ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৮:২০:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১ পড়া হয়েছে
২৭

অনলাইন ডেস্ক :: গুম ও খুনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক শেখ হাসিনা, তারেক সিদ্দিকীসহ বাকীদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

 

বুধবার (২২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

 

ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর বাহিরে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, তারা (১৫ সেনা কর্মকর্তা) আপাতত কারা হেফাজতে থাকবেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন এটা তাদের ব্যাপার।

 

এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে সেনা কর্মকর্তাদের আইনজীবী জামিনসহ মোট তিনটি আবেদন করেন। এর মধ্যে রয়েছে বিচার চলাকালে সেনা নিবাসের ভেতর সাময়িক কারাগারে রাখার আবেদনও। জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

 

যেসব সেনা কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)। র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলমকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

এ ছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক- মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

 

এদিকে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা ঘিরে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্টের মাজারগেট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেখানে পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে পুরো এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

জৈন্তাপুরের ৪০ জন হাজী মিলিত হলেন মক্কা মদিনায়: আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু সহ ঘুরে দেখালেন ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান

Follow for More!

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৮:২০:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
২৭

অনলাইন ডেস্ক :: গুম ও খুনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক শেখ হাসিনা, তারেক সিদ্দিকীসহ বাকীদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

 

বুধবার (২২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

 

ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর বাহিরে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, তারা (১৫ সেনা কর্মকর্তা) আপাতত কারা হেফাজতে থাকবেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন এটা তাদের ব্যাপার।

 

এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে সেনা কর্মকর্তাদের আইনজীবী জামিনসহ মোট তিনটি আবেদন করেন। এর মধ্যে রয়েছে বিচার চলাকালে সেনা নিবাসের ভেতর সাময়িক কারাগারে রাখার আবেদনও। জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

 

যেসব সেনা কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)। র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলমকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

এ ছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক- মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

 

এদিকে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা ঘিরে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্টের মাজারগেট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেখানে পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে পুরো এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।