শ্রীমঙ্গল( মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা ::শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত কিশোরী রীমা রানী সরকার (১৫)-কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ভিকটিমের মাসিসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার ( ২৫ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় শ্রীমঙ্গল থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, গতকাল (২৪ অক্টোবর) শুক্রবার তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভিকটিম রীমা রানী সরকারকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত শিল্পী সরকার ওরফে শিল্পী বেগম ও তার স্বামী মোবারক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার সপ্তমীর দিনে শ্রীমঙ্গল শহরের আর.কে. মিশন রোড দুর্গা মন্দিরে অঞ্জলী দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রীমা রানী সরকার। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মতিলাল বিশ্বাস বাদী হয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার কাঠালকান্দি গ্রামের বদরুল আলম (২৫)সহ তিনজনের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় মামলা (নং ০৮, তারিখ: ০৫/১০/২০২৫) রুজু করা হয়।
তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮ ও ১১ অক্টোবর মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামী বদরুল আলম (২৫) ও শহিদ মিয়া (৩২)-কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত দুইজনের কাছ ভিকটিম সম্পর্কে থেকে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ায় তদন্ত আরও জোরদার করা হয়।
পরবর্তী তদন্তে ভিকটিমের খালা প্রিয়াংকা সরকারের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তার কল রেকর্ড বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। জানা যায়, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার ধরাধরপুর এলাকায় শিল্পী সরকার ওরফে শিল্পী বেগম ও তার স্বামী মোবারক মিয়া ভিকটিমকে তাদের ভাড়া বাসায় আটক করে রেখেছে।
তদন্তে আরও প্রকাশ পায় যে, শিল্পী সরকার (ওরফে শিল্পী বেগম) ভিকটিমের আপন খালা। প্রায় দুই বছর আগে তিনি মোবারক মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে ধর্মান্তরিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঘটনার দিন তিনি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে অঞ্জলী শেষে ফেরার পথে কিশোরী রীমাকে প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটের ধরাধরপুর এলাকায় নিয়ে যায় এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখে।