ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রাম বাংলার শিশু শিল্পীদের প্রতিভা তুলে ধরতে: ২য় বর্ষের চিত্র প্রদর্শনীর শুভ সূচনা

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৩:৩৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১ পড়া হয়েছে
১৬

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ::

আজ ৯ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল চারটায়, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার এর আচার্য্য সুনীতি কুমার চ্যাটার্জী আর্ট গ্যালারিতে, বাগনান- বীণাপাণি কলামন্দির আয়োজিত এবং অসিত বরণ চক্রবর্তীর উদ্যোগে- দ্বিতীয় তম বর্ষের চিত্র প্রদর্শনীর শুভ সূচনা হলো – গ্রাম বাংলার শিশু শিল্পীদের প্রতিভা তুলে ধরতে

 

আজকের শুভ সূচনায় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে, সনামধন্য শিল্পী ও ভাস্করর্য্য শিল্পীদের মধ্যে, মাননীয় শ্রী কৌশিক পাল, মিহির কয়াল, অমিত দাস , অনির্বাণ সামন্ত , এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষক ও সমাজসেবী, রুপজিৎ শাসমল, অমর মন্ডল প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য, দিব্যেন্দু কান্ডারী, অজয় গুপ্তা, এবং উপস্থিত ছিলেন বীণাপাণি কলা মন্দিরের প্রেসিডেন্ট ও প্রিন্সিপাল যাহার উদ্যোগে গ্রাম বাংলার শিশুদের নিয়ে কর্মকাণ্ড শ্রী অসিত বরণ চক্রবর্তী সহ সহযোগী ছাত্রছাত্রীরা। এই প্রদর্শনী চলবে ৯য় অক্টোবর থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত, প্রতিদিন দুপুর বারোটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে এবং সবার দেখার সুযোগ থাকছে।

 

সমস্ত অতিথি ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও একটি সরস্বতী বন্দনার মধ্য দিয়ে এই প্রদর্শনী শুভ সূচনা হয়,

এরপর উপস্থিত অতিথিদের একে একে বরণ করে নেন, উত্তরীয় পরিয়ে এবং হাতে একটি করে গোলাপ ফুল, ব্যাগ ও স্মারক দিয়ে,

 

এই প্রদর্শনীতে একশোর বেশি গ্রাম বাংলার শিশু শিল্পী থেকে অন্যান্য শিল্পী সকলে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের ১৭০ টি ছবি প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছে।

 

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মানীয় অতিথিরা বলেন, আমরা অনেক প্রদর্শনীতে অতিথি হিসেবে গিয়েছি, কিন্তু এইরকম উদ্যোগ সচরাচর চোখে পড়ে না। যাহা অসিত বরণ চক্রবর্তী মহাশয় তুলে ধরেছেন গ্রাম বাংলার ছোট ছোট শিল্পীদের নিয়ে, তাদের আঁকা ছবি এইরকম একটি স্থানে প্রদর্শিত করায়, যে সকল ছোট ছোট শিল্পীরা কোন দিন ভাবেনা, যে কোনদিন কলকাতার মতো এবং গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের মত জায়গায় তাদের ছবি প্রদর্শীত হবে, এই সকল শিল্পীদের অভিভাবকরাও খুশি, এবং অসিত বরণ বাবুকে তারা যেভাবে ধন্যবাদ জানালেন। শুধু একটা কথাই আমরা বলব, ছোট ছোট শিল্পীদের মা-বাবাদের উদ্দেশ্যে, সকল প্রতিভা যেন মাঝ পথে থেমে না যায়, উৎসাহ দিন, এই সকল প্রতিবাদের এগিয়ে চলার পথ দেখান। যেন একদিন এরা বড় হয়ে আরো ভালো ছবি এঁকে বাইরের জগতে পৌঁছাতে পারে, এদের ছবি সবার সামনে তুলে ধরতে পারে ভিনদেশের প্রদর্শনীতে। সত্যিই আমাদেরকে আন্দোলিত করেছে ছবিগুলি দেখে। না আসলে ভাবা যেতনা ।

