ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেট-৩ আসনের জমিয়ত মনোনীত প্রার্থী —আদর্শ সংগঠক: মাওলানা নজরুল ইসলাম

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৭:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৭ পড়া হয়েছে
১৬

সিলেট-৩ আসনের জনগণের আস্থার প্রতীক, ত্যাগী ছাত্রনেতা, পরীক্ষিত যুবনেতা ও আদর্শ সংগঠক মাওলানা নজরুল ইসলাম আজ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী ময়দানে। দীর্ঘ চার দশকের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, নির্লোভ নেতৃত্ব ও ন্যায়ের পক্ষে আপসহীন অবস্থান তাঁকে করে তুলেছে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের মানুষের প্রিয় মুখ।

তিনি শুধু একজন প্রার্থী নন—তিনি একজন শিক্ষক, চিন্তাশীল রাজনীতিবিদ ও সমাজগঠনমূলক আন্দোলনের এক অনন্য প্রেরণাপুরুষ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

 

চরিত্রে দৃঢ়তা, নেতৃত্বে পরিমিতি:

ত্যাগী ছাত্রনেতা, বিচক্ষণ সংগঠক ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ মাওলানা নজরুল ইসলাম শিক্ষক ও ব্যবসায়ী হিসেবেও সমানভাবে পরিচিত। বড়দের কাছে তিনি পরম স্নেহভাজন, ছোটদের শ্রদ্ধার পাত্র। আস্থার প্রতীক, স্বজ্জন, সম্মোহনী শক্তির এক জীবন্ত উদাহরণ। বলনে ধীর, চলনে স্থির, চরিত্রে গাম্ভীর্য, আচরণে আভিজাত্য—এই সমন্বিত বৈশিষ্ট্য তাঁকে করে তুলেছে অনন্য এক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি।

 

প্রশান্ত চেহারার, সুঠাম দেহের অধিকারী এই মানুষটি দীপ্ত কপাল ও আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বে ভরপুর। মুখভর্তি দাড়ি ও মুচকি হাসি তাঁর চেনার প্রতীক। আদর্শে আপসহীন, পদ-পদবীর নির্লোভ, কর্মে বিশ্বাসী—এমন এক মানুষ যিনি আল্লাহর নেজাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে নিরন্তর সংগ্রামী।

 

জন্ম ও শিক্ষাজীবন:

১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া গ্রামে তাঁর জন্ম। গ্রামের আশিঘর প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু, পরে ইসহাকিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। ইবতেদায়ী দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে সারফ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন মানিককোনা মাদরাসায়, যা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁর নানা।

 

অষ্টম শ্রেণি সম্পন্ন করেন নানাবাড়ির পার্শ্ববর্তী হাই স্কুলে। পরবর্তীতে মামা মাওলানা হিফজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ানীবাজার বালিঙ্গা মাদরাসায় গিয়ে সারফ ও নাহবেমীর পাঠ সম্পন্ন করেন।

 

১৯৯৪–৯৫ সেশনে জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরে হেদায়াতুন্নাহু থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও অধ্যবসায় চালিয়ে যান। দাখিল পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ায় বৈরাগীবাজার দাখিল মাদরাসা থেকে শেষ সুযোগে পরীক্ষা দেন।

 

পরবর্তীতে ভর্তি জটিলতার কারণে হাটহাজারীতে গিয়ে শায়খুল ইসলাম মাওলানা আহমদ শফী দা.বা.-এর অনুমোদনে পুনরায় দাওরায়ে হাদীস পড়ার সুযোগ পান—যা তাঁর অধ্যবসায় ও আলেমদের আস্থার দৃষ্টান্ত।

 

শিক্ষকতা:

১৯৯৬–৯৭ সালে শরীফগঞ্জ মাদরাসায় শিক্ষকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৯৮–২০০০ সাল পর্যন্ত মানিককোনা মাদরাসায় অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ তাহফিজুল কোরআন মাদানিয়া মাদরাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

ছাত্র ও যুবজীবনে নেতৃত্ব:

ছাত্রজীবন থেকেই সংগঠনপ্রেমী এই মানুষটি ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

 

★সহ-সভাপতি: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর শাখা (১৯৯২–৯৪)।

★সাধারণ সম্পাদক: ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্র জমিয়ত (১৯৯৪–৯৫)।

★সভাপতি: ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্র জমিয়ত (১৯৯৫–৯৮)।

★সহ-সভাপতি: সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়ত (১৯৯৪–৯৭)।

সাধারণ সম্পাদক: সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়ত (১৯৯৮–২০০২)।

