শুরুটা একটি সাদামাটা জীবন থেকে
নাজমুলের জন্ম জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ( হরিপুর) এক নিরিবিলি গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মিশুক, ভদ্র এবং সহজ-সরল স্বভাবের। পারিবারিক আদর্শ ও নৈতিক শিক্ষায় বেড়ে ওঠা নাজমুল অল্প বয়সেই মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে শিখেছিলেন। মানবিক গুণাবলি আর সহানুভূতির হাত ধরেই তিনি এগিয়ে আসেন সাংবাদিকতার পথে।
সাংবাদিকতার শুরু এবং অবিচল পথচলা:
নাজমুল শুধু কলমধারী একজন সংবাদকর্মী নন, তিনি মানুষের মুখপাত্র। নিরপেক্ষতা, সত্যনিষ্ঠতা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে সাংবাদিকতা করে চলেছেন বহু বছর ধরে।
বর্তমানে তিনি নিচের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো পালন করছেন:
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি, দৈনিক ইত্তেফাক (২০২৪–বর্তমান), জৈন্তাপুর প্রতিনিধি, দৈনিক কালবেলা (২০২৩–বর্তমান), জৈন্তাপুর প্রতিনিধি, একাত্তরের কথা (২০১৯–বর্তমান), নির্বাহী কমিটির সদস্য, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব, উপদেষ্টা, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাব (২০১৬–বর্তমান), স্বত্বাধিকারী, মা কম্পিউটার, জৈন্তাপুর (২০১২–বর্তমান), CEO, Jainta Post (২০০৫–বর্তমান)
সেবামূলক কাজের পরিধি:
নাজমুল একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও পরিচিত। মা কম্পিউটার নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি কম্পিউটার ও প্রিন্টিং-সংশ্লিষ্ট নানান সেবা দিয়ে থাকেন।
তাঁর সেবার মধ্যে রয়েছে-

ভারতীয় ভিসা প্রসেসিং, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহায়তা, চাকরির আবেদন, জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ স্মরণিকা প্রস্তুত, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও দলিল তৈরির সহযোগিতা
একজন অতিথিপরায়ণ মানুষ:
তাঁর প্রতিষ্ঠানে কেউ গেলে খালি হাতে ফেরে না। চা, কফি বা পান দিয়ে হলেও আপ্যায়ন করা নাজমুলের স্বভাব। তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সমানভাবে সম্মান করেন। কারো আর্থিক অবস্থা বা রাজনৈতিক পরিচয় তাঁর ব্যবহার বা সহযোগিতায় কোনো পরিবর্তন আনে না।
নীরব সমাজসেবক
নাজমুল গোপনে অনেক মানুষকে সাহায্য করেন।কারও পড়াশোনার খরচ, কারও চিকিৎসা, আবার কারও খাবার বা ঘর ঠিক করার মতো সাহায্যও করেছেন তিনি। তবে এসব কাজ তিনি কখনো প্রচার করেন না, বরং নিজের দায়িত্ব মনে করেই করে যান নীরবে।
ভালোবাসায় গড়া এক নাম
নাজমুল শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি একজন নীরব বিপ্লবী, একজন মানবিক মানুষ। জৈন্তাপুরের মানুষের কাছে তিনি এক আস্থার নাম, ভালোবাসার নাম। তার হাসিমুখ, সাদাসিধে আচরণ, আর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মনোভাব তাকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।
শেষ কথা:
নাজমুলের জীবন আমাদের শেখায়, মানবিকতা, সততা ও নিষ্ঠাই একজন মানুষকে সমাজে সত্যিকারের উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। সাংবাদিকতার পেশায় থেকেও তিনি নিজের অবস্থানকে ব্যবহার করেছেন মানুষের কল্যাণে। তাঁর জীবন হয়ে উঠুক নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণার এক উজ্জ্বল আলো।