ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা ইতিহাসের স্বর্ণজ্জ্বল অধ্যায় —মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০২:২৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৯ পড়া হয়েছে
১৪

 

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, “ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উলামায়ে কেরামদের ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণের নাগপাশ থেকে জাতিকে মুক্তির জন্য যদি স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়; তবে এর চেয়েও বড় আজাদী হলো ব্রিটিশদের প্রায় দুইশ বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তি। অথচ এর কোনো দিবস নেই কেন?”

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত ‘বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী’ জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক আরও বলেন, “মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা হোসাইন আহমদ মদনী, শাব্বির আহমদ ওসমানীসহ মুসলিম-হিন্দু নেতারা একত্রিত হয়ে আজাদী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের মুক্তিকে আমরা স্বাধীনতা বলি, অথচ ১৯০ বছরের আজাদীর কোনো স্বীকৃতি নেই। ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীন না হলে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কেউ রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারত না; এমনকি আজকের লিবারেল শিক্ষাও সম্ভব হতো না।”

যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব মুফতী দেওয়ান আব্দুল্লাহ রাজা চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাসিক মদিনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ বদর উদ্দিন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জয়নাল আবেদীন মারকাজুল, কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী, অধ্যাপক মাওলানা মহোব্বত হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ মো. আহসান, সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব টি এইচ জাহাঙ্গীর, এনসিপি সংগঠক মাওলানা সানাউল্লাহ খান, সাংবাদিক আব্দুল মুজিব রুকন, ব্যারিস্টার মুজাক্কির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইশতিয়াক জাকেরীন প্রমুখ।

বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক ও গবেষক মূসা আল হাফিজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ভারতীয় উপমহাদেশের জ্বলন্ত মুখপত্র ‘আল হিলাল’ পত্রিকাকে ব্রিটিশ সরকার বন্ধ করে দেয়। আর সেই ‘আল হিলাল’-এর অন্যতম ক্ষুরধার লেখক ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী। মুসলিম লীগ গঠনে তাঁর ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান।” তিনি আরও বলেন, “১৭৮২ সালে সিলেটের শাহী ঈদগাহে মহররমের দশ তারিখে পীর হাদানিয়া ও পীর মাদানিয়ার নেতৃত্বে ব্রিটিশবিরোধী মহররম বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। সিলেটের চুনাপাথরের ব্যবসা নিয়েও নবাব মীর কাশিম আলীর সঙ্গে ব্রিটিশদের যুদ্ধ হয়েছিল। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে একাধিক স্তর ছিল; এর মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাওলানা সিংকাপনীর চিঠিপত্র ও লেখালেখি উদ্ধার করে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে প্রকাশ করা উচিত।”

সভাপতির বক্তব্যে কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন, “সিংকাপনী ব্রাদার্সরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন এবং সিলেটের গণভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।” বিজ্ঞপ্তি

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জে হত্যা, র‍্যাবের অভিযানে চট্টগ্রাম থেকে আসামি গ্রেফতার

Follow for More!

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা ইতিহাসের স্বর্ণজ্জ্বল অধ্যায় —মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক

প্রকাশিত: ০২:২৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৪

 

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, “ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উলামায়ে কেরামদের ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণের নাগপাশ থেকে জাতিকে মুক্তির জন্য যদি স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়; তবে এর চেয়েও বড় আজাদী হলো ব্রিটিশদের প্রায় দুইশ বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তি। অথচ এর কোনো দিবস নেই কেন?”

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত ‘বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী’ জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক আরও বলেন, “মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা হোসাইন আহমদ মদনী, শাব্বির আহমদ ওসমানীসহ মুসলিম-হিন্দু নেতারা একত্রিত হয়ে আজাদী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের মুক্তিকে আমরা স্বাধীনতা বলি, অথচ ১৯০ বছরের আজাদীর কোনো স্বীকৃতি নেই। ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীন না হলে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কেউ রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারত না; এমনকি আজকের লিবারেল শিক্ষাও সম্ভব হতো না।”

যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব মুফতী দেওয়ান আব্দুল্লাহ রাজা চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাসিক মদিনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ বদর উদ্দিন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জয়নাল আবেদীন মারকাজুল, কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী, অধ্যাপক মাওলানা মহোব্বত হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ মো. আহসান, সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব টি এইচ জাহাঙ্গীর, এনসিপি সংগঠক মাওলানা সানাউল্লাহ খান, সাংবাদিক আব্দুল মুজিব রুকন, ব্যারিস্টার মুজাক্কির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইশতিয়াক জাকেরীন প্রমুখ।

বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক ও গবেষক মূসা আল হাফিজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ভারতীয় উপমহাদেশের জ্বলন্ত মুখপত্র ‘আল হিলাল’ পত্রিকাকে ব্রিটিশ সরকার বন্ধ করে দেয়। আর সেই ‘আল হিলাল’-এর অন্যতম ক্ষুরধার লেখক ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী। মুসলিম লীগ গঠনে তাঁর ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান।” তিনি আরও বলেন, “১৭৮২ সালে সিলেটের শাহী ঈদগাহে মহররমের দশ তারিখে পীর হাদানিয়া ও পীর মাদানিয়ার নেতৃত্বে ব্রিটিশবিরোধী মহররম বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। সিলেটের চুনাপাথরের ব্যবসা নিয়েও নবাব মীর কাশিম আলীর সঙ্গে ব্রিটিশদের যুদ্ধ হয়েছিল। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে একাধিক স্তর ছিল; এর মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাওলানা সিংকাপনীর চিঠিপত্র ও লেখালেখি উদ্ধার করে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে প্রকাশ করা উচিত।”

সভাপতির বক্তব্যে কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন, “সিংকাপনী ব্রাদার্সরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন এবং সিলেটের গণভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।” বিজ্ঞপ্তি