ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজকের আয়, আগামী দিনের ভরসা অসুস্থ হলে পাশে থাকবে জমানো টাকা

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৯:২৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ১২ পড়া হয়েছে
১৭

সুয়েব রানা নিজস্ব সংবাদদাতা ::

আমাদের জীবনে আয় মানেই শুধু খরচ নয়। সঠিক পরিকল্পনায় সেই আয়ের একটি অংশ ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখা আমাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পারিবারিক সুরক্ষার অন্যতম ভিত্তি। আজ আপনি সুস্থ কিন্তু হঠাৎ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আয় বন্ধ হলে বা চিকিৎসার জন্য হঠাৎ প্রয়োজন হলে কে সাহায্য করবে? তখনই টের পাবেন, সঞ্চয়ের মূল্য কতটা।

 

টাকা জমা রাখার অনেক সুবিধা রয়েছে। দুর্ঘটনা, অসুস্থতা বা চাকরি হারানোর মতো জরুরি মুহূর্তে সঞ্চয়ই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় ভরসা। এটি আপনাকে ধার-দেনা না করে নিজের সমস্যা নিজের সামর্থ্যে সমাধানের সাহস দেয়। একইসঙ্গে পরিবারকেও সুরক্ষা দেয় অনিশ্চয়তা থেকে। আর বড় কোনও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য যেমন বাড়ি কেনা, সন্তানের পড়াশোনা বা ব্যবসায় বিনিয়োগ—এসবই সম্ভব সঞ্চয়ের মাধ্যমে।

 

তবে কেবল সুবিধার কথা বললেই হবে না, জানতে হবে কিভাবে সঞ্চয় করতে হয়। প্রথমে মাসিক বাজেট করুন—আপনার আয় ও খরচের খাতা তৈরি করুন। যেখানে অপ্রয়োজনীয় খরচ চিহ্নিত করে তা বাদ দিতে পারবেন। এরপর ‘Pay Yourself First’ নিয়ম মেনে বেতন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা আলাদা করে রাখুন। সঞ্চয়ী হিসাব, ফিক্সড ডিপোজিট কিংবা বিকাশ-নগদের ডিজিটাল ‘সেভিংস ফিচার’ ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে এমন একটি অ্যাকাউন্টে টাকা রাখুন, যেখান থেকে সহজে তুলতে পারবেন না। এতে সঞ্চয় ধরে রাখা সহজ হবে।

 

এই সঞ্চয়ের প্রয়োজন কেবল বড়লোকদের নয়। ছাত্রদেরও পকেটমানি থেকে কিছু টাকা জমা করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। চাকরিজীবীরা যাতে চাকরি হারালেও নিরুদ্বিগ্ন থাকতে পারেন, ব্যবসায়ীরা যাতে মন্দার সময়ও হোঁচট না খান—সে জন্যই প্রয়োজন সঞ্চয়। এমনকি গৃহিণীরাও সংসারের খরচ সামলে নিজের প্রয়োজন ও সম্মান রক্ষায় নিজস্ব সঞ্চয় রাখতে পারেন।

 

টাকা জমা রাখার অভ্যাস মানুষের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে মানুষ নিজেকে অসহায় বোধ না করে নির্ভরতার জায়গা পায়। মানসিক শান্তি বাড়ে, ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্ক কমে। আর এই আত্মতৃপ্তির জায়গা থেকে মানুষ আরও ইতিবাচকভাবে জীবনকে উপভোগ করতে পারে।

 

অতএব, সঞ্চয় কোনো বিলাসিতা নয়, এটি একান্ত প্রয়োজন। আজ আপনি উপার্জনক্ষম, কিন্তু কাল কী হবে জানেন না। সেই অনিশ্চয়তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে আজই। প্রতিদিনের ছোট ছোট সঞ্চয়ই একদিন হয়ে উঠবে আপনার বড় সহায়।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Follow for More!

আজকের আয়, আগামী দিনের ভরসা অসুস্থ হলে পাশে থাকবে জমানো টাকা

প্রকাশিত: ০৯:২৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
১৭

সুয়েব রানা নিজস্ব সংবাদদাতা ::

আমাদের জীবনে আয় মানেই শুধু খরচ নয়। সঠিক পরিকল্পনায় সেই আয়ের একটি অংশ ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখা আমাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পারিবারিক সুরক্ষার অন্যতম ভিত্তি। আজ আপনি সুস্থ কিন্তু হঠাৎ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আয় বন্ধ হলে বা চিকিৎসার জন্য হঠাৎ প্রয়োজন হলে কে সাহায্য করবে? তখনই টের পাবেন, সঞ্চয়ের মূল্য কতটা।

 

টাকা জমা রাখার অনেক সুবিধা রয়েছে। দুর্ঘটনা, অসুস্থতা বা চাকরি হারানোর মতো জরুরি মুহূর্তে সঞ্চয়ই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় ভরসা। এটি আপনাকে ধার-দেনা না করে নিজের সমস্যা নিজের সামর্থ্যে সমাধানের সাহস দেয়। একইসঙ্গে পরিবারকেও সুরক্ষা দেয় অনিশ্চয়তা থেকে। আর বড় কোনও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য যেমন বাড়ি কেনা, সন্তানের পড়াশোনা বা ব্যবসায় বিনিয়োগ—এসবই সম্ভব সঞ্চয়ের মাধ্যমে।

 

তবে কেবল সুবিধার কথা বললেই হবে না, জানতে হবে কিভাবে সঞ্চয় করতে হয়। প্রথমে মাসিক বাজেট করুন—আপনার আয় ও খরচের খাতা তৈরি করুন। যেখানে অপ্রয়োজনীয় খরচ চিহ্নিত করে তা বাদ দিতে পারবেন। এরপর ‘Pay Yourself First’ নিয়ম মেনে বেতন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা আলাদা করে রাখুন। সঞ্চয়ী হিসাব, ফিক্সড ডিপোজিট কিংবা বিকাশ-নগদের ডিজিটাল ‘সেভিংস ফিচার’ ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে এমন একটি অ্যাকাউন্টে টাকা রাখুন, যেখান থেকে সহজে তুলতে পারবেন না। এতে সঞ্চয় ধরে রাখা সহজ হবে।

 

এই সঞ্চয়ের প্রয়োজন কেবল বড়লোকদের নয়। ছাত্রদেরও পকেটমানি থেকে কিছু টাকা জমা করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। চাকরিজীবীরা যাতে চাকরি হারালেও নিরুদ্বিগ্ন থাকতে পারেন, ব্যবসায়ীরা যাতে মন্দার সময়ও হোঁচট না খান—সে জন্যই প্রয়োজন সঞ্চয়। এমনকি গৃহিণীরাও সংসারের খরচ সামলে নিজের প্রয়োজন ও সম্মান রক্ষায় নিজস্ব সঞ্চয় রাখতে পারেন।

 

টাকা জমা রাখার অভ্যাস মানুষের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে মানুষ নিজেকে অসহায় বোধ না করে নির্ভরতার জায়গা পায়। মানসিক শান্তি বাড়ে, ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্ক কমে। আর এই আত্মতৃপ্তির জায়গা থেকে মানুষ আরও ইতিবাচকভাবে জীবনকে উপভোগ করতে পারে।

 

অতএব, সঞ্চয় কোনো বিলাসিতা নয়, এটি একান্ত প্রয়োজন। আজ আপনি উপার্জনক্ষম, কিন্তু কাল কী হবে জানেন না। সেই অনিশ্চয়তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে আজই। প্রতিদিনের ছোট ছোট সঞ্চয়ই একদিন হয়ে উঠবে আপনার বড় সহায়।