 

বীণাপাণি কলামন্দিরের প্রেসিডেন্ট ও শিক্ষক অসিত বরণ চক্রবর্তী জানালেন, আমার এই বছর দ্বিতীয়তম প্রদর্শনী, আমার প্রধান লক্ষ্য এই সকল গ্রাম বাংলার ছেলে মেয়েদের তুলে ধরা, এদের পাশে থাকা, তাই আমি কারের বিভিন্ন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে, এর সাথে সাথে আমি একটি পরিকল্পনা স্থির করেছি, যে কিছু স্কুলে সপ্তাহে একদিন করে, স্কুলের মাস্টারদের সহযোগিতায় বিনা পয়সায় ক্লাস করব, যাহাতে নিম্নবিত্ত ও অসহায় পরিবারের ছেলেমেয়েরা উৎসাহী হয় এবং তাহার বাবা মারা উপকৃত হন, কারণ পড়াশোনাও যেমন একটা ছাত্র-ছাত্রীর ভালো করে করার দরকার, তেমনি এই শিল্প তাদের কাছে আরও একটি এগিয়ে চলার পথ দেখায়, আমার কাছে বেশ কয়েকটি ছাত্র ছাত্রী শিখে চাকরি পেয়েছে এবং উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে, তাই আমার সংকল্প এরকম গ্রাম বাংলার ছেলে মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে চলা, আর অভিভাবকদের বলবো আপনারা এই ভাবেই ছেলেমেয়েদের পাশে থাকুন একদিন নিশ্চয়ই ভালো ফল পাবেন, আপনারা উৎসাহ দিলে, তবেই ছেলে মেয়েরা এগিয়ে যেতে পারবে। আমাকে যাহারা সহযোগিতা করেছেন সকলকে আমার কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানালাম।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Follow for More!

গ্রাম বাংলার শিশু শিল্পীদের প্রতিভা তুলে ধরতে: ২য় বর্ষের চিত্র প্রদর্শনীর শুভ সূচনা

প্রকাশিত: ০৩:৩৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
১৬

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ::

আজ ৯ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল চারটায়, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার এর আচার্য্য সুনীতি কুমার চ্যাটার্জী আর্ট গ্যালারিতে, বাগনান- বীণাপাণি কলামন্দির আয়োজিত এবং অসিত বরণ চক্রবর্তীর উদ্যোগে- দ্বিতীয় তম বর্ষের চিত্র প্রদর্শনীর শুভ সূচনা হলো – গ্রাম বাংলার শিশু শিল্পীদের প্রতিভা তুলে ধরতে

 

আজকের শুভ সূচনায় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে, সনামধন্য শিল্পী ও ভাস্করর্য্য শিল্পীদের মধ্যে, মাননীয় শ্রী কৌশিক পাল, মিহির কয়াল, অমিত দাস , অনির্বাণ সামন্ত , এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষক ও সমাজসেবী, রুপজিৎ শাসমল, অমর মন্ডল প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য, দিব্যেন্দু কান্ডারী, অজয় গুপ্তা, এবং উপস্থিত ছিলেন বীণাপাণি কলা মন্দিরের প্রেসিডেন্ট ও প্রিন্সিপাল যাহার উদ্যোগে গ্রাম বাংলার শিশুদের নিয়ে কর্মকাণ্ড শ্রী অসিত বরণ চক্রবর্তী সহ সহযোগী ছাত্রছাত্রীরা। এই প্রদর্শনী চলবে ৯য় অক্টোবর থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত, প্রতিদিন দুপুর বারোটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে এবং সবার দেখার সুযোগ থাকছে।

 

সমস্ত অতিথি ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও একটি সরস্বতী বন্দনার মধ্য দিয়ে এই প্রদর্শনী শুভ সূচনা হয়,