★সভাপতি: সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়ত (২০০৩–২০১১)।

সভাপতি: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ (২০০৪)।

 

এরপর তিনি যুব জমিয়তের সিলেট জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন (২০১১–২০১৪)।

 

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে ভূমিকা:

★সাংগঠনিক সম্পাদক: সিলেট জেলা জমিয়ত (২০১৪–২০১৮)।

★সহ-সাধারণ সম্পাদক: সিলেট জেলা জমিয়ত (২০১৮–২০২২)।

★সহ-সভাপতি: সিলেট জেলা দক্ষিণ জমিয়ত (বর্তমান)।

নির্বাহী সদস্য: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (কেন্দ্রীয় কমিটি, ২০১৫–২০২৫)।

★সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (বর্তমান)।

 

সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম:

মাওলানা নজরুল ইসলাম শুধু রাজনীতির ময়দানেই নয়, সমাজ ও মানবতার সেবায়ও সমানভাবে নিবেদিত। বন্যাদুর্গত, অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণে সহযোগিতা করা তাঁর জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি নিয়মিতভাবে অসহায় পরিবারের চিকিৎসা সহায়তা, ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান ও সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে মানবিক ছায়া হয়ে দাঁড়ান। দুর্যোগে-দুর্দিনে জনগণের পাশে থাকা তাঁর অঙ্গীকারের বাস্তব প্রতিফলন।

 

সংগঠনপ্রেম ও প্রেরণা:

জামিয়া আঙ্গুরায় অধ্যয়নকালে মাওলানা ফয়জুল হাসান খাদিমানী হা. ও মাওলানা আসআদ উদ্দীন আল-মাহমুদ হা.-এর প্রেরণায় সংগঠনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন। লাজনার দাওয়াতী ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনপ্রেম তাঁর অন্তরে গেঁথে যায়।

 

জীবনের প্রতিটি ধাপে তাঁর পথপ্রদর্শক ও প্রেরণার মিনার ছিলেন জমিয়তের প্রধান উপদেষ্টা, মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন হাফি.।

ব্যাক্তিগত জীবন :

পারিবারিকভাবে তিনি পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় এবং তিনি চার সন্তানেরও জনক।

বারাকাল্লাহু ফী হায়াতিহি।

 

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

Follow for More!

সিলেট-৩ আসনের জমিয়ত মনোনীত প্রার্থী —আদর্শ সংগঠক: মাওলানা নজরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০৭:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
১৬

সিলেট-৩ আসনের জনগণের আস্থার প্রতীক, ত্যাগী ছাত্রনেতা, পরীক্ষিত যুবনেতা ও আদর্শ সংগঠক মাওলানা নজরুল ইসলাম আজ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী ময়দানে। দীর্ঘ চার দশকের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, নির্লোভ নেতৃত্ব ও ন্যায়ের পক্ষে আপসহীন অবস্থান তাঁকে করে তুলেছে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের মানুষের প্রিয় মুখ।

তিনি শুধু একজন প্রার্থী নন—তিনি একজন শিক্ষক, চিন্তাশীল রাজনীতিবিদ ও সমাজগঠনমূলক আন্দোলনের এক অনন্য প্রেরণাপুরুষ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

 

চরিত্রে দৃঢ়তা, নেতৃত্বে পরিমিতি:

ত্যাগী ছাত্রনেতা, বিচক্ষণ সংগঠক ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ মাওলানা নজরুল ইসলাম শিক্ষক ও ব্যবসায়ী হিসেবেও সমানভাবে পরিচিত। বড়দের কাছে তিনি পরম স্নেহভাজন, ছোটদের শ্রদ্ধার পাত্র। আস্থার প্রতীক, স্বজ্জন, সম্মোহনী শক্তির এক জীবন্ত উদাহরণ। বলনে ধীর, চলনে স্থির, চরিত্রে গাম্ভীর্য, আচরণে আভিজাত্য—এই সমন্বিত বৈশিষ্ট্য তাঁকে করে তুলেছে অনন্য এক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি।

 

প্রশান্ত চেহারার, সুঠাম দেহের অধিকারী এই মানুষটি দীপ্ত কপাল ও আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বে ভরপুর। মুখভর্তি দাড়ি ও মুচকি হাসি তাঁর চেনার প্রতীক। আদর্শে আপসহীন, পদ-পদবীর নির্লোভ, কর্মে বিশ্বাসী—এমন এক মানুষ যিনি আল্লাহর নেজাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে নিরন্তর সংগ্রামী।

 

