ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাতকে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এক পক্ষ মসজিদে অবরুদ্ধ

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৫:৫০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
  • ১২ পড়া হয়েছে
১৫

সেলিম মাহবুব,ছাতক সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা::  ছাতকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মসজিদ সহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়েবেশ কিছু দিন যাবৎ দু’পক্ষের মধ্যে টান-টান উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় এলাকার সালিশকারীগণ বিষয়টি অতি দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। আগামী সোমবার দু’পক্ষের মধ্যে সালিসি বৈঠক বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার একটি পক্ষ তা অমান্য করে সালিসি বৈঠক বাতিল করে দেয়।

 

এ নিয়ে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের কালীপুর (চত্রিশ) গ্রামে। গ্রামের বর্তমান মেম্বার আজিজুর রহমান শান্ত, পিতা নুর উদ্দিন, সুলতান মিয়া, পিতা মৃতঃ তবারক আলী ও শেখ ফরহাদ গাজী মিল্টন, পিতা শেখ আলীজান গংদের সাথে গ্রামের আব্দুল আজাদ পিতামৃতঃ আব্দুল হাসিম, প্রবাসী কালা মিয়া গংদের মধ্যে মসজিদ ও বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধ চলচিল, আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য আব্দুল আজাদ গংরা মসজিদে যান। অপর পক্ষ নামাজে অংশ নেননি। নামাজ সমাপ্ত হওয়ার পর আব্দুল আজাদ গংরা অনুভব করেন, তাদেরকে আক্রমন করার জন্য অপর পক্ষ দেশীয় অস্রাদি নিয়ে বসে আছে মসজিদের চতুরপার্শ্বে। প্রানভয়ে তারা মসজিদে অবস্থান করেন। মসজিদ হতে তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন, প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হয়ে মসজিদ হতে আব্দুল আজাদ গংদের উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন। দু’পক্ষের লোকজনকে মসজিদ এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজমান রয়েছে।

 

শেখ ফরহাদ গাজী মিল্টন বলেন, আমরা গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষ। অপর পক্ষের সাথে নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে পঞ্চায়েত পক্ষের। আব্দুল আজাদ গংদের সাথে আলাপে জানা গেছে, তারা জানিয়েছেন আজিজুর রহমান শান্ত পক্ষ একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের দ্বারা আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি জরুরি আবশ্যক।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে মসজিদের আয়- ব্যয়ের হিসেব নিয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলমান। এ নিয়ে সালিশ বৈঠকও চলছে। আগামী সোমবার সালিশের একটি তারিখ ধার্য্য। পরে পুলিশ তাদেরকে মসজিদ থেকে উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে বর্তমানে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ভট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। মসজিদের হিসাব নিয়ে গ্রামে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

জৈন্তাপুরে দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Follow for More!

ছাতকে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এক পক্ষ মসজিদে অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৫০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
১৫

সেলিম মাহবুব,ছাতক সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা::  ছাতকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মসজিদ সহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়েবেশ কিছু দিন যাবৎ দু’পক্ষের মধ্যে টান-টান উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় এলাকার সালিশকারীগণ বিষয়টি অতি দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। আগামী সোমবার দু’পক্ষের মধ্যে সালিসি বৈঠক বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার একটি পক্ষ তা অমান্য করে সালিসি বৈঠক বাতিল করে দেয়।

 

এ নিয়ে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের কালীপুর (চত্রিশ) গ্রামে। গ্রামের বর্তমান মেম্বার আজিজুর রহমান শান্ত, পিতা নুর উদ্দিন, সুলতান মিয়া, পিতা মৃতঃ তবারক আলী ও শেখ ফরহাদ গাজী মিল্টন, পিতা শেখ আলীজান গংদের সাথে গ্রামের আব্দুল আজাদ পিতামৃতঃ আব্দুল হাসিম, প্রবাসী কালা মিয়া গংদের মধ্যে মসজিদ ও বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধ চলচিল, আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য আব্দুল আজাদ গংরা মসজিদে যান। অপর পক্ষ নামাজে অংশ নেননি। নামাজ সমাপ্ত হওয়ার পর আব্দুল আজাদ গংরা অনুভব করেন, তাদেরকে আক্রমন করার জন্য অপর পক্ষ দেশীয় অস্রাদি নিয়ে বসে আছে মসজিদের চতুরপার্শ্বে। প্রানভয়ে তারা মসজিদে অবস্থান করেন। মসজিদ হতে তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন, প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হয়ে মসজিদ হতে আব্দুল আজাদ গংদের উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন। দু’পক্ষের লোকজনকে মসজিদ এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজমান রয়েছে।

 

শেখ ফরহাদ গাজী মিল্টন বলেন, আমরা গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষ। অপর পক্ষের সাথে নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে পঞ্চায়েত পক্ষের। আব্দুল আজাদ গংদের সাথে আলাপে জানা গেছে, তারা জানিয়েছেন আজিজুর রহমান শান্ত পক্ষ একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের দ্বারা আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি জরুরি আবশ্যক।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে মসজিদের আয়- ব্যয়ের হিসেব নিয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলমান। এ নিয়ে সালিশ বৈঠকও চলছে। আগামী সোমবার সালিশের একটি তারিখ ধার্য্য। পরে পুলিশ তাদেরকে মসজিদ থেকে উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে বর্তমানে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ভট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। মসজিদের হিসাব নিয়ে গ্রামে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।