এরপর উপস্থিত অতিথিদের একে একে বরণ করে নেন, উত্তরীয় পরিয়ে এবং হাতে একটি করে গোলাপ ফুল, ব্যাগ ও স্মারক দিয়ে,

 

এই প্রদর্শনীতে একশোর বেশি গ্রাম বাংলার শিশু শিল্পী থেকে অন্যান্য শিল্পী সকলে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের ১৭০ টি ছবি প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছে।

 

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মানীয় অতিথিরা বলেন, আমরা অনেক প্রদর্শনীতে অতিথি হিসেবে গিয়েছি, কিন্তু এইরকম উদ্যোগ সচরাচর চোখে পড়ে না। যাহা অসিত বরণ চক্রবর্তী মহাশয় তুলে ধরেছেন গ্রাম বাংলার ছোট ছোট শিল্পীদের নিয়ে, তাদের আঁকা ছবি এইরকম একটি স্থানে প্রদর্শিত করায়, যে সকল ছোট ছোট শিল্পীরা কোন দিন ভাবেনা, যে কোনদিন কলকাতার মতো এবং গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের মত জায়গায় তাদের ছবি প্রদর্শীত হবে, এই সকল শিল্পীদের অভিভাবকরাও খুশি, এবং অসিত বরণ বাবুকে তারা যেভাবে ধন্যবাদ জানালেন। শুধু একটা কথাই আমরা বলব, ছোট ছোট শিল্পীদের মা-বাবাদের উদ্দেশ্যে, সকল প্রতিভা যেন মাঝ পথে থেমে না যায়, উৎসাহ দিন, এই সকল প্রতিবাদের এগিয়ে চলার পথ দেখান। যেন একদিন এরা বড় হয়ে আরো ভালো ছবি এঁকে বাইরের জগতে পৌঁছাতে পারে, এদের ছবি সবার সামনে তুলে ধরতে পারে ভিনদেশের প্রদর্শনীতে। সত্যিই আমাদেরকে আন্দোলিত করেছে ছবিগুলি দেখে। না আসলে ভাবা যেতনা ।

 

বীণাপাণি কলামন্দিরের প্রেসিডেন্ট ও শিক্ষক অসিত বরণ চক্রবর্তী জানালেন, আমার এই বছর দ্বিতীয়তম প্রদর্শনী, আমার প্রধান লক্ষ্য এই সকল গ্রাম বাংলার ছেলে মেয়েদের তুলে ধরা, এদের পাশে থাকা, তাই আমি কারের বিভিন্ন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে, এর সাথে সাথে আমি একটি পরিকল্পনা স্থির করেছি, যে কিছু স্কুলে সপ্তাহে একদিন করে, স্কুলের মাস্টারদের সহযোগিতায় বিনা পয়সায় ক্লাস করব, যাহাতে নিম্নবিত্ত ও অসহায় পরিবারের ছেলেমেয়েরা উৎসাহী হয় এবং তাহার বাবা মারা উপকৃত হন, কারণ পড়াশোনাও যেমন একটা ছাত্র-ছাত্রীর ভালো করে করার দরকার, তেমনি এই শিল্প তাদের কাছে আরও একটি এগিয়ে চলার পথ দেখায়, আমার কাছে বেশ কয়েকটি ছাত্র ছাত্রী শিখে চাকরি পেয়েছে এবং উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে, তাই আমার সংকল্প এরকম গ্রাম বাংলার ছেলে মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে চলা, আর অভিভাবকদের বলবো আপনারা এই ভাবেই ছেলেমেয়েদের পাশে থাকুন একদিন নিশ্চয়ই ভালো ফল পাবেন, আপনারা উৎসাহ দিলে, তবেই ছেলে মেয়েরা এগিয়ে যেতে পারবে। আমাকে যাহারা সহযোগিতা করেছেন সকলকে আমার কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানালাম।