ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পারিবারিক বিরোধে জৈন্তাপুরে হামলা: মামলার আসামিরা এখনো পলাতক

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৮:২৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ১৩ পড়া হয়েছে
১৯

ডেস্ক নিউজ ::সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি (নয়ামাটি) গ্রামে কাপড় শুকানোর রশিকে কেন্দ্র করে চাচা-ভাতিজাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ চাচা ও তার ছেলেসহ অন্তত ৩ জন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩ জুলাই জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জিআর নম্বর ১২৩/২৫।

আহত দেলোয়ার হোসেন অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, গত ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার ভাতিজা লিটন আহমদ (২৫), ভাতিজার স্ত্রী আফরোজা বেগম (২৭), এবং ইউছুফ আলী (২৬) কাপড় শুকানোর রশিকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে দা, রড, রোল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়ির উঠানে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। দেলোয়ার ও তার ছেলে কবির আহমদ প্রতিবাদ করলে ইউছুফ আলী প্রকাশ্যে হুকুম দিয়ে বলে, “কুত্তার বাচ্চাদের খুন করে লাশ মাটিতে পুঁতে ফেল।”

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এরপর লিটন আহমদ হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কবির আহমদের মাথায় কোপ মারতে গেলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার বাম কাঁধে পড়ে। পুনরায় মাথায় কোপ দিলে কবির আহমদ বাম হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে, ফলে হাত দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় এবং গুরুতর রক্তক্ষরণ হয়। আফরোজা বেগম তখন লোহার রড দিয়ে কবিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

এছাড়া, ইউছুফ আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেলোয়ার হোসেনের মাথায় কোপ মারার চেষ্টা করলে তিনি বাঁ হাত দিয়ে তা প্রতিহত করেন, এতে হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে গভীর জখম হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি রড ও রোল দিয়ে আঘাত করে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছেঁচাফুলা জখম করে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে লিটন আহমদ সাক্ষী শামীমা বেগমকে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার চুল ও কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। আহতরা স্থানীয়দের সহায়তায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে এবং ভুক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা দ্রুত পুলিশি পদক্ষেপ ও ন্যায়বিচার কামনা করছেন।

বিজ্ঞপ্তি

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে দিনদুপুরে প্রাইভেটকার থামিয়ে শিশু অপহরণের চেষ্টা, মধ্যরাতে যুবক আটক

Follow for More!

পারিবারিক বিরোধে জৈন্তাপুরে হামলা: মামলার আসামিরা এখনো পলাতক

প্রকাশিত: ০৮:২৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
১৯

ডেস্ক নিউজ ::সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি (নয়ামাটি) গ্রামে কাপড় শুকানোর রশিকে কেন্দ্র করে চাচা-ভাতিজাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ চাচা ও তার ছেলেসহ অন্তত ৩ জন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩ জুলাই জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জিআর নম্বর ১২৩/২৫।

আহত দেলোয়ার হোসেন অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, গত ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার ভাতিজা লিটন আহমদ (২৫), ভাতিজার স্ত্রী আফরোজা বেগম (২৭), এবং ইউছুফ আলী (২৬) কাপড় শুকানোর রশিকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে দা, রড, রোল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়ির উঠানে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। দেলোয়ার ও তার ছেলে কবির আহমদ প্রতিবাদ করলে ইউছুফ আলী প্রকাশ্যে হুকুম দিয়ে বলে, “কুত্তার বাচ্চাদের খুন করে লাশ মাটিতে পুঁতে ফেল।”

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এরপর লিটন আহমদ হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কবির আহমদের মাথায় কোপ মারতে গেলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার বাম কাঁধে পড়ে। পুনরায় মাথায় কোপ দিলে কবির আহমদ বাম হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে, ফলে হাত দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় এবং গুরুতর রক্তক্ষরণ হয়। আফরোজা বেগম তখন লোহার রড দিয়ে কবিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

এছাড়া, ইউছুফ আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেলোয়ার হোসেনের মাথায় কোপ মারার চেষ্টা করলে তিনি বাঁ হাত দিয়ে তা প্রতিহত করেন, এতে হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে গভীর জখম হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি রড ও রোল দিয়ে আঘাত করে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছেঁচাফুলা জখম করে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে লিটন আহমদ সাক্ষী শামীমা বেগমকে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার চুল ও কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। আহতরা স্থানীয়দের সহায়তায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে এবং ভুক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা দ্রুত পুলিশি পদক্ষেপ ও ন্যায়বিচার কামনা করছেন।

বিজ্ঞপ্তি