সুয়েব রানা নিজস্ব সংবাদদাতা::
প্রবাসে থেকেও যিনি দেশের মাটি, মানুষের হৃদয় ও সমাজের দায়িত্ব ভুলে যাননি, তিনি মাস্টার রওশন। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই তরুণ সমাজসেবক একাধারে একজন সফল উদ্যোক্তা, শিক্ষানুরাগী, মানবিক সহায়তাকারী এবং সর্বোপরি একজন মানবতার ফেরিয়ালা। তার জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে ছড়িয়ে আছে সেবার আলো।
জন্ম এবং প্রেরণার শিকড়:
মাস্টার রওশনের জন্ম সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের কহাইগড় ১ম খন্ড গ্রামে। তার পিতা মরহুম আছাব আলী ছিলেন একজন গর্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাবার দেশপ্রেম ও ত্যাগের চেতনায় গড়ে ওঠা রওশন ছোটবেলা থেকেই মানবিক কাজের প্রতি দুর্বলতা দেখিয়েছেন।
প্রবাসে প্রতিষ্ঠিত, হৃদয়ে দেশ:
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও দেশের মাটি কখনো ভোলেননি রওশন। সেখানে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং ফ্রেন্ডশিপ বিজনেস গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে সুপরিচিত। তবে আর্থিক সাফল্য নয়, তার জীবনকে ব্যতিক্রম করেছে মানবিক কাজের প্রতি অঙ্গীকার।
করোনা ও বন্যার সময়ে অসহায় মানুষের আশার আলো হয়েছিলেন:
বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে জর্জরিত, তখন মাস্টার রওশন দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন নিঃস্বার্থভাবে। সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকায় নিজ উদ্যোগে খাদ্য, ওষুধ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ বন্যায় যখন মানুষ আশ্রয়হীন ও ক্ষুধার্ত, মাস্টার রওশন তখন নিজস্ব অর্থায়নে শত শত পরিবারকে সহায়তা দেন, কখনো খাদ্য, কখনো নগদ অর্থ, আবার কখনো চিকিৎসা সহায়তা।
শিক্ষা উন্নয়নে নিবেদিত:
মাস্টার রওশন বিশ্বাস করেন সমাজ পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি শিক্ষা। এ বিশ্বাস থেকে তিনি জৈন্তাপুর ও আশপাশের এলাকায় বহু শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা, বইপত্র ও স্কুল ড্রেস সরবরাহ করেছেন। স্থানীয় কিছু স্কুলে উন্নয়ন কাজেও তার অনুদান অব্যাহত রয়েছে। অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত বৃত্তি প্রদান করছেন।
দানশীলতায় অগ্রগামী:
তৃণমূল মানুষের জন্য তার হৃদয় সদা উন্মুক্ত। অসুস্থ, বিধবা, প্রতিবন্ধী, গরীব কৃষক কিংবা পাথর শ্রমিক, সকল শ্রেণির মানুষকে তিনি সাহায্য করেছেন নিঃস্বার্থভাবে। ঈদে গরীব পরিবারে কাপড়, শীতকালে কম্বল বিতরণ, ঘরহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ, এসব কাজে তিনি একাই হয়েছেন শত মানুষের ভরসা।
বহুমাত্রিক সামাজিক নেতৃত্ব:
সামাজিক সেবামূলক কাজের পাশাপাশি মাস্টার রওশন বহু সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তিনি বর্তমানে জিয়া সাইবার ফোরাম, জৈন্তাপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ,চিকনাগুল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, নব প্রজন্ম রাউন্ড ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ, সিলেট বিভাগ এর বিভাগীয় উপদেষ্টা, দ্য প্রাইম বুলেটিন অনলাইন টিভির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,এবং চিকনাগুল ইউনিয়ন যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এসব দায়িত্বের পাশাপাশি তার সামাজিক অবদান তাকে একজন উদাহরণস্বরূপ তরুণ সমাজনায়কে পরিণত করেছে।
রাজনৈতিক আগ্রহ সমাজসেবার মাধ্যমে:
সম্প্রতি মাস্টার রওশন সিলেট ৪ জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি দূর প্রবাসে থেকেও এ অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, তাদের ভালোবাসা ও আহ্বানেই আমি রাজনীতিতে আসতে চাই, যেন আরও বড় পরিসরে সেবা করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, যে অঞ্চলের মানুষ একসময় পাথর কোয়ারিতে কাজ করে জীবন চালাত, সেখানে এখন কর্মসংস্থান নেই, উন্নয়ন নেই। আমি চাই, এই জনপদের মানুষ যেন মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে।
এছাড়া তিনি জানান, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ নিয়ে তিনি তৃণমূলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং শিগগির দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন।
রওশন মানেই আশার নাম:
স্থানীয় মানুষদের মুখে মুখে এখন একটি নাম, রওশন ভাই। তার মানবিকতা, নম্রতা এবং উদারতা তাকে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের প্রিয় করে তুলেছে। তিনি রাজনীতিতে আসছেন জনগণের দাবিতে, এবং তিনি নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন একজন সেবক হিসেবে, নেতা হিসেবে নয়।
শেষ কথা
যেখানে রাজনীতি মানেই ক্ষমতার প্রতিযোগিতা, সেখানে মাস্টার রওশন একজন আলোকবর্তিকা, যিনি সেবা দিয়ে নেতৃত্বের আসনে পৌঁছাতে চান। সমাজের বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষদের জন্য যিনি হয়ে উঠেছেন আশার প্রতীক, তিনিই আমাদের সময়ের এক সেরা মানবতার ফেরিয়ালা।