ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একজন মানবিক পুলিশ এএসআই মোহাম্মদ আলী শামিম

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৭:০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ২৫ পড়া হয়েছে
১৬

নিজস্ব সংবাদদাতা :: আকৃতিগত ভাবে আমরা মানুষ তবে, মানবিক মানুষ নই। মানবিক মানুষ হতে গেলে মানবীয় কিছু গুণাবলী প্রয়োজন, যেটা এএসআই মোহাম্মদ আলী শামিমের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষামূলক বিভিন্ন ডিউটির পাশাপাশি বিজ্ঞ আদালতের অসংখ্য আদেশ এর বাস্তবায়ন করছে থানা পুলিশ সহ অন্যান্য পুলিশ ইউনিটের সদস্যরা। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতের মধ্যেও পুলিশ নিয়মিত ভাবে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। এ সকল কাজের মধ্যেও ব্যতিক্রমী কিছু কাজ করে থাকেন, এএসআই মোহাম্মদ আলী শামিম ।

 

মোহাম্মদ আলী শামিম  বাংলাদেশ পুলিশের একজন গর্বিত  সদস্য। সিলেটের  জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল  ইউনিয়নের পানিছড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী’র ৪ সন্তানের মধ্যে  সবার বড় তিনি। বর্তমানে র‍্যাব সদর দপ্তর, কুর্মিটোলা, ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন।

 

তিনি  শিক্ষা জীবনে  শাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও জৈন্তিয়া কলেজ থেকে  উচ্চমাধ্যমিক, কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে পড়ালেখা জীবন শেষ করে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। বিবাহিত জীবনে তিনি ৩ সন্তানের জনক।

 

পুলিশে চাকরির পাশাপাশি একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন তিনি। চাকুরির সুবাদে যে থানায় দায়িত্ব পেয়েছেন সেখানেই তার মানবিক কার্যক্রমগুল করেছেন সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের সেবাসহ সকল প্রকার সহায়তা দিয়েছেন। কোনো প্রকার  হয়রানি, ঘুষ দুর্নীতি,  অনিয়মকে আশ্রয় দেননি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যেখানেই কর্মরত ছিলেন  সেই এলাকায়  একজন মানবিক পুলিশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

 

জানা যায়, দেশজুড়ে আলোচিত  এমসি কলেজে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে ছাতক দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে গ্রেফতার করে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামি গ্রেফতার,ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিদের কৌশলে আটক , হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া-এমন মানবিক উদ্যোগে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। বিশেষ করে মাদক জুয়া’ নির্মূল এর বিরুদ্ধে তাঁর জোরালো ভূমিকা রয়েছে।

 

একটি সমাজ এবং একটি দেশের জন্য আদর্শ চরিত্র। তাঁর কর্ম, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও দায়িত্বশীলতাই তাঁকে আমাদের মাঝে একজন সেরা মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করে। এমন মানুষই সমাজে নায়ক হয়ে ওঠেন, নীরবে, সাহসে, কর্মে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

আমি আপনাদের লোক,আপনাদের কাছে ধানের শীষে ভোট চাই: কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন 

Follow for More!

একজন মানবিক পুলিশ এএসআই মোহাম্মদ আলী শামিম

প্রকাশিত: ০৭:০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
১৬

নিজস্ব সংবাদদাতা :: আকৃতিগত ভাবে আমরা মানুষ তবে, মানবিক মানুষ নই। মানবিক মানুষ হতে গেলে মানবীয় কিছু গুণাবলী প্রয়োজন, যেটা এএসআই মোহাম্মদ আলী শামিমের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষামূলক বিভিন্ন ডিউটির পাশাপাশি বিজ্ঞ আদালতের অসংখ্য আদেশ এর বাস্তবায়ন করছে থানা পুলিশ সহ অন্যান্য পুলিশ ইউনিটের সদস্যরা। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতের মধ্যেও পুলিশ নিয়মিত ভাবে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। এ সকল কাজের মধ্যেও ব্যতিক্রমী কিছু কাজ করে থাকেন, এএসআই মোহাম্মদ আলী শামিম ।

 

মোহাম্মদ আলী শামিম  বাংলাদেশ পুলিশের একজন গর্বিত  সদস্য। সিলেটের  জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল  ইউনিয়নের পানিছড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী’র ৪ সন্তানের মধ্যে  সবার বড় তিনি। বর্তমানে র‍্যাব সদর দপ্তর, কুর্মিটোলা, ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন।

 

তিনি  শিক্ষা জীবনে  শাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও জৈন্তিয়া কলেজ থেকে  উচ্চমাধ্যমিক, কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে পড়ালেখা জীবন শেষ করে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। বিবাহিত জীবনে তিনি ৩ সন্তানের জনক।

 

পুলিশে চাকরির পাশাপাশি একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন তিনি। চাকুরির সুবাদে যে থানায় দায়িত্ব পেয়েছেন সেখানেই তার মানবিক কার্যক্রমগুল করেছেন সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের সেবাসহ সকল প্রকার সহায়তা দিয়েছেন। কোনো প্রকার  হয়রানি, ঘুষ দুর্নীতি,  অনিয়মকে আশ্রয় দেননি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যেখানেই কর্মরত ছিলেন  সেই এলাকায়  একজন মানবিক পুলিশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

 

জানা যায়, দেশজুড়ে আলোচিত  এমসি কলেজে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে ছাতক দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে গ্রেফতার করে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামি গ্রেফতার,ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিদের কৌশলে আটক , হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া-এমন মানবিক উদ্যোগে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। বিশেষ করে মাদক জুয়া’ নির্মূল এর বিরুদ্ধে তাঁর জোরালো ভূমিকা রয়েছে।

 

একটি সমাজ এবং একটি দেশের জন্য আদর্শ চরিত্র। তাঁর কর্ম, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও দায়িত্বশীলতাই তাঁকে আমাদের মাঝে একজন সেরা মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করে। এমন মানুষই সমাজে নায়ক হয়ে ওঠেন, নীরবে, সাহসে, কর্মে।