জন্ম ও শিক্ষাজীবন:

১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া গ্রামে তাঁর জন্ম। গ্রামের আশিঘর প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু, পরে ইসহাকিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। ইবতেদায়ী দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে সারফ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন মানিককোনা মাদরাসায়, যা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁর নানা।

 

অষ্টম শ্রেণি সম্পন্ন করেন নানাবাড়ির পার্শ্ববর্তী হাই স্কুলে। পরবর্তীতে মামা মাওলানা হিফজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ানীবাজার বালিঙ্গা মাদরাসায় গিয়ে সারফ ও নাহবেমীর পাঠ সম্পন্ন করেন।

 

১৯৯৪–৯৫ সেশনে জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরে হেদায়াতুন্নাহু থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও অধ্যবসায় চালিয়ে যান। দাখিল পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ায় বৈরাগীবাজার দাখিল মাদরাসা থেকে শেষ সুযোগে পরীক্ষা দেন।

 

পরবর্তীতে ভর্তি জটিলতার কারণে হাটহাজারীতে গিয়ে শায়খুল ইসলাম মাওলানা আহমদ শফী দা.বা.-এর অনুমোদনে পুনরায় দাওরায়ে হাদীস পড়ার সুযোগ পান—যা তাঁর অধ্যবসায় ও আলেমদের আস্থার দৃষ্টান্ত।

 

শিক্ষকতা:

১৯৯৬–৯৭ সালে শরীফগঞ্জ মাদরাসায় শিক্ষকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৯৮–২০০০ সাল পর্যন্ত মানিককোনা মাদরাসায় অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ তাহফিজুল কোরআন মাদানিয়া মাদরাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

ছাত্র ও যুবজীবনে নেতৃত্ব:

ছাত্রজীবন থেকেই সংগঠনপ্রেমী এই মানুষটি ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

 

★সহ-সভাপতি: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর শাখা (১৯৯২–৯৪)।

★সাধারণ সম্পাদক: ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্র জমিয়ত (১৯৯৪–৯৫)।

★সভাপতি: ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্র জমিয়ত (১৯৯৫–৯৮)।

★সহ-সভাপতি: সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়ত (১৯৯৪–৯৭)।

সাধারণ সম্পাদক: সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়ত (১৯৯৮–২০০২)।

★সভাপতি: সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়ত (২০০৩–২০১১)।

সভাপতি: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ (২০০৪)।

 

এরপর তিনি যুব জমিয়তের সিলেট জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন (২০১১–২০১৪)।

 

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে ভূমিকা:

★সাংগঠনিক সম্পাদক: সিলেট জেলা জমিয়ত (২০১৪–২০১৮)।

★সহ-সাধারণ সম্পাদক: সিলেট জেলা জমিয়ত (২০১৮–২০২২)।

★সহ-সভাপতি: সিলেট জেলা দক্ষিণ জমিয়ত (বর্তমান)।

নির্বাহী সদস্য: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (কেন্দ্রীয় কমিটি, ২০১৫–২০২৫)।

★সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (বর্তমান)।

 

সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম:

মাওলানা নজরুল ইসলাম শুধু রাজনীতির ময়দানেই নয়, সমাজ ও মানবতার সেবায়ও সমানভাবে নিবেদিত। বন্যাদুর্গত, অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণে সহযোগিতা করা তাঁর জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি নিয়মিতভাবে অসহায় পরিবারের চিকিৎসা সহায়তা, ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান ও সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে মানবিক ছায়া হয়ে দাঁড়ান। দুর্যোগে-দুর্দিনে জনগণের পাশে থাকা তাঁর অঙ্গীকারের বাস্তব প্রতিফলন।

 

সংগঠনপ্রেম ও প্রেরণা:

জামিয়া আঙ্গুরায় অধ্যয়নকালে মাওলানা ফয়জুল হাসান খাদিমানী হা. ও মাওলানা আসআদ উদ্দীন আল-মাহমুদ হা.-এর প্রেরণায় সংগঠনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন। লাজনার দাওয়াতী ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনপ্রেম তাঁর অন্তরে গেঁথে যায়।

 

জীবনের প্রতিটি ধাপে তাঁর পথপ্রদর্শক ও প্রেরণার মিনার ছিলেন জমিয়তের প্রধান উপদেষ্টা, মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন হাফি.।

ব্যাক্তিগত জীবন :

পারিবারিকভাবে তিনি পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় এবং তিনি চার সন্তানেরও জনক।

বারাকাল্লাহু ফী হায়াতিহি।