ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাধবপুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৫:৪২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ১৮ পড়া হয়েছে
১৬

হবিগঞ্জ  প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কচুরিপানার নিচ থেকে গৃহবধুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনার প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী সোহাগ মিয়া রমজান (২৭) কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে র‍্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিঃ পুলিশ সুপার কে, এম, শহিদুল ইসলাম সোহাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এবং র‍্যাব-১০, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল ঢাকা পাম্পের সামনে অভিযান চালিয়ে মাধবপুর পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মোছাঃ মাইশা আক্তার হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ০১নং পলাতক আসামী মোঃ সোহাগ মিয়া রমজান’কে গ্রেফতার করেন। সে মাধবপুর পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাসেম এর পুত্র। উল্লেখ্য, মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের মোঃ বিল্লাল মিয়ার মেয়ে মোছাঃ মাইশা আক্তার (১৬) ও মাধপুর পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মোঃ সোহাগ মিয়া রমজানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এরই প্রেক্ষিতে মোঃ সোহাগ মিয়া ভিকটিম মোছাঃ মাইশা আক্তারকে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মাইশা’কে পারিবারিক ও সাংসারিক কারনে তার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। পরবর্তীতে গত ১৮ জুলাই অনুমান সকাল সাড়ে নয়টায় মোঃ সোহাগ মিয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর বোনকে জানায় যে, তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে গেছে।এরপর মাইশা’র বাবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে এবং সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরবর্তীতে গত ২২ জুলাই আনুমানিক বিকাল ৫ টায় মাইশা’র বাবা স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, কলেজপাড়া এলাকায় শোহাগ মিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচে একজন মহিলার মৃতদেহ ভাসমান রয়েছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় মৃত দেহটি তার মেয়ের।

ভিকটিম ০৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বিধায় পুলিশ তার পেটে থাকা ভ্রুণ মৃত ও আংশিক পচা অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রযুক্তির বাইরে নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে- ডা. শামীমুর রহমান

Follow for More!

মাধবপুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৪২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
১৬

হবিগঞ্জ  প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কচুরিপানার নিচ থেকে গৃহবধুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনার প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী সোহাগ মিয়া রমজান (২৭) কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে র‍্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিঃ পুলিশ সুপার কে, এম, শহিদুল ইসলাম সোহাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এবং র‍্যাব-১০, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল ঢাকা পাম্পের সামনে অভিযান চালিয়ে মাধবপুর পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মোছাঃ মাইশা আক্তার হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ০১নং পলাতক আসামী মোঃ সোহাগ মিয়া রমজান’কে গ্রেফতার করেন। সে মাধবপুর পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাসেম এর পুত্র। উল্লেখ্য, মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের মোঃ বিল্লাল মিয়ার মেয়ে মোছাঃ মাইশা আক্তার (১৬) ও মাধপুর পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মোঃ সোহাগ মিয়া রমজানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এরই প্রেক্ষিতে মোঃ সোহাগ মিয়া ভিকটিম মোছাঃ মাইশা আক্তারকে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মাইশা’কে পারিবারিক ও সাংসারিক কারনে তার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। পরবর্তীতে গত ১৮ জুলাই অনুমান সকাল সাড়ে নয়টায় মোঃ সোহাগ মিয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর বোনকে জানায় যে, তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে গেছে।এরপর মাইশা’র বাবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে এবং সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরবর্তীতে গত ২২ জুলাই আনুমানিক বিকাল ৫ টায় মাইশা’র বাবা স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, কলেজপাড়া এলাকায় শোহাগ মিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচে একজন মহিলার মৃতদেহ ভাসমান রয়েছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় মৃত দেহটি তার মেয়ের।

ভিকটিম ০৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বিধায় পুলিশ তার পেটে থাকা ভ্রুণ মৃত ও আংশিক পচা অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।