ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৭:১২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১০ পড়া হয়েছে
১৩

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে অব্যবহৃত জায়গাগুলোর কার্যকর ও নান্দনিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবুজায়ন ও ঢাকা মহানগরীর নাগরিকদের জন্য গণপরিসর উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক আজ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

 

উক্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ এজাজ এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সচিব, সেতু বিভাগ ও নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

 

চুক্তিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্মসচিব জনাব আলতাফ হোসেন সেখ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের-এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও (উপসচিব) জনাব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্বাক্ষর করেন। এছাড়া, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রকল্প পরিচালক এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ঢাকার নাগরিকদের জন্য নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে পারব। অব্যবহৃত জায়গাগুলো এখন নাগরিকদের বিনোদন ও বিশ্রামের আধুনিক পরিসরে রূপ নেবে। এই চুক্তির মাধ্যমে ২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সচিব সেতু বিভাগ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত যুগপোযুগী পরিবর্তনে সবাইকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শুধু যানবাহন চলাচলের জন্যই নয়, বরং এর নিচের স্থানগুলোকে নাগরিক কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করার মাধ্যমে নগরজীবনকে আরও প্রাণবন্ত ও সুসংগঠিত করা আমাদের লক্ষ্য।

 

অনুষ্ঠানে সেতু সচিব মহোদয় বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের মধ্যবর্তী এবং আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে দেশীয় ও পরিবেশবান্ধব বৃক্ষরোপণ এবং নান্দনিক বাগান তৈরি করা, নাগরিকদের হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে), সাইকেলের জন্য পৃথক লেন (যেখানে সম্ভব), বসার বেঞ্চসহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা এবং এলাকার পরিবেশগত মান উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।

 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্মসচিব জনাব আলতাফ হোসেন সেখ বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে অব্যবহৃত জায়গা সৃজনশীল কাজে ব্যবহার হবে।

 

এই চুক্তির মাধ্যমে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের অব্যবহৃত জায়গাগুলোকে পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে সবুজায়ন, পথচারী-বান্ধব এলাকা, বিনোদন স্পট, খেলার মাঠ, সাইকেল ট্র্যাক, আর্ট ও কালচার কর্ণার, বসার স্থান এবং উন্মুক্ত গণপরিসরে রূপান্তরিত করা হবে। এর ফলে নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়ন, বায়ুদূষণ হ্রাস এবং নগরীর পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এই সমন্বিত উদ্যোগ, ঢাকা মহানগরীর পরিবেশবান্ধব ও টেকসই নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’র আদি নববর্ষ উদযাপন

Follow for More!

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

প্রকাশিত: ০৭:১২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
১৩

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে অব্যবহৃত জায়গাগুলোর কার্যকর ও নান্দনিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবুজায়ন ও ঢাকা মহানগরীর নাগরিকদের জন্য গণপরিসর উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক আজ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

 

উক্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ এজাজ এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সচিব, সেতু বিভাগ ও নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

 

চুক্তিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্মসচিব জনাব আলতাফ হোসেন সেখ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের-এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও (উপসচিব) জনাব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান স্বাক্ষর করেন। এছাড়া, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রকল্প পরিচালক এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ঢাকার নাগরিকদের জন্য নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে পারব। অব্যবহৃত জায়গাগুলো এখন নাগরিকদের বিনোদন ও বিশ্রামের আধুনিক পরিসরে রূপ নেবে। এই চুক্তির মাধ্যমে ২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সচিব সেতু বিভাগ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত যুগপোযুগী পরিবর্তনে সবাইকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শুধু যানবাহন চলাচলের জন্যই নয়, বরং এর নিচের স্থানগুলোকে নাগরিক কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করার মাধ্যমে নগরজীবনকে আরও প্রাণবন্ত ও সুসংগঠিত করা আমাদের লক্ষ্য।

 

অনুষ্ঠানে সেতু সচিব মহোদয় বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের মধ্যবর্তী এবং আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে দেশীয় ও পরিবেশবান্ধব বৃক্ষরোপণ এবং নান্দনিক বাগান তৈরি করা, নাগরিকদের হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে), সাইকেলের জন্য পৃথক লেন (যেখানে সম্ভব), বসার বেঞ্চসহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা এবং এলাকার পরিবেশগত মান উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।

 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্মসচিব জনাব আলতাফ হোসেন সেখ বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে অব্যবহৃত জায়গা সৃজনশীল কাজে ব্যবহার হবে।

 

এই চুক্তির মাধ্যমে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের অব্যবহৃত জায়গাগুলোকে পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে সবুজায়ন, পথচারী-বান্ধব এলাকা, বিনোদন স্পট, খেলার মাঠ, সাইকেল ট্র্যাক, আর্ট ও কালচার কর্ণার, বসার স্থান এবং উন্মুক্ত গণপরিসরে রূপান্তরিত করা হবে। এর ফলে নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়ন, বায়ুদূষণ হ্রাস এবং নগরীর পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এই সমন্বিত উদ্যোগ, ঢাকা মহানগরীর পরিবেশবান্ধব ও টেকসই নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।