ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত নিহত পাইলট তৌকির

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৭:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • ১৩ পড়া হয়েছে
১৫

অনলাইন ডেস্ক:: রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাইলট তৌকির। হাজারো মানুষের অংশগ্রহনে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাযা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ।

 

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলমসহ সেনা ও বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, চাচা মতিউর রহমানসহ আত্মীয়-স্বজন এবং সাধারণ মুসল্লিরা। কয়েক হাজার মানুষ এতে অংশ নেন।

 

এ সময় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম ও মামা মতিউর রহমান। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি। তিনি সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনায় শিশুসহ আরও যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সবার জন্যই দোয়া চান তহুরুল ইসলাম।

 

 

এদিকে নিহত পাইলট তৌকিরকে এক নজর দেখতে তাঁদের বাড়ি, কবরস্থান এবং জেলা স্টেডিয়ামে শত শত নারীরাও ভিড় করেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে তার লাশ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়।

 

 

সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ক্যান্টনমেন্টের পাশেই নগরির উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া বাসায় তার লাশ নিয়ে যান সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা।

 

এ সময় শত শত মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। বাড়ি থেকে তার লাশ জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয় সপুরা গোরস্থানে।

 

সোমবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলের উপর প্রশিক্ষণ বিমান আছে পড়লে নিহত হন স্কাটন লিডার তৌকিক ইসলাম সাগর।

 

 

সাগরের বাবা তহুরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করেন। তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’র আদি নববর্ষ উদযাপন

Follow for More!

রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত নিহত পাইলট তৌকির

প্রকাশিত: ০৭:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
১৫

অনলাইন ডেস্ক:: রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাইলট তৌকির। হাজারো মানুষের অংশগ্রহনে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাযা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ।

 

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলমসহ সেনা ও বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, চাচা মতিউর রহমানসহ আত্মীয়-স্বজন এবং সাধারণ মুসল্লিরা। কয়েক হাজার মানুষ এতে অংশ নেন।

 

এ সময় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম ও মামা মতিউর রহমান। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি। তিনি সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনায় শিশুসহ আরও যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সবার জন্যই দোয়া চান তহুরুল ইসলাম।

 

 

এদিকে নিহত পাইলট তৌকিরকে এক নজর দেখতে তাঁদের বাড়ি, কবরস্থান এবং জেলা স্টেডিয়ামে শত শত নারীরাও ভিড় করেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে তার লাশ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়।

 

 

সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ক্যান্টনমেন্টের পাশেই নগরির উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া বাসায় তার লাশ নিয়ে যান সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা।

 

এ সময় শত শত মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। বাড়ি থেকে তার লাশ জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয় সপুরা গোরস্থানে।

 

সোমবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলের উপর প্রশিক্ষণ বিমান আছে পড়লে নিহত হন স্কাটন লিডার তৌকিক ইসলাম সাগর।

 

 

সাগরের বাবা তহুরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করেন। তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে