সুয়েব রানা সিলেট:
কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বর্নী গ্রামের কৃতিসন্তান সাংবাদিক নুমান আহমদ সমাজে মানবিকতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। ১১ সদস্যের পরিবারে জন্ম নেওয়া নুমানের পরিবারে রয়েছেন মা-বাবা, ভাই ও বোনেরা। ছোটবেলা থেকেই তিনি গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভ্যাস তৈরি করেছিলেন।
তিনি বর্তমানে তার মানবিক ফেসবুক পেইজ “স্মাট সিলেট” এর মাধ্যমে সমাজের গরিব, অসহায় ও অসুস্থ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পেইজটি শুধু একটি সামাজিক মাধ্যম নয়, বরং অসহায় মানুষের জন্য এক আশ্রয়স্থল। তাঁর এই উদ্যোগের কথা শুনে মানুষ নতুন বিশ্বাস নিয়ে অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসে।
নুমান তার আয় থেকে কম-বেশি কিছু অংশ সবসময় অসহায় ছাত্রছাত্রী ও দরিদ্র মানুষের পাশে খরচ করেন। এছাড়া খেলাধুলার ক্ষেত্রে তার উদার মনোভাবও নজর কাড়ে। কোনো প্রতিযোগিতায় তার নিজের টিম বিজয়ী হলেও তিনি মেডেল বা পুরষ্কার হারানো দলের টিম লিডারকে উৎসর্গ করে দেন, যা তার সততা ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত।
তার সততা, মানবিকতা এবং সৎ চরিত্রের কারণে তিনি বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে সবার মনে স্থান করে নিয়েছেন। খেলাধুলা, শিক্ষা এবং সামাজিক কাজের সমন্বয়ে নুমান আহমদ প্রমাণ করেছেন, একজন সাধারণ মানুষও সমাজের জন্য অসাধারণ অবদান রাখতে পারেন। তিনি সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস, যিনি মানবতার সত্যিকারের পরিচয় বহন করছেন।
নুমান আহমদ হলেন দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক সিলেটের সংবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার। তিনি ফুলকুড়ি আইডিয়াল স্কুল ও বর্ণী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক এবং অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন সিলেট এমসি কলেজ থেকে।
তিনি সকলের প্রতি বলছেন-মানবতার কাজ কখনো ছোট বা বড় হয় না। প্রতিদিন সামান্য সাহায্য ও সহযোগিতা সমাজকে সুন্দর করার এক অমূল্য হাতিয়ার। নুমান বিশ্বাস করেন, মানুষের মাঝে ভালোবাসা এবং সহমর্মিতা ছড়িয়ে দিলে সমাজে সত্যিকারের পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাঁর এই দৃষ্টান্ত নতুন প্রজন্মকে সামাজিক দায়িত্ববোধে অনুপ্রাণিত করছে এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক উদাহরণ স্থাপন করেছে।