
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি::
সিলেট কারাগার থেকে প্যারোলে ৩ ঘন্টার মুক্তি পেয়ে পিতার জানাযায় অংশগ্রহন করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে কারাগার থেকে দুপুর ১২টার দিকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ আড়াইটার দিকে বিশ্বনাথ পৌর শহরের পূর্ব চান্দশিরকাপন জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত পিতার জানাযার নামাজে সিলেট থেকে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের প্রটোকলে অংশগ্রহণ করানো হয়।
পরে পঞ্চায়েতি কবরস্থানে বাবার দাফন শেষে বিকাল ৩টায় তাকে সিলেট কারাগারের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৩.১৫ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের পিতা ও পৌর শহরের পূর্ব চান্দশিরকাপন গ্রামের রিয়াজ আলী (৯৫) বার্ধক্য জনিত কারণে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৫ পুত্র ও ১ কন্যা, নাতি-নাতনী’সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
মরহুম পিতার জানাযার নামাজে অংশ নিতে প্যারোলে এসে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
এর পর জানাযার নামাজ পূর্বে এলাকাবাসীর উদেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি এক অভাগা সন্তান। পিতার শেষ সময়েও তাঁর পাশে থাকতে পারিনি। আর জানাযার নামাজে ওই অবস্থায় (প্যারোলে) অংশ নিতি হয়েছে। এসময় তিনি পিতার আত্মার শান্তি কামনা করে সর্বমহলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন’।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, জানাযার নামাজের সময় সেখানে পুলিশী পাহাড়া ছিল। দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে আবারও কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ গত বছরের ৪ আগস্ট (সরকার পতনের আগের দিন) পৌর শহরের আল-হেরা শপিং সিটি ভাংচুরের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় (নং ৭৬/২০২৪ইং) বেশ কয়েক মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন।
Channel Jainta News 24 






















