ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা’র দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৪:৪৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৮ পড়া হয়েছে
১৪

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: দেলোয়ার হোসেন সুমন কর্তৃক দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের প্রতিবাদে উপজেলাবাসীর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্বনাথ পৌর শহরের বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: দেলোয়ার হোসেন সুমনকে হাসপাতাল থেকে অপসারন না করা হলে আগামী মাস থেকে কঠোর কর্মসূচির পালন করবেন বে ল জানান উপজেলা বাসীর পক্ষে আনিসুজ্জামান খাঁন।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলাবাসীর পক্ষে আনিসুজ্জামান খাঁন বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমস্ত বিশ্বনাথবাসীর চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির একমাত্র আশা-ভরসার স্থল। দারিদ্র পীড়িত এক বিরাট অঞ্চলের মানুষ এখানে স্বাস্থ্য সেবা পেতে প্রতিদিন ভীড় জমায়।

 

কিন্তু ডাক্তার নাই, ঔষধ নাই, এ পরিস্থিতিতে পড়ে প্রতিদিন রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে এবং অহরহ রোগীদের দুর্ঘটনা ঘটছে।

বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন সুমন দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে যা দ্রুত প্রতিকার না হলে জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

 

তিনি আরোও বলেন, কয়েকমাস পূর্বে মহিলাদের জরায়ু-মুখের ক্যান্সার পরীক্ষা কর্মসূচিতে তিনি বিশ্বনাথের প্রায় কয়েক হাজার মহিলার জরায়ু-মুখের ক্যান্সার পরীক্ষা হয়েছে বলে যে তথ্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভুয়া, মনগড়া ও বানোয়াট বটে।

তিনি বিভিন্ন কায়দায় মহিলাদের এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ ভুয়া তথ্য দিয়ে একই মোবাইল নম্বর একাধিক মহিলার নামে দেখিয়ে এবং ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে এ তথ্য দেখিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এবং জাতীয় পুরস্কার ও ভূষিত হয়েছেন।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: দেলোয়ার হোসেন সুমন নিজে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখাকে গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। তাহার ইচ্ছামতো অফিসে আসেন। জরুরী বিভাগে ও ডাক্তার পাওয়া যায় না।

অন্যান্য কর্মচারীরা জরুরি বিভাগ চালান। অফিস সহকারী আলী আহমদ (ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার) অবৈধ অর্থ সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা রাখেন।

 

বেতন থেকে পার্সেন্টেজ, নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, ঔষধ ক্রয়ে অনিয়ম, মালামাল বিক্রি, ভুয়া ভাউচার ইত্যাদির মাধ্যমে ডাঃ দেলোয়ার হোসেন সুমন ও আলী আহমদ বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। প্রতিদিন হাসপাতালে আসা রোগী ও গার্জিয়ানের প্রতি এদের খারাপ আচরণ, হুমকি-দামকি সর্বজনবিদিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠক বশির আহমদ, ব্যবসায়ী আব্দুস শহিদ, মনির আহমদ, রজু মিয়া, চমক আলী, রাজন খাঁন প্রমূখ।

 

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর তার অপসারণ চেয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী।

আর এই প্রতিবাদের চার দিনেও তার অপসারণ না হওয়ায় ফের সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ৩টার সময় উপজেলা সদরের বাসিয়া সেতুর উপরে মানববন্ধন করা হয়েছে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

জৈন্তাপুরে দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Follow for More!

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা’র দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:৪৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
১৪

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: দেলোয়ার হোসেন সুমন কর্তৃক দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের প্রতিবাদে উপজেলাবাসীর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্বনাথ পৌর শহরের বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: দেলোয়ার হোসেন সুমনকে হাসপাতাল থেকে অপসারন না করা হলে আগামী মাস থেকে কঠোর কর্মসূচির পালন করবেন বে ল জানান উপজেলা বাসীর পক্ষে আনিসুজ্জামান খাঁন।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলাবাসীর পক্ষে আনিসুজ্জামান খাঁন বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমস্ত বিশ্বনাথবাসীর চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির একমাত্র আশা-ভরসার স্থল। দারিদ্র পীড়িত এক বিরাট অঞ্চলের মানুষ এখানে স্বাস্থ্য সেবা পেতে প্রতিদিন ভীড় জমায়।

 

কিন্তু ডাক্তার নাই, ঔষধ নাই, এ পরিস্থিতিতে পড়ে প্রতিদিন রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে এবং অহরহ রোগীদের দুর্ঘটনা ঘটছে।

বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন সুমন দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে যা দ্রুত প্রতিকার না হলে জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

 

তিনি আরোও বলেন, কয়েকমাস পূর্বে মহিলাদের জরায়ু-মুখের ক্যান্সার পরীক্ষা কর্মসূচিতে তিনি বিশ্বনাথের প্রায় কয়েক হাজার মহিলার জরায়ু-মুখের ক্যান্সার পরীক্ষা হয়েছে বলে যে তথ্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভুয়া, মনগড়া ও বানোয়াট বটে।

তিনি বিভিন্ন কায়দায় মহিলাদের এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ ভুয়া তথ্য দিয়ে একই মোবাইল নম্বর একাধিক মহিলার নামে দেখিয়ে এবং ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে এ তথ্য দেখিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এবং জাতীয় পুরস্কার ও ভূষিত হয়েছেন।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: দেলোয়ার হোসেন সুমন নিজে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখাকে গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। তাহার ইচ্ছামতো অফিসে আসেন। জরুরী বিভাগে ও ডাক্তার পাওয়া যায় না।

অন্যান্য কর্মচারীরা জরুরি বিভাগ চালান। অফিস সহকারী আলী আহমদ (ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার) অবৈধ অর্থ সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা রাখেন।

 

বেতন থেকে পার্সেন্টেজ, নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, ঔষধ ক্রয়ে অনিয়ম, মালামাল বিক্রি, ভুয়া ভাউচার ইত্যাদির মাধ্যমে ডাঃ দেলোয়ার হোসেন সুমন ও আলী আহমদ বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। প্রতিদিন হাসপাতালে আসা রোগী ও গার্জিয়ানের প্রতি এদের খারাপ আচরণ, হুমকি-দামকি সর্বজনবিদিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠক বশির আহমদ, ব্যবসায়ী আব্দুস শহিদ, মনির আহমদ, রজু মিয়া, চমক আলী, রাজন খাঁন প্রমূখ।

 

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর তার অপসারণ চেয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী।

আর এই প্রতিবাদের চার দিনেও তার অপসারণ না হওয়ায় ফের সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ৩টার সময় উপজেলা সদরের বাসিয়া সেতুর উপরে মানববন্ধন করা হয়েছে।