে সাক্ষীরা হলেন ছোটফৌদের বশির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হামিদ (ভিকটিম), আব্দুর রহিমের ছেলে মিজানুর রহমান,মৃত মোঃ আকবর আলীর ছেলে বশির উদ্দিন,আব্দুল গফুরের ছেলে সাহরিয়া আহমদ,নারায়নপুরের মৃত নিমার আলীর ছেলে সোহেল আহমদ, দলইমাটির ময়নুল ইসলামের ছেলে মাহফুজ আহমদ।

 

পুলিশ সুপার বরাবারে লিখিত অভিযোগে অভিযুক্তদের ব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আব্দুল হামিদের বড় ভাই আহমেদ আলী।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’র আদি নববর্ষ উদযাপন

Follow for More!

কানাইঘাটে ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১ লাখা টাকা ছিনতাইর অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
৩৬

মফিজুর রহমান নাহিদ :- সিলেটের কানাইঘাটে ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১লক্ষ দশ হাজার টাকা ছিনতাইর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ ব্যবসায়ীর নাম আব্দুল হামিদ। তিনি ছোটফৌদের বশির উদ্দিনের ছেলে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন হামলা ও ছিনতাইর শিকার হামিদের বড় ভাই আহমেদ আলী।

 

গত ৩০ অক্টোবর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে তিনি অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

 

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে ভিকটিম আব্দুল হামিদ স্থানীয় সড়কের বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন (সাক্ষী) এর নিকট হইতে নগদ এক লক্ষ পনেরো হাজার টাকা গ্রহণ করে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে স্থানীয় মমতাজ বাজারে এসে বাজার সদাই করেন।

রাত অনুমান ৯ঘটিকার সময় আব্দুল হামিদ নিজ মোটর সাইকেল যোগে সাক্ষী মিজানুর রহমানকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়া মমতাজগঞ্জ নক্তিপাড়া পাকা রাস্তার বাকা মোড়ে বাজার হইতে পশ্চিমমুখী রাস্তায় পৌছামাত্রই পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা ছোটফৌদের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে আবুল হারিছ (৪৫), আফতাব উদ্দিনের ছেলে ইয়াহিয়া (৩৫), জালাল উদ্দিনের ছেলে জিবান আহমদ (২৫), মৃত লোকমান উদ্দিনের দুই ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৩) ও আব্দুল কাদির (২২), দর্পনগর পূর্বের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২৩) এবং ছোটফৌদের আফতাব উদ্দিনের ছেলে জাকারিয়া (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে টাকা জোরপূর্বক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রাস্তার মধ্যে একটি বাঁশ ফেলিয়া মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে আব্দুল হামিদের উপর হামলা করেন। আসামীগণের হাতে থাকা লোহার রড ও কাঠের রোল দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট শুরু করেন।

 

 

ঐ সময় আব্দুল হামিদ প্রাণ বাঁচার জন্য দক্ষিণ দিকে ধান ক্ষেতের দিকে দৌড় দিলে হামলাকারীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হামিদ মাটিতে লুটিয়া পড়ে। মাঠিতে লুটিয়ে পড়ার পর হামলাকারীরা লোহার রড দিয়ে হামিদের মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে আঘাত করেন ও এলোপাতাড়ী মারপিট শুরু করেন।

 

তখন হামিদ মাটিতে লুটে পড়েন। এমতাবস্থায় হামলাকারীরা তার প্যান্টের দুই পকেট হইতে এক লাখ দশ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনতাই করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে চলে যান।

 

তখন আব্দুল হামিদের এর সাথে থাকা সাক্ষী মিজানুর রহমান সুর চিৎকারে অন্য সাক্ষীগণ এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্তস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

অভিযোগে সাক্ষীরা হলেন ছোটফৌদের বশির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হামিদ (ভিকটিম), আব্দুর রহিমের ছেলে মিজানুর রহমান,মৃত মোঃ আকবর আলীর ছেলে বশির উদ্দিন,আব্দুল গফুরের ছেলে সাহরিয়া আহমদ,নারায়নপুরের মৃত নিমার আলীর ছেলে সোহেল আহমদ, দলইমাটির ময়নুল ইসলামের ছেলে মাহফুজ আহমদ।

 

পুলিশ সুপার বরাবারে লিখিত অভিযোগে অভিযুক্তদের ব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আব্দুল হামিদের বড় ভাই আহমেদ আলী।