ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসমানীনগরে মহাসড়ক হতে সংযোগ গ্রামীণ পাকা সড়কের বেহাল দশা 

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৫:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯ পড়া হয়েছে
১৪

ওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতাঃ

ঢাকা – সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত ওসমানীনগর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ পাকা সড়কের বেহাল দশা উপজেলার জনগণ চরম দুর্ভোগে। দীর্ঘদিন সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ পাকা সড়ক জুড়ে অসংখ্য বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিন বিভিন্ন পন্য বহনকারী পরিবহন ও হাজার হাজার যাত্রী শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সড়ক গুলো হলো: সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক হতে বেগমপুর, কালনী চর, ও হাজিপুর সড়ক, বুরুঙ্গা বাজার সড়ক, শেরপুর হইতে বালাগঞ্জ বাজার সড়ক, ১৯ মাইল কলারাই হইতে হলিমপুর সড়ক, দয়াময়ীর হইতে গহরপুর সড়ক, তাজপুর হইতে মঙ্গলচণ্ডি সড়ক, গোয়ালাবাজার হইতে খাদিমপুর সড়ক, সোয়ারগাঁও হইতে চিন্তামণি ও ধিরারাই সড়ক

এসব সড়ক শুধু ওসমানীনগর নয়, আশপাশের বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার এবং সিলেট মহানগরীর সাথে ও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রক্ষা করে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, রোগী পরিবহন—সবকিছুতেই এসব রাস্তায় নির্ভরশীল স্থানীয় জনগণ। সড়কগুলোর বড় বড় গর্তে প্রতিনিয়ত যানবাহন আটকে যাচ্ছে বা বিকল হয়ে পড়ছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। শিক্ষার্থীরা বলেন, “গাড়ি যখন গর্তে পড়ে তখন ধাক্কা লেগে আমরা পড়ে যাই, মাথায় ও আঘাত লাগে। বর্ষায় এই দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়, কারণ তখন গর্তে পানি জমে থাকে, কাদা-পানি ছিটকে পড়ে আমাদের গায়ে। বুরুঙ্গা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাতির উল্লা বলেন, “সড়কের এমন অবস্থা যে কিছু কিছু স্থানে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো গাড়ি বিকল হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকে। যাত্রী কমে গেছে, আয়-রোজগারও কমে গেছে।” স্থানীয় বালু, পাথর ব্যবসায়ী আতিক মিয়া ও ইউসুফ আলী বলেন, “পণ্য পরিবহন করতে গেলে চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করেন। কেউ কেউ তো একদম যেতে চায় না। এতে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।” এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দায়ামীর – খন্দকার বাজার ও গোয়ালা বাজার থেকে নশিরপুর সড়ক সহ ৩ টি সড়কে পাকার কাজ চলমান রয়েছে। এবং ওসমানীনগরের বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কারের জন্য আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটির কাজ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।” তবে স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতিশ্রুতি শুনলেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন চোখে পড়ছে না। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

সচেতন মহলেরদাবী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী নেতারা বলেন, “ওসমানীনগর-সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্রুত সংস্কার না করলে শুধু ভোগান্তি নয়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে,

ওসমানীনগরবাসীর প্রত্যাশা, সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত এসব গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের কাজ হাতে নিয়ে জনগণের স্বাভাবিক যাতায়াত নিশ্চিত করবে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

রাতে দেশে ফিরছে তরুণ কনটেন্ট ক্রিয়েটর দ্বীপের মরদেহ

Follow for More!

ওসমানীনগরে মহাসড়ক হতে সংযোগ গ্রামীণ পাকা সড়কের বেহাল দশা 

প্রকাশিত: ০৫:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
১৪

ওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতাঃ

ঢাকা – সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত ওসমানীনগর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ পাকা সড়কের বেহাল দশা উপজেলার জনগণ চরম দুর্ভোগে। দীর্ঘদিন সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ পাকা সড়ক জুড়ে অসংখ্য বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিন বিভিন্ন পন্য বহনকারী পরিবহন ও হাজার হাজার যাত্রী শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সড়ক গুলো হলো: সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক হতে বেগমপুর, কালনী চর, ও হাজিপুর সড়ক, বুরুঙ্গা বাজার সড়ক, শেরপুর হইতে বালাগঞ্জ বাজার সড়ক, ১৯ মাইল কলারাই হইতে হলিমপুর সড়ক, দয়াময়ীর হইতে গহরপুর সড়ক, তাজপুর হইতে মঙ্গলচণ্ডি সড়ক, গোয়ালাবাজার হইতে খাদিমপুর সড়ক, সোয়ারগাঁও হইতে চিন্তামণি ও ধিরারাই সড়ক

এসব সড়ক শুধু ওসমানীনগর নয়, আশপাশের বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার এবং সিলেট মহানগরীর সাথে ও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রক্ষা করে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, রোগী পরিবহন—সবকিছুতেই এসব রাস্তায় নির্ভরশীল স্থানীয় জনগণ। সড়কগুলোর বড় বড় গর্তে প্রতিনিয়ত যানবাহন আটকে যাচ্ছে বা বিকল হয়ে পড়ছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। শিক্ষার্থীরা বলেন, “গাড়ি যখন গর্তে পড়ে তখন ধাক্কা লেগে আমরা পড়ে যাই, মাথায় ও আঘাত লাগে। বর্ষায় এই দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়, কারণ তখন গর্তে পানি জমে থাকে, কাদা-পানি ছিটকে পড়ে আমাদের গায়ে। বুরুঙ্গা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাতির উল্লা বলেন, “সড়কের এমন অবস্থা যে কিছু কিছু স্থানে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো গাড়ি বিকল হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকে। যাত্রী কমে গেছে, আয়-রোজগারও কমে গেছে।” স্থানীয় বালু, পাথর ব্যবসায়ী আতিক মিয়া ও ইউসুফ আলী বলেন, “পণ্য পরিবহন করতে গেলে চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করেন। কেউ কেউ তো একদম যেতে চায় না। এতে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।” এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দায়ামীর – খন্দকার বাজার ও গোয়ালা বাজার থেকে নশিরপুর সড়ক সহ ৩ টি সড়কে পাকার কাজ চলমান রয়েছে। এবং ওসমানীনগরের বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কারের জন্য আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটির কাজ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।” তবে স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতিশ্রুতি শুনলেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন চোখে পড়ছে না। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

সচেতন মহলেরদাবী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী নেতারা বলেন, “ওসমানীনগর-সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্রুত সংস্কার না করলে শুধু ভোগান্তি নয়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে,

ওসমানীনগরবাসীর প্রত্যাশা, সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত এসব গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের কাজ হাতে নিয়ে জনগণের স্বাভাবিক যাতায়াত নিশ্চিত করবে।